৩০ হাজার ৭২১ নিয়োগ, জনকের দেখানো পথে হাঁটছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৮
গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ৩০ হাজার ৭২১ জন চাকরিপ্রার্থীকে চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, যা দেশের চাকরির ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে দ্রুত এবং ন্যায়সংগত নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে, যা সারা দেশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিপিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার ৬৫৭ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার অফিসার হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে ২৭ হাজার ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থীকে এমপিও অধিভুক্ত স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটা বিশেষ স্বপ্ন ছিল দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে বাংলাদেশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ করা, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই পথেই হাঁটছেন। বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে সবাই চাকরি পাচ্ছে। কোনো তদবির বা টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে না আর। বিএনপি জামায়াতের সময়ে টাকা বা তদবির ছাড়া সরকারি চাকরিধারী একজনও পাওয়া যেত না। আর এখন এই হার খুবই কম।
এটাই বিএনপি আর আওয়ামী লীগ সরকারের মূল পার্থক্য। একটা সময়ে সরকারি চাকরিতে কেউ নিয়োগ পেলেই পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-স্বজন বা পরিচিতদের মুখে শুনতে হয়, কত টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে? দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের ধারণা, ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরি সম্ভব নয়। তখনকার পরিস্থিতি এমন ছিল, ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া সোনার হরিণে পরিণত হয়েছিল। একজন দরিদ্র বাবা-মার পক্ষে ছেলে-মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করা যে কত কঠিন ব্যাপার; তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। আর্থিক সমস্যা নিয়ে দরিদ্র বাবা-মা কখনো কখনো পরের বাড়িতে পরিশ্রম করে; কখনও কখনও অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে নিজেদের ছেলে-মেয়েকে মানুষ করার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু যখন এসব দরিদ্র বাবা-মায়েদের ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শেষে সন্তানদের সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অংশগ্রহণ করান; তখনই চরম বৈষম্যের মুখে পড়তেন এসব দারিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীরা। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও দেখা যেত; ক্ষেত্র বিশেষ টাকার জোরে চাকরি পাচ্ছেন অন্যরা। সরকারি চাকরিতে এমন বৈষম্য দেশ গঠনে এক ধরনের হুমকি বলা যেতে পারে। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন সরকারি চাকরি থেকে। গরিব শিক্ষার্থীরা মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী যখন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পরও শেষ মুহূর্তে টাকার অভাবে বা সঠিক যোগাযোগের লোক না থাকায় ব্যর্থ হন, সেই মনোকষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর।
এই বাজারে চাকরি যেন সোনার হরিণ। যোগ্যতার নানা ধাপ পাড়ি দিয়ে গত বুধবার সেই হরিণের সন্ধান পেলেন ৩০ হাজার ৭৩১ জন। তাদের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৩ হাজার ৬৫৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। একই দিন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৭ হাজার ৭৪ জনকে বেসরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া হাজারো বেকার পরিবারে মুহূর্তেই আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। তাদের কাছে এ যেন ঈদের আনন্দ!
৪০তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এমন তিন হাজার ৬৫৭ প্রার্থীকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০২৩ অনুযায়ী নবম থেকে বারোতম গ্রেডের পদে তাদের নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে এই সুপারিশ করা হয়। একইদিন এনটিআরসিএর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩২ হাজার ৪৮০ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে তাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হয়। এই ৩০ হাজার ৭৩১ জনের মধ্যে একজনকেও কোনো টাকা দিয়ে চাকরি পেতে হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা এই যে, নিয়োগ ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করা। আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কমিটিকে ঘুষ দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি হতো। পুলিশের এসআই, কনস্টেবল নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘোষ দিয়ে চাকরি পেতে হতো কিন্তু এখন শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে এসব চাকরি দিচ্ছে বর্তমান সরকার।
বাংলাদেশে ৩০ হাজার ৭২১ জন চাকরিপ্রার্থীকে চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, যা দেশের চাকরির ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে দ্রুত এবং ন্যায়সংগত নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে, যা সারা দেশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিপিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার ৬৫৭ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার অফিসার হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারের অর্জনকে আরো উল্লেখযোগ্য করে তুলেছে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির স্পষ্ট অনুপস্থিতি। চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ৩০ হাজার ৭৩১ জনের মধ্যে একজনও ঘুষ বা অসাধু উপায়ে চাকরি পেয়েছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিতকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অটল অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।
নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যে কোনো সংস্থা বা সরকারের মধ্যে আস্থা, ন্যায্যতা এবং জবাবদিহি বৃদ্ধি সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এটি যোগ্যতাভিত্তিক পদ্ধতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হয় যে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে যোগ্যতা, দক্ষতা এবং পদের জন্য উপযুক্ততার ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকলে তা চাকরিপ্রার্থী এবং জনসাধারণ উভয়ের কাছে এই মর্মে শক্তিশালী বার্তা পাঠায় যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়। এটি শুধু কর্মীদের মধ্যে মনোবল ও অনুপ্রেরণাই বাড়ায় না, বরং চাকরির বাজারে শীর্ষ প্রতিভাকেও আকর্ষণ করে। তা ছাড়া চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির জন্য আবেদন করার এবং তাদের কর্মজীবনে বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যখন তারা বিশ্বাস করে যে তাদের প্রচেষ্টা ন্যায্যভাবে পুরস্কৃত হবে।
এর আগে বাংলাদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উত্থাপিত হতো। আওয়ামী লীগ সরকার এই উদ্বেগগুলো দূর করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত একটি স্বচ্ছ, মেধাভিত্তিক পদ্ধতির সন্ধান অধরা বলে মনে হয়েছিল। গত ১৫ বছরে বর্তমান সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়োগপ্রক্রিয়ার সংশোধন ও পরিমার্জন করার জন্য কাজ করে চলেছে। সংস্কারের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি একসময় বলেছিলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হলো চাকরিতে যোগ্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করা, যাতে তারা দেশের সেবা করার সুযোগ পায়।
এই মাইলফলক নিয়োগ দুর্নীতি নির্মূল করতে এবং দেশের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, একই ধরনের নিয়োগ এই সরকারের আমলে আরো অনেকবার হয়েছে, যেখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে যোগ্য প্রার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন। এই ঐতিহাসিক নিয়োগ শুধু হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর আকাঙ্ক্ষাই পূরণ করেনি, বরং বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য একটি নজিরও স্থাপন করেছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ পদ্ধতি দেশের যুবকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসকে অনুপ্রাণিত করবে, যা দক্ষতার ভিত্তিতে ন্যায্য সুযোগের নিশ্চয়তার সঙ্গে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে তাদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নিয়োগটি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধতা ও স্বচ্ছতার প্রতি সরকারের অটল অঙ্গীকারের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই নিয়োগের তাৎপর্য শুধু সংখ্যার মধ্যে আবর্তিত নয়। এই নিয়োগের মাধ্যমে যে শক্তিশালী বার্তা উপস্থাপিত হয়েছে তা হলো মেধা ও ন্যায়পরায়ণতা সব সময় বিজয়ী হবে। এই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যই নয়, নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থাকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। জাতি যখন অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেই সময় প্রশাসনকে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং ধারাবাহিকভাবে এই স্বচ্ছতাকে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে দেশে শাসনের ভিত্তি আরো মজবুত হয়।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার বিষয়টি ছাড়াও এই নিয়োগে কর্মসৃজন এবং নতুন কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা অপরিহার্য, যা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করবে। সাম্প্রতিক এই নিয়োগগুলো একটি সূচনাবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। তবে সরকারকে টেকসই চাকরির বাজার তৈরি করতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কৌশল ও সহযোগিতা চালিয়ে যেতে হবে, যা শুধু বর্তমান কর্মশক্তিকে ব্যবহার করবে না, বরং ক্রমবর্ধমান যুব জনসংখ্যাকেও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি শুধু বেকারত্ব হ্রাস করবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামগ্রিক কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এমন একটি বিশ্বে যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে, এই বিশাল নিয়োগ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। নিয়োগপদ্ধতির স্বচ্ছতা শাসনব্যবস্থার রূপান্তরকারী শক্তিকে জনগণের সামনে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে, যা সব নাগরিকের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরো ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশরুতির প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
লেখক: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটিলিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সারাবাংলা/এসবিডিই
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া মত-দ্বিমত সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা