তানজিম, মৃত্যুঞ্জয়দের `মতাদর্শ’ -দায় কার?
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৪
সবাই ব্যাপারটি জানেন। দেশ জুড়েই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা─বিতর্ক হচ্ছে। তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়েই এই তোলপাড়। ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ভবিষ্যতে তারকা হয়ে উঠতে পারেন এমন যে কজন তরুণের খেলার দিকে নজর ছিল তাদের একজন তানজিম হাসান সাকিব। টকশোতে, লেখায় তার কথা অনেকবারই বলেছি। কিন্তু তার স্ট্যাটাসগুলো দেখার পর আমি খুবই হতাশ, ভীষণ ক্ষুব্ধ এবং দারুণভাবে উদ্বিগ্ন।
তার স্ট্যাটাসগুলোতে নারী, ভিন্নধর্মালম্বী, দেশের বিজয় দিবসের প্রতি বিদ্বেষপুর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। অনেকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ের ভিডিও দিয়ে দেখিয়েছেন জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও তার অনীহা। এমন একজন ক্রিকেটার কি করে জাতীয় দলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন?
তার স্ট্যাটাসের পক্ষে আবার অনেকেই দাঁড়িয়েছেন। তাদের প্রশ্ন এতদিন তো তার কোন স্ট্যাটাস নিয়ে কথা হয়নি, এখন কেন? এতদিন তিনি ছিলেন সবার মতো আমজনতার একজন। আমজনতার কেউ কী বলল তা নিয়ে কারোর মাথার কোন কারণ নেই। কিন্তু কেউ যখন আইকনিক ফিগার হয়ে উঠেন তখন তার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা হবেই। হাজারো শিশু তরুণ ফলো করেন তাদের স্পোর্টস তারকাদের। তাদের মন্তব্য─বক্তব্যে তখন অনেক কিছু আসে যায়।
তাকে সমর্থনকারীদের দ্বিতীয় বক্তব্য─নিজের মনোভাব প্রকাশ করা তার বাক স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সীমানা ততটুকুই যতক্ষণ তা অন্যকে আহত করবে না, ঘৃণা করবে না, অবমাননা করবে না। কিন্তু যে স্ট্যাটাসে সমাজের এক বিশাল অংশ─নারীদের হেয় করে দেখা হয়, অন্যধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করা হয়, জাতীয় মর্যাদার প্রতি অবজ্ঞা করা হয় সেটি আর বাক স্বাধীনতার সীমানায় থাকে না। সেটি হয় ঔদ্বত্য, ধৃষ্টতা, অবমাননা, অবজ্ঞা, বিদ্বেষ, রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
ধর্মীয় বিশ্বাস এবং তার চর্চা যে কেউ করতেই পারেন । এটি তার স্বাধীনতা─চয়েস। জাতীয় দলের কোন কোন তারকা সেঞ্চুরির পর মাঠে সেজদা দেন, সুইমিং পুলের পানিতে দাঁড়িয়ে বোরকা পড়া স্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দেন। কেউ শুধু চোখ দেখা যায় এমন পোশাক পড়া স্ত্রীকে পাশে নিয়ে বিমানবন্দরে, প্লেনে, বিদেশের হোটেলের ছবি আপলোড করেন। এসব নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে না। কারণ, এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তারা যদি বলেন সাফল্যের পর সেজদা না করা নাফরমানি, বেঈমানদারী কাজ কিংবা যদি বলেন এমন পোশাক যারা পড়েন না তারা নষ্টা নারী, তারা পরিবারকে, সমাজকে নষ্ট করছেন─ তাহলে প্রতিবাদ হবেই। সেটি নিজের স্বাধীনতার সীমানা পেরিয়ে ধর্মীয় উগ্রতা, জঙ্গিবাদের জগতে প্রবেশ করার ইঙ্গিত।
চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা নারী, দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক খাত গার্মেন্টসে কাজ করে লাখো নারী, চা বাগানে কাজ করে হাজারো নারী, চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষের সেবা দেন লাখো নারী ডাক্তার-নার্স। শিক্ষকতায় আছেন অসংখ্য নারী। লাখো নারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। প্রশাসন, পুলিশ, সামরিক বাহিনী─সামাজের সর্বক্ষেত্রে কাজ করছেন অগণিত নারী। প্রতিটি খেলাতেই বাংলাদেশের নারী দল আছে। তানজিম সাকিব তার স্ট্যাটাসে তাদের হেয় করেছেন, অবমাননা করেছেন। জাতীয় দিবস পালন নিয়ে তার মনোভাব জানিয়ে জাতীয় অহমে আঘাত করেছেন। জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়া ও তার বিরুপ অভিব্যক্তিতে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এই দেশ, এই দেশের পতাকার প্রতি তার আনুগত্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
দ্বিচারিতা-ভন্ডামি
তানজিমের ফেসবুক টাইম লাইনে তার স্ট্যাটাসগুলোতে ধর্ম নিয়েই বেশি স্ট্যাটাস। বিতর্কিত ধর্মীয় বক্তাদের ওয়াজ। ক্রিকেটের দু-একটা ছবি দেখা যায়। সমাজের, রাষ্ট্রের, নিজের, পরিবারের, বন্ধুদের বা অন্য কোন বিষয় থাকে না। অর্থাৎ তার মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু ধর্মীয় ব্যাপার। সেখানে ধর্মভীরুতার চেয়ে ধর্মীয় উগ্রতার, বিদ্বেষের পরিমাণই বেশি। তিনি সালাফি মতবাদের অনুসারী। সে মতবাদ অনুযায়ী ঘোড়দৌড়, তিরন্দাজীসহ তিনটি খেলা ছাড়া বাকী খেলাধুলা হারাম। তানজিম একদিকে ধর্মীয় মতবাদ নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, মানুষকে হেদায়েত করছেন, অন্যদিকে তিনি যে ধর্মীয় বিশ্বাসকে ধারণ করে এসব করেন সেই মতবাদে হারাম যে খেলা তা খেলে তা থেকে নামধাম টাকা পয়সা ইনকাম করেন। এটি একেবারেই দ্বিচারিতা। বিশ্বাস ও কাজে মিল না থাকলে সেটি হয় ভন্ডামি।
তানজিম ক্ষমা চেয়েছেন
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন─তারা তানজিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তানজিম ক্ষমা চেয়েছেন। জানিয়েছেন তিনি নারীবিদ্বেষী নন। তানজীমের স্ট্যাটাসগুলো কিন্তু বলে না যে তিনি নারীবিদ্বেষী নন। তিনি বিসিবির সঙ্গে তো কোন অন্যায় করেননি। ফেসবুকে তার টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দিয়ে দেশের লাখো নারীকে অবমাননা করেছেন, হেয় করেছেন। সে সব নারীদের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত, বিসিবির কাছে নয়। বিসিবির কাছে তিনি অঙ্গীকার করবেন, এমন কাজ তিনি আর কখনও করবেন না। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন তারা তানজিমকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সতর্ক করে দেয়াই কি যথেষ্ঠ?
ক্ষমা চেয়েও পার পাননি তারকারা
২০১৯ সালে ভারতের দুই তারকা হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল ‘কফি উইথ দ্য করণ শো’তে নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। পুরো ভারত উত্থাল হয়ে উঠেছিল এই দুই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে। ঐ শোর পরে তারা দুজনই ছিলেন ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে। সেখান থেকে তাদেরকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে দেশের বিমানে উঠিয়ে দেয়া হয়। পরে ক্ষমা চেয়েও বাঁচতে পারেননি তারা। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। আদালতেও যেতে হয়। কর্তৃপক্ষ ওই শোর এপিসোডটি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে শোধরানো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দুজন ফিরে আসেন জাতীয় দলে।
২৭ বছর বয়সী ওলি রবিনসনের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে। এই টেস্টের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ৮-৯ বছর আগে তার দেয়া কিছু টুইট। বর্ণবাদী লিঙ্গ বৈষম্যমূলক ওই টুইটগুলো তিনি করেছিলেন ২০১২-২০১৩ সালের দিকে। টুইটগুলো ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে। ওলি নিজের ভুল স্বীকার করে ওইসব টুইটের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু তদন্ত শেষে ইসিবি তাকে ৮ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের সময় জাতীয় সঙ্গীত না গেয়ে চুইংগাম চিবানোর কারণে ভারতের সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান অলরাউন্ডার পারভেজ রসুলকে আজীবনের জন্য জাতীয় দলে থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। বছর দুয়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের অধিনায়ক টিম পেইনের কিছু আপত্তিকর স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার অধিনায়কত্ব হারান। পরে দল থেকেই বাদ পড়েন।
বিসিবি বিপদে পড়তে পারে
আইসিসির বৈষম্য বিরোধী নীতিমালায় বলা আছে,
GENERAL 6.
The ICC and all of its Members should:
(a) not at any time offend, insult, humiliate, intimidate, threaten, disparage, vilify or unlawfully discriminate between persons based on their race, religion, culture, colour, descent, nationality, ethnic origin, sex, gender, sexual orientation, disability, marital status and/or maternity status (‘Inappropriate Conduct’);
(b) 2 (b) adopt appropriate policies, protocols, mission statements and similar so that it is clear to all employees, officials, commercial partners and other participants and stakeholders that Inappropriate Conduct (including in any public statements) will not be tolerated by the ICC or by the Member, whether at International Matches played within its jurisdiction or those played as part of an ICC Event (as applicable), or at other times; and (c) where reasonably practicable, monitor the conduct of its employees, officials, partners and other participants and stakeholders and take such action as it considers appropriate in respect of any Inappropriate Conduct.
আইসিসির নীতি বিরোধী অবস্থান তানজিমের। কোন প্রতিপক্ষ, কোন দল, মানবাধিকার সংস্থা বা কেউ যদি আইসিসির কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ উত্থাপন করে তবে বিসিবিকে সমস্যায় পড়তে হবে। তানজিম হঠাৎ করেই জাতীয় দলে আসেননি। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছেন। বিসিবি কী করেছে এই বৈষম্য বিরোধী নীতির ব্যাপারে তরুণদের অভিহিত করতে? শুধুই কি তানজিম? তাকে সাপোর্ট করে আরেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি যে মন্তব্য করেছেন তাতে তো তিনিও তানজিমের মতোই একই মতাদর্শী। অনেকেই বলছেন এমন আরো আছেন তরুণদের মধ্যে।
উদ্বেগজনক ব্যাপার
তানজিম এবং মৃত্যুঞ্জয়ের পারিবারিক পটভূমির সঙ্গে এদের মতাদর্শের মিল নেই বলেই মনে হয়। তানজিমের পরিবার ছেলের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা গেছে তার এক বোন লন্ডনে একটি চেইন শপে কাজ করেন। তার ড্রেস ও আচরণের সঙ্গে তানজিমের মিল নেই। অর্থাৎ পরিবারিকভাবে তানজিম এই মতাদর্শে প্রভাবিত হননি। একটি মুসলিম পরিবারে যখন ছেলের নাম রাখা হয় মৃত্যুঞ্জয় সেই পরিবারটি ধর্মান্ধ হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু এই দুটি ছেলে শুধু ধর্মভীরু বা ধর্মমনস্ক নয়, ধর্মীয় উগ্রতায়, বিদ্বেষে প্রভাবিত। কোন ধর্মই উগ্রতা, বিদ্বেষের কথা বলেনা। নিজেদের স্বার্থে কোন কোন গোষ্ঠী, ব্যক্তি ধর্মকে পুঁজি করে এই উগ্রতা বিদ্বেষে তারুণদের দীক্ষিত করে। তানজিম, মৃত্যুঞ্জদের কতই বা বয়স। এদের প্রভাবিত করা সহজ। এখানেই উদ্বেগের কারণ।
মনে আছে হোলি আর্টিজানের কথা। ঐ তরুণদের বয়স এদের মতোই ছিল। তাদের জীবনাচার, মনোভাব দেখে অনেকেই মারহাবা মারহাবা আলহামদুলিল্লাহ করেছেন। কিন্তু মগজ ধোলাই হয়ে শেষ পর্যন্ত তারা যে কাজটি করেছে সেটি অপরাধ, ধর্মবিরোধী, মানবতা বিরোধী, সন্ত্রাসী কাজ। এজন্যই উদ্বেগের যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে। ঐ তরুণদের মতো যদি এদেরও মগজ ধোলাই হয় তা হলে এরা জাতীয় দল এবং দলের খোলোয়াড়দের জন্য যেকোন সময় বিপদের কারণ হতে পারে।
গভীর ও নিবিড় অনুসন্ধান প্রয়োজন
এরা কিভাবে এই ধর্মীয় উগ্রতায় উদ্বুদ্ব হয়েছে সেটি গভীর ও নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা উচিত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। কারা তাদের বন্ধু বান্ধব, কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ, তারা কাদের কাছ থেকে এই মতবাদের দীক্ষা নেয় বা নিয়েছে। ঐ গুরু বা গ্রুপের কর্মকান্ড কী সেগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। কিছু তরুণ হলি আর্টিজানে অঘটন ঘটিয়েছে। এমন মতাদর্শের অন্য তরুণদের ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা দরকার।
সমাধান কী
তানজিম হাসান বা মৃত্যুঞ্জয়রা এমনি এমনি এমন মতাদর্শে গেড়ে উঠছে না। এর দায় ওদের নয়। এর দায় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, বিসিবি সবার। বিরুদ্ধ পরিবেশে এদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ দেখছে না বা দেখেও নজর দিচ্ছে না। মানুষ ধর্মভিরু হবে, ধর্মমনস্ক হবে, ধর্মচর্চা করবে─এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধর্মের নামে উগ্রতা, বিদ্বেষ মনে ধারণকরে নারী ও অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের ঘৃণা করবে, হেয় করবে এটা হতে পারে না।
অনেক দেরীতে হলেও বিসিবি কথা বলেছে এটি ভাল। তানজিমকে বিসিবির কাছে নয় নারীদের কাছে, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যেভাবে সে তাদের হেয় করেছে সেই ফেসবুকে। তদন্তে করে দেখতে হবে এদের এই মনোভাবের পিছনে কী কারণ রয়েছে। যদি অস্বাভাবিক কোন কারণ না থাকে তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে বিসিবিকে শুধু তানজিম নয় এধরণের সবাইকে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। হার্দিক পান্ডিয়া এবং লোকেশ রাহুল যে শোধন প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছে এদেরকেও সে প্রক্রিয়া শেষে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে আইসিসির কাছে বিসিবিকে জবাবাদিহি করতে হবে।
এই দুই তরুণকে নিয়ে অনেকদিন থেকেই অনেকেই ভীষণ আশাবাদী। অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন এদের এসব ব্যাপার-স্যাপার দেখে। এরা জাতীয় দলের সম্পদ হয়ে উঠুক । ধর্মভীরু হোক, ধর্মমনস্ক হোক, ধর্মচর্চা করুক কিন্তু ধর্মের নামে ওরা যেন অন্য মানুষকে হেয় না করে, ঘৃণার চোখে না দেখে সে শিক্ষাটাও তারা পাক।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক
সারাবাংলা/এজেডএস
তানজিম মাহমুদুল হাসান শামীম মৃত্যুঞ্জয়দের মতাদর্শ-দায় কার?