এবারের ঈদ
২৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৩৯
প্রচন্ড গরম পড়েছিল এবার রমজান মাসে। ৬৮ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা ৪১.৮ এ উঠেছিল। প্রায় ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রায় কষ্ট হয়েছে মানুষের। ভারতে হিটস্ট্রোকে অনেকেই মারা গেছেন। বাংলাদেশে অবশ্য এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে শিশু, সিনিয়র সিটিজেন, শ্রমজীবী ও অসুস্থ মানুষদের ভীষণ কষ্ট হয়েছে। দেশের আহাওয়াবিদরা দক্ষতা দেখিয়েছেন। তাদের পূর্বাভাস দিন,ঘন্টার সঙ্গে মিলে গেছে। ঈদের দুদিন আগে ঢাকার প্রচন্ড গরম থেকে সিলেটে গিয়ে অনেকেই স্বস্তির বৃষ্টি পেয়েছেন। আহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস সঠিক প্রমাণ করে ঈদের আগের দিন বিকাল পাঁচটায় ঢাকায় বৃষ্টি নেমেছিল। অবশ্য পুরো ঢাকা জুড়ে বৃষ্টি হয়নি। তবে তাপমাত্রা কমে ঈদ ছিল সবার জন্যই স্বস্তির। ধন্যবাদ জানাতে হয় আমাদের আবহাওয়াবিদদের তাদের সঠিক পূর্বাভাসের জন্য। এমনকি তাদের হিসেব মতোই দেখা গেছে ঈদের চাঁদও। এবারের অসহনীয় গরম কি কোন বার্তা দিল? হ্যাঁ দিয়েছে প্রকৃতির প্রতি নিষ্ঠুর হওয়া যাবে না। বন উজার করে, গাছ কেটে, ডোবা-জলাধার ভরাট করে শিল্পায়ন বা নগরায়ণ হলে প্রকৃতি আমাদের প্রতি বিরুপ হবে। এখনও সময় আছে সতর্ক হওয়ার। আমাদের যাদের সুযোগ আছে তারা বছরে অন্তত একটি গাছ কি লাগাতে পারি?
ঈদের লম্বা ছুটি
শুক্র-শনি-রবি ৩ দিন ছিল ঈদের ছুটি। তার আগে বুধবার ছিল শবে কদরের ছুটি। সরকার অত্যন্ত জনবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবারও ছুটি ঘোষণা করে। ফলে এবার টানা ৫ দিনের ঈদের ছুটি পায় মানুষ। এতে মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। ৩ দিনের ছুটি হলে যাওয়া আসাতেই চলে যায় ২দিন। এত টাকা পয়সা খরচ করে, কষ্ট সয়ে আপজনদের সঙ্গে মাত্র ১ দিন কাটানো এটা আসলে সবার কাছেই ভীষণ অতৃপ্তি, হতাশার ব্যাপার। তবে এবারের মত লম্বা ছুটি মিললে খুশির ঈদ খুশি হয়েই আনন্দ ছড়ায় নাড়ির টানে শেকড়ে ফেরা মানুষদের মাঝে। নগরে যারা থাকেন তাদের জন্যও স্বস্তির ব্যাপার ঈদের লম্বা ছুটি। পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় মিলে। আসলে ঈদের ছুটি ৭ দিন হলে ভাল হয়। সহজেই এটি করা যায়। আমার প্রস্তাবটি সরকার ভেবে দেখতে পারে। ঈদের আগের সপ্তাহের শুক্র ও শনিবারেও কাজ হবে। ঈদের পরের সপ্তাহেও শুক্র ও শনিবার কাজ হবে। এই দুই সপ্তাহের দুই শুক্রবার ও দুই শনিবার এই চার দিনের ছুটি ঈদের প্রচলিত ৩ দিনের ছুটির সঙ্গে যোগ করে ঈদের ছুটি হবে ৭ দিনের। এতে ঈদের আগের ও পরের দুই সপ্তাহে কষ্ট হলেও ঈদের লম্বা ছুটিতে স্বস্তি মিলবে। এবারের লম্বা ছুটির অভিজ্ঞতা থেকে নিশ্চয়ই সবাই এ প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিবেন।
বেতন বোনাস ঠিক সময়ে
অতীতে প্রতি বছরই বেতন বোনাসের দাবীতে ঈদের আগে শ্রমিক কর্মচারিদের অসন্তোষ, বিক্ষোভের কথা শোণা যেত। ঈদের আগে মিডিয়ার বড় অংশ জুড়ে প্রতিদিনই থাকতো এসব খবর। এবার তা দেখা যায় নি। তৈরি পোষাকের শতভাগ কারখানায় বেতন বোনাস হয়েছে ঠিক সময়ে। অন্য কলকারখানা ও ব্যক্তি মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছিল একই অবস্থা। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছে এবার ঈদ ছিল স্বস্তির ঈদ। পোয়াবারো ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তারা দুটো বোনাস পেয়েছেন — বৈশাখী বোনাস ও ঈদের বোনাস। হয়ত খুব তাড়াতাড়িই সেদিন আসবে যখন সরকারি সেক্টরের মতো বেসরকারি সেক্টরেও কর্মরত সবাই বৈশাখী বোনাসও পাবেন।
নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা
বাসের টিকিট নেই, ট্রেনের টিকিট নেই,নেই লঞ্চের টিকিট। কালোবাজারিদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে বাধ্য হওয়া তারপর কখন বাস ছাড়বে, কখন ট্রেন ছাড়বে, কখন লঞ্চ ছাড়বে- সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে রাত কেউ জানে না কখন শুরু হবে যাত্রা। তারউপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে, লঞ্চে , ফেরিতে উঠার, স্পিডবোটে চড়ার এবং পথে পথে দুর্ঘটনায় অসংখ্য জীবনহানি– এই ছিল আগের বছরগুলোতে ঈদ যাত্রার দু:ষহ অভিজ্ঞতা,বিপন্ন চিত্র। এবার এসব ভয়ানক খবর-ছবি মিডিয়ায় দেখা যায়নি। ঈদের আগের দিন ট্রেনের ছাদে,ভেতরে টিকিট ছাড়া যাত্রী চড়লেও আগের কয়েকদিন নিয়ম মেনেই চলেছে সব কিছু। শিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কালোবাজারি এবার এসবের দৌরাত্ব ছিল না।
সড়ক আর লঞ্চ যাত্রায় সব ছবি পাল্টে দিয়েছে মূলত পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুর কারণে দক্ষিণ বঙ্গের লঞ্চে চাপ কমেছে। দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষকে এবার স্বস্তির ঈদ উপহার দিয়েছে পদ্মাসেতু। এই পথের মানুষের কাছে পদ্মা পারাপারে দীর্ঘ অনিশ্চিত অপেক্ষা, বিপদজনক স্মৃতি ও দু:সহ কষ্ট এখন যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে পদ্মাসেতু। আরামসে দ্রুততম সময়ে এবার মানুষ পদ্মা পেরিয়ে বাড়ী গেছেন। মানুষের কি মনে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা? সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একা দাঁড়িয়ে তিনি দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণের দু:সহসী,দুরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যা এখন এনে দিয়েছে কোটি কোটি মানুষের জীবনে স্বস্তি।
পদ্মাসেতুতে বাইক চালানো নিষিদ্ধ ছিল। বাইকারদের জন্য ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইকারদের সুবিধার কথা ভেবে পদ্মাসেতুতে বাইক চালানোর অনুমতি দেন। নিয়ম মেনে হাজার হাজার বাইকার ও তাদের সহযাত্রী এবার পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়েছেন। এ লেখা পর্যন্ত কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশের তৎপরতা আর সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনার কারণে অন্যান্য যাত্রপথেও এবার আগের বছরগুলোর মতো বিড়ম্বনা ছিল না। টাঙ্গাইল হয়ে উত্তরবঙ্গের যাত্রাপথে বছরের পর বছর ঘন্টার পর ঘন্টার জ্যাম ছিল প্রতি বছরের ঈদ যাত্রার অবর্ণনীয় বিড়ম্বনা। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকত। বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৩ ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে ৮ থেকে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতো। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছরই ছিল এ অবস্থা। ২৫ বছর পর এবার সে দৃশ্য দেখা যায় নি। ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের অংশ চারলেন করা হয়েছে এবং বাকি সাড়ে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়িগুলোর জন্য ডিভাইডারবিহীন দুই লেন ওয়ানওয়ে করায় এবং ঢাকামুখী গাড়িগুলো ভূঞাপুর লিংক রোড ব্যবহারের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের যানজটের অবসান হয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট সব পথেই অন্যবারের চেয়ে অনেক স্বস্তির যাত্রা ছিল এবার। এবার প্রধানমন্ত্রী একই দিনে ১০০টি সেতু ১০০টি সড়ক উদ্ভোধন করেছিলেন। তার সুফল পেয়েছে মানুষ। আঞ্চলিক ও জাতীয় সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার তার ফলশ্রুতিতে আগামীতে মানুষের যাতায়ত হবে আরো স্বস্তিদায়ক, আরও সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী।
ঈদ অর্থনীতি
ঈদে পোষাক, পরিচ্ছদ, জুতা স্যান্ডেল, প্রসাধনী এসবই বেশি কোনাকাটা হয়। এবার এসবের বেচাকেনা ভাল হয়েছে। সময়মতো বেতন বোনাস পাওয়ায় সাধারণ মানুষও স্বস্তিতে এসব বাজার করেছেন। শুধু শহরে নয় গ্রামাঞ্চলেও এখন এসব বাজার বেশ সরগরম ছিল। প্রবাসীরা এবার রেকর্ড পরিমাণ ১২৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার টাকার হিসেবে ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ফলে গ্রামে থাকা তাদের পরিবার পরিজনও স্বাচ্ছন্দে ঈদের কেনাকাটা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এবারের ঈদে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে। বেশ শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে দেশের ঈদ অর্থনীতি।
ঈদের আগে দেশের বিভিন্নস্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটের আগুন কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর অপুরণীয় ক্ষতি করেছে। এসব আগুন সবাইকে সতর্ক হওয়ার কঠিন বার্তা দিয়েছে। দেশের অনেক মার্কেটই অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন মূল্যে এগুলো ঝুকিমুক্ত করা প্রয়োজন। আগুন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
সব্জি মাংস মশল্লা বাজার
ঈদ বাজারের আরেক অংশ সব্জি, মাংস, মশল্লা বাজার। রোজার আগে লাফিয়ে দাম বাড়ার পর রোজার মাসজুড়ে এসবের দামে লাগাম ছিল। কিন্তু ঈদের দুদিন আগে থেকে লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধি ঘটে এসব পন্যে। ২১০ টাকার বয়লার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি, ৩৫০ টাকার দেশির মুরগির মাংস ৭০০ টাকা কেজি, ৭০০ টাকার গরুর মাংস ৯০০ টাকা কেজি, ৯০/৯৫ টাকার দুধের লিটার ১১৫ টাকা, ৪০ টাকার শশা ১৪৫ টাকা কেজি, ৫০ টাকার গাজর ১২০ টাকা কেজি—যেন ছিল দাম বাড়ার উৎসব। কোন কারণ ছাড়াই যে যেভাবে পারে দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনৈতিক সংকট চলছে। শেখ হাসিনা সরকার বেশ ভালভাবেই সে সংকট সামলাচ্ছেন। কিন্তু কিছু দূর্বৃত্ত, লোভী ব্যবসায়ীর জন্য মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। এই দূর্বৃত্তদের কঠোরভাবে মোকাবেলা এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিম, ফার্মের মুরগি ও গরুর মাংসের ব্যাপারে বোধহয় সরকারের ভিন্ন চিন্তা করার সময় এসেছে। কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানি এবং কয়েক হাজার খামারির ( এই খামারিরা কখনও দাম বাড়ায় লাভবান হন না) জন্য ১৭ কোটি মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ডিম, মুরগি ও গরুর মাংস আমদানী উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। কয়েকটি অসৎ কোম্পানী ও ব্যবসায়ী মানুষের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেবে এটা আর বোধহয় মেনে নেয়া উচিত নয়।
গরীবের ঈদ
বৈশ্বিক অর্থনীতির সংকটের মধ্যেও সুখবর, বাংলাদেশে দরিদ্রের হার ২১ থেকে কমে ১৮ হয়েছে। অতি দরিদ্রের হারও কমে এসেছে পাঁচে। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দেশ নয় কিংবা বাংলাদেশের অর্থনীতিও অতি উন্নত নয় তবুও সরকার এই দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এবারের রমজানে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডে ২ বার চাল,ডাল, তেল, পেয়াজ,ছোলা, খেজুর ইত্যাদি পণ্য স্বপ্লমূল্যে কেনার সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফ কার্ডে আরো ৫০ হাজার পরিবারকে ১৫ টাকা/ ৩০টাকা দরে চাল কেনার সুযোগ দিয়েছে। আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকেও সরকার নানাভাবে সহায়তা করেছে।
এবছর প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি করতে নিষেধ করেছিলেন। দলীয় নেতা কর্মিরা তা মেনে সেই টাকায় থানা মল্লায় গরীবদের মধ্যে ঈদের উপহার বিতরণ করেছেন। এছাড়া সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন,বেসরকারি দাতব্য সংস্থা, দানশীল ব্যক্তি অন্যবারের চেয়ে এবার বেশি ঈদ উপহার দিয়েছেন দরিদ্রদের। ফলে অন্যবারের চেয়ে এবার দেশের গরীব মানুষদের কাছেও ঈদ ছিল বেশ স্বস্তির।
এবারের ঈদ পরিস্থিতি অন্যবারের চেয়ে বেশ ভিন্ন মনে হয়েছে। কিছু দূর্বৃত্ত ব্যবসায়ী ছাড়া মানুষকে অনেক মানবিক মনে হয়েছে। নিয়ম মেনে চলায় আগ্রহী মনে হয়েছে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের কথা ভেবে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে অনেকবেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনেক বেশি সক্রিয় ও তৎপর ছিল। ফলে পরিবহন খাতে অন্যবারের মতো এবার ঝামেলা পাকাতে পারেনি সুযোগ সন্ধানীরা। মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন, স্বস্তিদায়ক, সময় সাশ্রয়ী ও অর্থ সাশ্রয়ী হয়েছে। চালক-শ্রমিক, যাত্রীরা নিয়ম মেনে চলেছেন। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় অনাকাংখিত প্রাণহানী,হতাহতের ঘটনা তেমন ঘটেনি। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে যে অন্য বাংলাদেশকে দেখা গেল আমরা চাইলেই সবাই মিলে তাকে আরো সুন্দর করতে পারি।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক
সারাবাংলা/এসবিডিই