Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মার্কিন মুল্লুকে মানবাধিকার হুমকিতে বাংলাদেশিরা

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:২১

যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবাধিকার রক্ষার উদ্ধারকর্তা হিসাবে দাবি করে সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্নীতি, বর্ণবৈষম্য, অস্ত্র এবং পুলিশি সহিংসতাসহ সম্পদ কুক্ষিগত করার ঘটনা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করছে। এর ফলে সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মৃত্যু হয়েছে, শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, নতুন উপদলের উত্থান হয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ হয়েছে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্টের একটি যুগান্তকারী গবেষণা অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ওয়ার অন টেরর’ প্রকল্পে আনুমানিক ৮ ট্রিলিয়ন ব্যয় করেছে, ৯০০০০০-এরও বেশি লোককে হত্যা করেছে এবং লাখ লাখ লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। সন্ত্রাসবাদের অবসানের পরিবর্তে, এটি জনগণের জীবন ও অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ক্ষতি করেছে তার ফলে বার্ষিক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী গঠনের পাশাপাশি আলকায়েদা, ইসলামিক স্টেট এবং তালেবানের মতো অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর পুনর্গঠন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘনে জড়িত।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রশংসনীয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক সময় উপহাস করে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। অথচ এই তলাবিহীন ঝুড়ি ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের তুলনায় দ্রুত সম্প্রসারিত অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর বুকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমডিজির আওতায় বেশিরভাগ সামাজিক সূচকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পাথেয় হয়ে কাজ শুরু করলেন। প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারীশিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে মানবাধিকারের সবক শিখানো সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ঘোষণা করেছে ভিসা নীতি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যে গত ১৮ জুলাই, ২০২৩ রোজঃ বুধবার ভোরে রমিম উদ্দিন (২২) আহমেদ নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রমিম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে ভোর ৩:৩০ টায় (বাংলাদেশ সময়) এবং ধারণা করা হচ্ছে যে অপরাধের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল ভিকটিমের গাড়ি এবং নগদ টাকা ছিনতাই। এই হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মিসৌরি রাজ্যে রমিম উদ্দিন নামক এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দেশটিতে আবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি। নিহতের নাম মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২), বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। স্থানীয় সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে কাসা গ্রান্দে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, কাসা গ্রান্দে শহরের সানল্যান্ড জিন রোড এবং ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভের সানলাইট মার্কেটে একটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন হাশিম। ঘটনার দিন ডাকাতির উদ্দেশ্যে দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও এই বছরের জানুয়ারী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ছাত্র ফয়সাল বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। হাতের সামান্য একটি ছুরির জন্য কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফয়সালকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয় যার কোনো ধরনের সঠিক তদন্ত ও বিচার হয়না। প্রতিবছর অন্তত এক হাজার মানুষ আমেরিকান পুলিশের দ্বারা নিহত হয় যার মধ্যে ৯৮ শতাংশেরই কোনো বিচার হয়না।

যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বাড়ছে বন্দুক সহিংসতা, হত্যা, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা। বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষায় ‘সোচ্চার’ দেশটিতে গুমরে মরছে বিচার ব্যবস্থা, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মার্কিন নাগরিকরাই। এবার ২০২২ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীন। মঙ্গলবার চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। সিনহুয়া। প্রতিবেদনে চীন বলছে, যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবাধিকার রক্ষার উদ্ধারকর্তা হিসাবে নিজেকে দাবি করে সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্নীতি, বর্ণবৈষম্য, অস্ত্র এবং পুলিশি সহিংসতাসহ সম্পদ কুক্ষিগত করার ঘটনা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র রাখার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চরম শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। এর ফলে সেখানে বন্দুক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেকের বেশি স্টেটে শৈথিল্য অবলম্বন করা হয়। বিশ্বে বন্দুকের মালিকানা, বন্দুককেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড এবং এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনার দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০২২ সালে এসব ঘটনায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০টির বেশি ‘ম্যাস শুটিং’য়ের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুককেন্দ্রিক সহিংসতা ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি’তে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ বাড়ছে এবং জাতিগত সংখ্যালঘুরা সেখানে ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ২০২০ থেকে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত বৈষম্যের ওপর ভিত্তি করে হিংসাত্মক অপরাধ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাফেলো সুপারমার্কেটে ১০ জন আফ্রিকান-আমেরিকানের বর্ণবাদী গণহত্যা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৮১ শতাংশ এশিয়ান আমেরিকান বলেছেন যে এশীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় পুলিশের হাতে আফ্রিকান আমেরিকানদের নিহত হওয়ার আশঙ্কা ২ দশমিক ৭৮ গুণ বেশি। ভারতীয় এবং অন্যান্য আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের গৃহীত গণহত্যা এবং সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তি এখনো অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বে পরিচিত মার্কিন শক্তির অপব্যবহার এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ২১ শতকের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে ৮৫টি দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৯ লাখ ২৯ হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৮ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখনো ২০টিরও বেশি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যার ফলে সেসব দেশের জনগণ মৌলিক খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবিক বিপর্যয়ের শামিল। কিন্তু অভাক হওয়ার বিষয় এই যে এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই মানবাধিকারকে অন্য দেশগুলোতে আক্রমণ করার জন্য একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে সংঘাত, বিভাজন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং এইভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং এর রক্ষায় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা দেশ থেকে আশা করা যায় না।

বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার মানবাধিকার উন্নয়নকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে মানব উন্নয়ন সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৩। এ বছর ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ১২৯তম অবস্থানে। মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং এই মূহুর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে প্রশংসনীয় বাংলাদেশেকে মানবাধিকারের সবক না দিয়ে বরং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সফল বাংলাদেশেকে অনুসরণ করে নিজের দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি হবে এবং বিশ্ব এগিয়ে যাবে নিজ গতিতে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই বলুক বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব অবান্তর এবং অযুক্তিক অভিযোগের দ্বার ধারেনা। মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, জনসমর্থন ও শক্তিতে বিশ্বাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিরদ্ধে করা সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপবাদকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো অন্যান্য দেশে মানবাধিকারের অবস্থা কেমন তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের দেশের মানবাধিকারের অবনতির উন্নয়ন কিভাবে করা যায় তার উপর জোর দেওয়া। এই মূহুর্তে মানবাধিকারের চরম অবনতি হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশকে মানবাধিকারের সবক দেওয়া নিঃসন্দেহে একটা হাস্যকর বিষয়।

লেখক: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া মত-দ্বিমত মার্কিন মুল্লুকে মানবাধিকার হুমকিতে বাংলাদেশীরা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর