Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
২৬ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৮

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার এবং কংগ্রেসনাল ব্ল্যাক ককাসের চেয়ারপারসন কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক আচরণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সব সময় সোচ্চার। কারণ সব দেশের জন্যই মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। কুইন্স থেকে টানা ১৩ বারের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) গ্রেগরি মিক্স ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সমসাময়িক প্রসঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও বলেন, সাফল্যের অনেক গল্প রয়েছে বাংলাদেশের। গত ১৫ বছরে দেশটি নিতান্তই গরিব থেকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক পার্টনার। বাংলাদেশে আমরা ইউএসএআইডি অব্যাহত রেখেছি। এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ গ্রোয়িং, গেটিং স্ট্রঙ্গার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী ছিল। বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্যাটাগরিকেলি কমিটমেন্ট রয়েছে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, কিন্তু তার এ পদক্ষেপ ফলপ্রসূ করতে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসম্যান বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের পছন্দের সরকার গঠনের একমাত্র অবলম্বন। তাই সবারই উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করা। সামনের নির্বাচনটি বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যালটযুদ্ধে সব অগণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাস্ত করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার এবং কংগ্রেসনাল ব্ল্যাক ককাসের চেয়ারপারসন কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্সের এমন বক্তব্যের স্পষ্টতা লক্ষ করা যায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতীত ইতিহাস থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বাড়ছে বন্দুক সহিংসতা, হত্যা, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা। বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় ‘সোচ্চার’ দেশটিতে গুমরে মরছে বিচার ব্যবস্থা, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মার্কিন নাগরিকরাই।

বিজ্ঞাপন

ইতিহাস বলছে, বছরের পর বছর যেই গণতন্ত্রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের বিরদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে সেই গণতন্ত্র তাদের নিজেদের দেশে কতটা কার্যকর তা ২০২২ সালে প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচক এ পরিষ্কারভাবে দেখা গিয়েছে। সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গণতন্ত্রের প্রকৃতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা। এগুলোর ভিত্তিতে সূচকে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা। এ সূচকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নামও রয়েছে। সূচকে আগের বছরের চেয়ে চার ধাপ পিছিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৩০তম স্থানে রয়েছে বাইডেনের দেশ। সুতরাং যে দেশে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই সেই দেশ গণতন্ত্রের নামে অন্য দেশের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিত্যান্তই উপহাস ছাড়া আর কিছুই নই। এছাড়াও এই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হওয়া গণতন্ত্র সামিটে অংশগ্রহণ করা দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে ৭৩ তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে ১০৭ তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ করানোটা মূলত গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা বাস্তবায়নেরই অন্য এক দৃষ্টান্ত। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের চরম শত্রু রাশিয়া এবং চীনের বিরদ্ধে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চেয়েছে এবং চাচ্ছে। আর সেইজন্যই বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী প্রভাব তৈরী করতে গণতন্ত্রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। যার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

অন্যদিকে যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবাধিকার রক্ষার উদ্ধারকর্তা হিসাবে দাবি করে সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্নীতি, বর্ণবৈষম্য, অস্ত্র এবং পুলিশি সহিংসতাসহ সম্পদ কুক্ষিগত করার ঘটনা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করছে। এর ফলে সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মৃত্যু হয়েছে, শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, নতুন উপদলের উত্থান হয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ হয়েছে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্টের একটি যুগান্তকারী গবেষণা অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ওয়ার অন টেরর’ প্রকল্পে আনুমানিক ৮ ট্রিলিয়ন ব্যয় করেছে, ৯০০০০০-এরও বেশি লোককে হত্যা করেছে এবং লাখ লাখ লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। সন্ত্রাসবাদের অবসানের পরিবর্তে, এটি জনগণের জীবন ও অর্থনীতিতে যে ব্যাপক ক্ষতি করেছে তার ফলে বার্ষিক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী গঠনের পাশাপাশি আলকায়েদা, ইসলামিক স্টেট এবং তালেবানের মতো অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর পুনর্গঠন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘনে জড়িত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যে গত ১৮ জুলাই, ২০২৩ রোজঃ বুধবার ভোরে রমিম উদ্দিন (২২) আহমেদ নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রমিম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে ভোর ৩:৩০ টায় (বাংলাদেশ সময়) এবং ধারণা করা হচ্ছে যে অপরাধের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল ভিকটিমের গাড়ি এবং নগদ টাকা ছিনতাই। এই হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

সম্প্রতি মিসৌরি রাজ্যে রমিম উদ্দিন নামক এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দেশটিতে আবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি। নিহতের নাম মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২), বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। স্থানীয় সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে কাসা গ্রান্দে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, কাসা গ্রান্দে শহরের সানল্যান্ড জিন রোড এবং ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভের সানলাইট মার্কেটে একটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন হাশিম। ঘটনার দিন ডাকাতির উদ্দেশ্যে দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও এই বছরের জানুয়ারী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ছাত্র ফয়সাল বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। হাতের সামান্য একটি ছুরির জন্য কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফয়সালকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টত‌ই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয় যার কোনো ধরনের সঠিক তদন্ত ও বিচার হয়না। প্রতিবছর অন্তত এক হাজার মানুষ আমেরিকান পুলিশের দ্বারা নিহত হয় যার মধ্যে ৯৮ শতাংশের‌ই কোনো বিচার হয়না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের চরম অবনতি লক্ষ করা যায় গত ২০২২ সালের শেষ দিকে চীন কর্তৃক প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন থেকে। চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। সিনহুয়া। প্রতিবেদনে চীন বলছে, যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবাধিকার রক্ষার উদ্ধারকর্তা হিসাবে নিজেকে দাবি করে সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্নীতি, বর্ণবৈষম্য, অস্ত্র এবং পুলিশি সহিংসতাসহ সম্পদ কুক্ষিগত করার ঘটনা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনের তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র রাখার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চরম শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। এর ফলে সেখানে বন্দুক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেকের বেশি স্টেটে শৈথিল্য অবলম্বন করা হয়। বিশ্বে বন্দুকের মালিকানা, বন্দুককেন্দ্রিক হত্যাকান্ড এবং এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনার দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০২২ সালে এসব ঘটনায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০টির বেশি ‘ম্যাস শুটিং’য়ের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুককেন্দ্রিক সহিংসতা ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি’তে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ বাড়ছে এবং জাতিগত সংখ্যালঘুরা সেখানে ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ২০২০ থেকে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত বৈষম্যের ওপর ভিত্তি করে হিংসাত্মক অপরাধ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাফেলো সুপারমার্কেটে ১০ জন আফ্রিকান-আমেরিকানের বর্ণবাদী গণহত্যা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৮১ শতাংশ এশিয়ান আমেরিকান বলেছেন যে এশীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় পুলিশের হাতে আফ্রিকান আমেরিকানদের নিহত হওয়ার আশঙ্কা ২ দশমিক ৭৮ গুণ বেশি। ভারতীয় এবং অন্যান্য আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের গৃহীত গণহত্যা এবং সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তি এখনো অব্যাহত রয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বে পরিচিত মার্কিন শক্তির অপব্যবহার এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ২১ শতকের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে ৮৫টি দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৯ লাখ ২৯ হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৮ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখনো ২০টিরও বেশি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যার ফলে সেসব দেশের জনগণ মৌলিক খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবিক বিপর্যয়ের শামিল।

সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সবক দেওয়া দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের উচিত প্রথমে নিজেদের দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা তারপর অন্য কোন দেশকে সবক দেওয়া।

লেখক: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া মত-দ্বিমত যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর