Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হুন্ডি যেভাবে অর্থনৈতিক দুর্যোগ ঘটায়

রজত রায়
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৮

রিজার্ভ সংকট চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই রিজার্ভ সংকটের জন্য টাকা পাচারই একমাত্র কারণ নয়, হুন্ডি ব্যবসা ও এই সংকটের জন্য একটা প্রধান কারণ। হুন্ডি বলতে প্রধানত আমরা নন-ব্যাংকিং চ্যানেলে কিংবা অননুমোদিত চ্যানেলে, অর্থাৎ ব্যক্তিগত বিভিন্ন কৌশল ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে অর্থ আনা বা পাঠানোকে বুঝায়। এটি দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির বাইরে অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থ লেনদেনের উপায়। এটি নীতি বহির্ভূত ও দেশের আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। বর্তমানে দেশীয় অর্থ পাচার ও বিদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ আনার প্রধান একটি হাতিয়ার হচ্ছে হুন্ডি। হুন্ডি একটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি করে থাকে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই দেশ থেকে অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। প্রবাসীদের আয় ব্যাংকিং নিয়ম অনুসারে দেশে প্রবেশ করলে তা বাংলাদেশের রিজার্ভে জমা হয়, যার ফলে দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধ হয়। হুন্ডির ফলে বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যায়। সেটি আর দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

করোনা মহামারির পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে। একদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থপাচার। হুন্ডি মূলত ব্যাংকিং নিয়ম অনুসরণ করে না বলে বৈধ উপার্জন অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হয়। একটি দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১০৩ কোটি মার্কিন ডলার। সে হিসেবে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

উদাহরণ স্বরূপ হুন্ডি বিষয়টি পরিষ্কার করা যায় এভাবে । ধরা যাক বাংলাদেশের ‘ক’ নামের এক ব্যক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মাস শেষে তার পরিবারকে টাকা পাঠাতে হয়। তিনি একটি ব্যাংকে গিয়ে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে চাইলে, সেখানে দেখলেন ব্যাংককে বিভিন্ন কাগজ ও প্রমাণপত্র প্রদান করতে হচ্ছে। তিনি তখন ব্যাংক থেকে ফিরে এসেছে ‘খ’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে টাকা দিলেন। ‘খ’ হুন্ডি নেটওয়ার্কের সৌদি প্রতিনিধিকে টাকা দিলে হুন্ডি নেটওয়ার্ক উক্ত টাকা বাংলাদেশে তার প্রতিনিধির নিকট হস্তান্তর করে। এ দিকে হুন্ডি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রতিনিধি ‘ক’ সাহেবের পরিবারের নিকট টাকা পৌঁছে দেয়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে হুন্ডি থেকে টাকা পাওয়ার জন্য গ্রামের ঐ ব্যক্তিকে কোথাও যেতে হচ্ছে না। হুন্ডি নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিই তার বাড়িতে এসে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তাকে কোনও কাগজপত্রের ঝামেলার মধ্য দিয়েও যেতে হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে ব্যাংকের তুলনায় হুন্ডি নেটওয়ার্ক বেশি এক্সচেঞ্জ রেট বা বিনিময় হার দিয়ে থাকে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের জন্য দেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক, দেশের মানি একচেঞ্জ, বিদেশি ব্যাংক ও হুন্ডির রেট ভিন্ন ভিন্ন। ব্যাংকের বিনিময় হারের তুলনায় হুন্ডিতে ভালো বিনিময় মূল্য পায় তাই প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর দিকে আগ্রহী হন। এমনকি সরকার ঘোষিত প্রনোদনার পরও হুন্ডিতে অনেক বেশি বিনিময় মূল্য পায় প্রবাসীরা। এজন্যই ব্যাংকের বদলে হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন প্রবাসীরা। হুন্ডির সবচেয়ে বড় চাহিদা আসে আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমিয়ে দেখানো বা আন্ডার ইনভয়েসিং এর জন্য। আন্ডার ইনভয়েসিং করা হয় মূলত আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উচ্চ শুল্ক ফাঁকি দিতে যার মধ্যে সাধারণ আমদানির শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট, অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদি অর্ন্তভূক্ত। ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এই শুল্কের হার ৪০% এই বিরাট শুল্কের বোঝা এড়াতে আমদানিকারকরা পণ্যের দাম কমিয়ে দেখান।

সরকার কাচাঁমাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে রপ্তানি আয় দেশে ফেরা মাত্রই অগ্রিম আয়কর বা এআইটি কেটে রাখে। ফলে রপ্তানি আয়ের একটা অংশ বিদেশে রাখতে কিংবা পরবর্তী আমদানির জন্য ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা না ভাঙ্গানোর ঝোঁক দেখান ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ আছে এআইটি থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা বিদেশী ক্রেতাদের যোগসাজসে রপ্তানির এলসি মূল্যায়ন কম দেখিয়ে বাকি টাকাটা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আনেন। শুল্কায়নের জন্য শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। নিয়মানুযায়ী কোনো পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির পরবর্তী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান তা খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি করে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য আমদানি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। যদি মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির চালানের সঙ্গে পণ্যের মিল না পায় তাহলে আমদানিকারক লাভবান হয়। সরকার বঞ্চিত হয় রাজস্ব আয় থেকে। ফলে এক পণ্যের ঘোষণায় অন্য পণ্য এনে খালাস করে কতিপয় আমদানিকারক। যার মাধ্যমে মূলত শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি ডলার আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয়। সম্প্রতি মার্কিন ডলারের সংকটে ভুগছে দেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ছয় মাসের মধ্যে চলতি বছরের আগষ্টে প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে কম। ডলার ক্রেতারা অনেক ব্যাংক ঘুরেও ডলার ক্রয় করতে পারছে না। ডলারের সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করা ছাড়াও বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। নির্ধারণ করে দিয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানির ঋণপত্রের নূন্যতম নগদ মার্জিনের পরিমাণ। এ ছাড়া সরকার ও কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরপরও ডলার সংকট থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। ডলার সংকটের সময় প্রবাসীর আয় কমে যাওয়াও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। বাজারে দেখা দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি। ফলে শোচনীয় হতে পারে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি বা জিএফআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকার মতো। গত ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে গেলেও দেশের প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স অর্জনের ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন হয়নি। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে ২০২২ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাকরি নিয়ে গেছেন ১১ লাখ কর্মী, যা ২০১৩ সাল থেকে সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে ৪ লাখ ৯ হাজার, ২০১৪ সালে ৪ লাখ ৭৬ হাজার, ২০১৫ সালে ৫ লাখ ৫৬ হাজার, ২০১৬ সালে ৭ লাখ ৫৭ হাজার, ২০১৭ সালে ১০ লাখ ৬৮ হাজার, ২০১৮ সালে ৭ লাখ ৩৪ হাজার, ২০১৯ সালে ৭ লাখ, ২০২০ সালে ২ লাখ ১৭ হাজার এবং ২০২১ সালে ৬ লাখ কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। কর্মী প্রেরণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরও রেমিট্যান্সে তার প্রভাব পড়েনি।

তাহলে কারণটা কি? অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর কারণে রেমিট্যান্সে তার প্রভাব পড়েনি। ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠালে প্রবাসীরা মার্কিন ডলারের যে বিনিময় হার পেয়ে থাকেন হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালে তারা ব্যাংকের চেয়ে বেশি অর্থ পান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুটি মাধ্যমে অন্তত তিন থেকে চার টাকা তারতম্য থাকে। তাছাড়া প্রবাসীরা অবৈধ পথে অর্থ পাঠালে নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্য তো আছেই। এছাড়া হুন্ডিওয়ালারা শ্রমিকদের কর্মস্থলে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ব্যাংকে যেতে হয় না। যিনি দেশে অর্থ গ্রহণ করেন, তার কষ্টও কম। বাড়িতে বসেই সপ্তাহের যে কোনো দিন তিনি টাকা পেয়ে থাকেন। এটি অনেককে হুন্ডিতে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করে।

প্রবাসীরা হুন্ডিতে ডলার পাঠালে ব্যাংকের চেয়ে বেশি দাম পায় এবং তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত পৌঁছে যায় সুবিধাভোগীর কাছে। তাই দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দামের ব্যবধান যখন বেশি হয় তখন হুন্ডি বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিট্যান্স কমে। পাশাপাশি বিনিময় হারের অস্থিরতা তো আছেই। এসব কারণেই প্রবাসী আয় কমেছে, যা এক ধরণের অশনি সংকেত। ২০২১ সালে প্রকাশিত ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। এই হার ২০১৫ সালে ছিল ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ, ২০১৪ সালে ৯১১ কোটি, ২০১৩ সালে ৮৮২ কোটি, ২০১২ সালে ৭১২ কোটি, ২০১১ সালে ৮০০ কোটি, ২০১০ সালে ৭০৯ কোটি, ২০০৯ সালে ৪৯০ কোটি, ২০০৮ সালে ছিল ৫২৮ কোটি, ২০০৭ সালে ৩৩৪ কোটি ২০ লাখ, ২০০৬ সালে ২৭৩ কোটি, ২০০৫ সালে ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০০৪ সালে ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। জিএফআইয়ের হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর গড়ে পাচার হচ্ছে ৪৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেশের মোট জাতীয় বাজেটের দেড়গুণ। রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের দেওয়া ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা সত্ত্বেও এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। আগষ্ট ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স প্রায় ১৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ দেশে প্রবেশ করায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমছে।

প্রতিবছর প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের ওপর নির্ভর করে সরকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে (সিআইপি) কমার্শিয়াল ইম্পরট্যান্ট পারফর্ম মর্যাদা দিয়ে থাকেন। তবে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার যদি নূন্যতম ৫ জন করে রেমিট্যান্স যোদ্ধা নির্বাচিত করে তাদের পুরস্কৃত করে তাহলে তাদের মধ্যে উৎসাহ আরো বাড়বে। রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ থাকতে পারে, তা হলো করোনাকালীন বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী বাংলাদেশে চলে এসেছেন। আসার সময় অনেকে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থও নিয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশের অধিকাংশ অভিবাসী থাকেন মধ্যপ্রাচ্যে। এখানের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্সের ওপর তা চাপ বাড়াচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। এর ফলে সেখানকার শ্রমিকদের দৈনন্দিন খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। এর ফলে একজন অভিবাসী আগে যে পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাতেন সেটি এখন কমে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে নিরুৎসাহিত হওয়াসহ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে তারতম্যের কারণে রেমিট্যান্সে প্রভাব পড়েছে।

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

সারাবাংলা/এসবিডিই

অর্থনৈতিক দুর্যোগের আরেক নাম হুন্ডি টপ নিউজ মত-দ্বিমত রজত রায়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর