Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে অস্থিতিশীলতায় পড়বে বাংলাদেশ

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
২২ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৩

গত রোববার (২০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’র সাময়িকী ফ্রন্টলাইন-এ ‘ইফ শেখ হাসিনা লোসেস জানুয়ারি ইলেকশন, বাংলাদেশ কুড ফেস প্রলঙ্গড পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক ইনস্ট্যাবিলিটি’- এই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় পতিত হতে পারে। আবারও সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী শক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হতে পারে। আওয়ামী লীগের বিদায় শুধু ভারতের জন্য নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসীন হলে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠির সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়ায় আরেকটি অস্থিরতা ও সহিংসতার সূচনা করবে।

বিজ্ঞাপন

এটি সর্বজন স্বীকৃত যে, শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি বদলে দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পুরো বিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে পরিচিত। ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে গত এক দশকে বার্ষিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্জন করেছে। বাংলাদেশের সামাজিক সূচকগুলোও বেশিরভাগ দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের চেয়ে ভালো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে প্রচুর অগ্রগতি করেছে। স্বাধীনতার পর দরিদ্রতম দেশগুলোর তালিকায় থাকলেও এখন এটি দ্রুত বর্ধনশীল একটি অর্থনীতি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বলে। বাংলাদেশ গত ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পররাষ্ট্রনীতির উন্নয়নসহ অন্যান্য সব দিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে স্থিতিশীল একটা অবস্থা বিশ্ব মানচিত্রে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এমন কোনো দিক নেই যেখানে বাংলাদেশের পদচারণা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা লাভে সক্ষম হয়েছে যার ফলে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমডিজির আওতায় বেশিরভাগ সামাজিক সূচকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বিশ্বে ৩৭ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারীশিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

গত ১৪ বছরে দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিক ভাবে সরকার পরিচালনায় আছে বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছে। এজন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে পেরেছে। দেশ আজ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০২২ সালে দেশে ৪ কোটি ৪ লাখ টন চালসহ ৪ কোটি ৭২ লাখ টন দানাদার শস্য উৎপাদিত হয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, সবজি, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ২ হাজার ৭৬৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ২ ভাগ। মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

বিশ্ব মানচিত্রে সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর অন্যতম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক অস্থিরতাসম্পন্ন্য এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় বহুদলীয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে। গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের জনসাধারণের গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের গূরত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার বরাবরের মতো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন সংঘটনের লক্ষ্যে সংবিধান অনুযায়ী গঠন করেছে একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনীতিতে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করণে সকল দলকে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা তথা সভা-সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। জাল ভোট যেন কেউ না দিতে পারে সেই জন্য ভোটার আইডি লিষ্টে ভোটারদের ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাতের আঁধারে যেন কেউ ব্যালট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য নির্বাচনে ডিজিটাল ইভিএম প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। এর সবই করা হয়েছে একমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংঘটনের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের রক্তে লিখিত পবিত্র সংবিধানের আলোকেই আওয়ামীলীগ সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংঘটনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির আজকের উৎকর্ষ তথা স্থিতিশীলতা যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে তার মূলে রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, কূটনৈতিক অভিজ্ঞান, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যায় বলিষ্ঠ ভূমিকা এবং বৈশ্বিক সার্বিক বিষয়ে তাঁর দূরদর্শিতা। তিনি জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই নন, একজন দেশপ্রেমিক এবং সাধারণ মানুষের নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা ও ব্যাপ্তি যোগ করে তাকে আরো শক্তিশালী, টেকসই, সম্প্রসারিত ও অর্থবহ করে তুলেছেন। যে কারণে আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে একটি সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। বদলে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে। শুধু বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রেই নয়, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের আজকের অবস্থান ও ভাবমূর্তি যে উচ্চতায় আসীন তার পেছনে কাজ করেছে শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা স্থাপনে পারঙ্গমতা। তিনি অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করেছেন পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব বা বন্ধুত্ববোধকে যথাযথ মূল্যায়ন করে। আর এর মূলে ছিল সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, পররাষ্ট্রনীতির এই মৌলিক নীতির ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাস ও আস্থা থাকার কারণে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জনের হিসাব দিতে গেলে অনেক লম্বা একটা তালিকা হয়ে যাবে। বহুপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন উল্লেখযোগ্য অর্জন বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো সরকার বা ব্যক্তি এনে দিতে সক্ষম হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা, দূরদর্শিতা আর সঠিক নেতৃত্বগুণের জন্য আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন রাজনীতিবিদ। দেশ পরিচালনায় তিনি সাহস ও কর্মদক্ষতায় অনন্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বিশ্ব শান্তির দূত ও মানবপ্রেমী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ জঙ্গিমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চেহারা ছিল বর্তমান সময়ের উন্নয়ন অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো অনেক কম, বেকারত্বের হার ছিলো অনেক বেশি, ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি, মারামারি, সন্ত্রাসী, দূর্নীতি, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ছিলো নিত্য নৈমেত্তিক বিষয়। জনজীবনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ছিলোনা। বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিলো অনেক কম, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এসব ছিলো প্রতিদিনের সমস্যা। সুতরাং বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলের বাংলাদেশের দূরাবস্থাই প্রমাণ করছে যে বিএনপি-জামায়াত দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশের ক্ষতিই করছে। তাদের সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কোন স্থিতিশীলতা ছিলোনা। এমনকি এখনও আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে নষ্ট অস্থিতিশীলতা তৈরি করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে সব ধরনের অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিএনপি-জোট সরকারের আমলে দূর্নীতিতে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।

সুতরাং শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে সব দিক দিয়ে অস্থিতিশীলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমে অর্জিত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংস হয়ে দেশে দেখা দিতে পারে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ও আসবে পরিবর্তন। দেশ চলবে পাকিস্তানের ভাব ধারায়। দেশে পূনরায় জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস বেড়ে যাবে। মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে বিভিন্ন ধরনের জনদূর্ভোগ। দূর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ ইত্যাদি হবে দেশের নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা থাকবেনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত করে দেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান পরিণত করা হবে শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে। এমতাবস্থায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পররাষ্ট্রনীতিগত স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পূর্বের ন্যায় শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করা ছাড়া বিকল্প কিছু চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের উন্নয়ন মানেই শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন ও ভাগ্যের পরিবর্তন।

লেখক: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া মত-দ্বিমত শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে অস্থিতিশীলতায় পড়বে বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর