Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্ব নেতাদের প্রশংসায় শেখ হাসিনা

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১০

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক সামাজিক ও রাজনেতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা, দূরদর্শিতা আর সঠিক নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন রাজনীতিবিদ। দেশ পরিচালনায় তিনি সাহস ও কর্মদক্ষতায় অনন্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বিশ্ব শান্তির দূত ও মানবপ্রেমী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ জঙ্গিমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে আর্থসামাজিক খাতে ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যুর হার ১৭৩-এ হ্রাস পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭তম। সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নস্বরূপ গত সাড়ে ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বিদ্যুৎ এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছেন। যেমন ২০০৬ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। আওয়ামীলীগের এই দীর্ঘ শাসনামলে ৮ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াট হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা যেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৮ শতাংশ ছিল ২০০৬ সালে সেখানে ২০২৩ সাল থেকে দেশের ১০০ শতাংশ জনগণ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা যেখানে ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ১২ টি সেখনো প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে ৩ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে হয়ছে ৩৭ টি। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২০০৬ সালে যা ছিল ৩৩ হাজার ৫ শত ৭৯ টি যা প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৪৫৬৪ টি। স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের বরাদ্দ ২০০৬ ছিল মাত্র ৩ হাজার ১ শত ৮৪ কোটি যা বেড়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই দীর্ঘ শাসনামলে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এমন অভাবনীয় সাফল্য আর কোনো সরকারের আমলেই হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অকল্পনীয়। ২০০৬ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিল যেখানে ৪৫ শতাংশ সেখানে ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৭৫.৬ শতাংশ হয়েছে স্বাক্ষরতার হার। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ওই সময়ে ছিল মাত্র ৫৪ শতাংশ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৪৪.২৫ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালে ৯৮.২৫ শতাংশ হয়েছে। ২০০৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝড়ে পড়ার হার ছিল ৪৯ শতাংশ। এই সংখ্যা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে মাত্র ১৩.১৫ শতাংশ। ২০০৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৬৭২ টি। ২০২৩ সালে এসে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাশাপাশি সুপেয় পানি সরবরাহে সরকারের সাফল্য অবর্ণনীয়। ২০০৬ সালে সুপেয় পানি পেত মাত্র ৫৫ শতাংশ মানুষ। আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৩.৭ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালে দেশের ৯৮.৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পান করতে পারে।

এমন অভূতপূর্ব সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভুমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক অস্থিরতাসম্পন্ন্য এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় বহুদলীয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে। গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের জনসাধারণের গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার বরাবরের মতো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন সংঘটনের লক্ষ্যে সংবিধান অনুযায়ী গঠন করেছে একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনীতিতে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করণে সকল দলকে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা তথা সভা-সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। জাল ভোট যেন কেউ না দিতে পারে সেই জন্য ভোটার আইডি লিষ্টে ভোটারদের ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাতের আঁধারে যেন কেউ ব্যালট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য নির্বাচনে ডিজিটাল ইভিএম প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। এর সবই করা হয়েছে একমাত্র সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংঘটনের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের রক্তে লিখিত পবিত্র সংবিধানের আলোকেই আওয়ামীলীগ সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংঘটনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের এমন অভূতপূর্ব আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্বনেতারা মন্তব্য করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশ্বনেতারা উল্লেখ করেন। বিশ্বনেতারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারি চিন্তা-চেতনার ফলেই বাংলাদেশে সব দিক থেকে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পেছনে তারা শেখ হাসিনার ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমি আনন্দিত যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে তার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। যারা বাংলাদেশ গঠনে আপত্তি করছিলেন, যারা এখানকার মানুষকে নিচু চোখে দেখতেন, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণ করছে।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি উদাহরণ। দেশটি আশা ও সুযোগ-সুবিধার একটি চমৎকার স্থান। ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের মানবাধিকারের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ু সংকট নিরসনে কাজ করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি প্রশংসনীয়।”

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির স্বপ্নের সঙ্গে থাকতে চাই।”

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভিডিও বার্তায় বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ৬ শতাংশের অধিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) মাধ্যমে বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করছে এবং বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চীন বাংলাদেশের এমন উন্নয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।”

শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেতা হিসেবে পেয়ে এই দেশের মানুষ সত্যিই ভাগ্যবান। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি এবং তার দল যে দক্ষতার সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ব্যাপক উনয়ন সাধন করেছে। এই করোনার মাঝেও দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ জিডিপি বাংলাদেশের। এগুলো জেনে আমাদের সত্যিই আনন্দ অনুভূত হয়।”

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার ভিডিও বার্তায় বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির মতো বিষয়গুলো এ দেশের মানুষের সামনে নতুন নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে।”

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশকে সুখী ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।”

পাশাপাশি শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “আপনাদের দেশ অগ্রগতি ও ক্রমাগত উন্নয়নের দিকে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার বাংলাদেশ।”

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এন্ড্রু গারবারিনো বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে, তাতে এই সরকারের ধারাবাহিকতা দেখাটা হবে চমৎকার।” এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই ধারা বজায় রাখতে হবে।”

গত ১০ আগস্ট, ২০২৩ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করতে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আইয়ার বলেন,”উনয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশের উনয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে”।

তার মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ উনয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। অন্যান্য উনয়নশীল দেশগুলোও বাংলাদেশের এই উনয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে।

সুতরাং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, বিকাশ, এবং মুক্তির লক্ষ্যে অগ্রণী হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের জন্য তার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, যুক্তিবাদী মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা এবং অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব অঙ্গনে এক ভিন্ন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্ববিখ্যাত নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সর্বদা সকল প্রকার শোষণ, বঞ্চনা, অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য কাজ করে। এই দলটি ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ভাগ্য উন্নতি হয়। এই দলের ভিত্তি থেকে ৭৩ বছরের ইতিহাস সেই সত্যের সাক্ষ্য দেয়।

স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে কালো অন্ধকার গ্রাস করেছিল, সেই অন্ধকার তাড়াতে প্রথম আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন তিনি। সে মশাল, প্রাথমিক সংকট- সীমাবদ্ধতার পর দিকে দিকে আলোকিত করতে থাকে, শুরু হয় রাহু মুক্তির পালা। সব আবর্জনা দূর করতে প্রভাতে যেমন বাঙালি একাকার হয়, প্রতিশ্রুতিতে সমৃদ্ধ হয়, তেমনি এক শুভ প্রতিশ্রুতির বাতাস বইতে দেখা যায় তার দেশে ফেরার দিন থেকে। তারপর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন সাধন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ও দেশের বাহিরে সমানভাবে প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হওয়ার সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের সকল খাতে সমানতালে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রেখে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের মর্যাদা ধরে রাখতে নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা।

লেখক: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বিশ্ব নেতাদের প্রশংসায় শেখ হাসিনা মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর