অন্য বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ফিলিস্তিন; ইতিহাস ও পটভূমি
শাহনূর শাহীন
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩৮
২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩৮
এক.
ইসরাইলের দখলে থাকা ২২,০৭২ এবং ফিলিস্তিনের ৬,০২০ বর্গ কিলোমিটার মিলিয়ে মাত্র ২৮,০৯২ বর্গ কিলোমিটারের ভূমির মালিকানা নিয়ে গোটা পৃথিবী আজ দ্বিধাবিভক্ত। অনেকের আশংকা মতে বিশ্ব উপনীত হয়েছে আরো একটি বিশ্বযুদ্ধের। তবে সেই অনেকের সাথে দ্বিমত পোষণ করে আমি বলতে চাই ‘ফিলিস্তিন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে’ দাঁড়িয়ে আছে। সেটা কীভাবে তা ব্যাখ্যা করতে হলে তার আগে আমাদের একটু ইতিহাস পাঠ করতে হবে এবং মিলিয়ে দেখতে হবে ইতিহাসের কোনা-কাঞ্চিতে থাকা যোগসূত্র।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের পক্ষে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করেন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান। যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ে সেটি কতটা অবদান রাখতে পেরেছিলো তা বিবেচনার বিষয় হলেও অতি আনন্দিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাইজম্যানকে পুরস্কৃত করতে চাইলে ‘স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি এবং তা ফিলিস্তিন ভূখ-’- আবদার করেন ইহুদিবাদী সেই বিজ্ঞানী। তাৎক্ষণিকভাবে তার ঘোষণা না দিলেও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যান তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ। তখন থেকেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয় ধুরন্ধর ব্রিটিশরা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯১৮ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর কর্তৃত্ববাদী শাসন জারি রাখে এই ভূখ-ে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউরোপ থেকে ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনে এসে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরী করে।
১৯১৮ সালে শেষ হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একই সঙ্গে জার্মান, রাশিয়ান, অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। এসময় তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া নামক নতুন রাষ্ট্রগুলোর জন্ম হয়। পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি নতুন রাষ্ট্র বাদে তখনো সদ্য গঠিত সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে বিশাল সাম্রাজ্য থেকে যায়। অন্যদিকে তুরস্ক বাদে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীকাংশ এলাকা স্থানীয় শাসকদের অধীনে স্বশাসিত রাজ্যে পরিণত হয়। কিছু কিছু অঞ্চলের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেয় ব্রিটিশরা। বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নবগঠিত জাতিপুঞ্জ- লীগ অব নেশনস এর ‘মেন্ডেট ফর প্যালেস্টাইন এন্ড ট্রান্সজর্ডান মেমোরেন্ডাম’ ঘোষণার মাধ্যমে তৎকালীন দক্ষিণ সিরিয়া তথা জর্ডান নদীর পূর্বাংশে ট্রান্সজর্ডান ও পশ্চিমাংশে ফিলিস্তিন ব্রিটিশদের অনুশাসনের আওতায় আসে। এরমধ্যে ট্রান্সজর্ডান তথা আজকের জর্ডানকে আরবদের একমাত্র আবাসভূমি করতে ফিলিস্তিনিদের তাড়ানোর কৌশলের অংশ হিসেবে বর্তমান হাশেমি পরিবারকে স্বায়ত্বশাসনের অধিকার দেয়া হয়।
এই সময়ের মধ্যে জার্মান রাজ্য ভাইমার প্রজাতন্ত্রের পতন হলে ১৯৩৩ সালে নতুন জার্মানের চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার। এরপর ১৯৩৯-৪১ সালে পোল্যা- দখল ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক সূচনা ঘটান হিটলার। তারও আগে থেকে চীন আক্রমণে থাকা জাপানÑ জার্মানের সাথে অক্ষশক্তিয় জোট ঘোষণা দিয়ে পার্ল হারবারে আক্রমণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে আনে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই ঘটনটার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব বিলুপ্তির অদৃশ্য কালোমেঘ উত্থিত হয়। প্রশ্ন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর সাথে ফিলিস্তিনের কী সম্পর্ক! বাস্তবে এখানেই রয়েছে গভীর সম্পর্কের সূত্রপাত। যুক্তরাষ্ট্র যদি আক্রমণের শিকার না হতো তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা ছিলো না বললেই চলে। কিন্তু অক্ষশক্তি তথা জাপানের আক্রমণের পর মিত্রশক্তির সরাসরি নেতৃত্বে চলে আসে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ ও পশ্চিম ইউরোপের সাথে তৈরী হয় মার্কিনিদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। যার ফলে মার্কিনিদের সহায়তায় দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের নীল নকশা বাস্তবায়নের কূটচাল চালানোর সাহস পায় ব্রিটিশরা। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ব্রিটিশদের শক্তিশালী সঙ্গ দেওয়ার আগ পর্যন্ত গভীর বন্ধুত্বে যায়নি কখনো। বরং অতীত থেকেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ছিলো মার্কিনিদের অবস্থান। যার কারণে ব্রিটিশদের মোকাবেলায় পানির দরে বিশাল ভূখ-ের আলাস্কাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলো রাশিয়া তথা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। বিনিময়ে ব্রিটিশরা কখনো রাশিয়া আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে রক্ষা করবে এমন প্রত্যাশা জানায় সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ। এই ছিলো তৎকালীন ভূরাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষ।
সুতরাং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র না জড়ালে ফিলিস্তিনের ইতিহাস অন্যরকমও হতে পারতো। নিশ্চিতভাবেই ফিলিস্তিন তথা দক্ষিণ সিরিয়া দখল করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় বিরোধী শক্তির ভূমিকাতেই দেখা যেতো মার্কিনিদের। সেটা না হয়ে ব্রিটিশদের সুযোগ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে ফিলিস্তিন ছেড়ে যাওয়ার আগে ইহুদিদের শক্ত ভিত তৈরি করে দিয়ে যায় ব্রিট্রিশ যুক্তরাজ্য। সেই ভিত্তির ওপর ভর করেই ১৯৪৮ সালের ১৪ মে মধ্যরাতে ইহুদি জায়নবাদী নেতা দাভিদ বেন গুরিয়ন ইসরাইল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হ্যারি এস ট্রুম্যানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ব্রিটিশ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে টিকে যায় আজকের দখলদার ইসরাইল রাষ্ট্র। সেই থেকে শুরু বঞ্চনা, নির্যাতন, বাস্তুচ্যুতি ও নিজ ভূমে ফিলিস্তিনিদের পরবাসী হওয়া। এরপর আরব ইসরাইল যুদ্ধে অমীমাংসিত বিরতি তথা আরবদের (মিশর, জর্ডান, পিএলও, সিরিয়া) পরাজয়ের মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় স্থিতিশীল ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল। সেই সাথে চলতে থাকে তাদের দখলদারিত্ব, বাড়তে থাকে সীমানা। অন্যদিকে দিন দিন সংকুচিত হতে থাকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন ও ভূখ-। দখলদার ইসরাইলের মাথার ওপর হাত রেখে মধ্যপ্রাচ্যকে ব্রিটিশ প্রভাবমুক্ত করে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের মধ্য দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই জাতিসংঘের সহায়তায় মুসলিম ও আরব বিশ্বকে দ্বিধাবিভক্ত করে ছড়ি ঘুরানো শুরু করে আমেরিকা। বাধ্য করে ইসরাইল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা ভুলে যেতে কিংবা চুপ থাকতে। উসমানী খেলাফত পতনের পর মার্কিন মদপুষ্ট কামাল আতাতুর্কের ধর্ম নিরপেক্ষ তুরস্ক ১৯৪৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইসমত ইনোনুর নেতৃত্বে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। পরে যুদ্ধপরবর্তী ধকল সামলাতে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরাইলকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়। অতি সম্প্রতি ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তি করে আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সৌদি আরবের সঙ্গে শান্তিচুক্তির নামে স্বীকৃতি আদায়ের অনেকটা পথ পাড়ি দেয় নেতানিয়াহু সরকার। কিন্তু অতিসম্প্রতি সৌদি যুবরাজ বিন সালমান নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। চীনের মধ্যস্ততায় ঐতিহাসিক শত্রুরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি সিরিয়াসহ আরব রাষ্ট্রগুলোকে কাছাকাছি টানার চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি।
সম্ভবত সৌদি আরব চাইছে আমেরিকা কিংবা পশ্চিমাদের দয়ার ওপর নির্ভর না থেকে নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ওদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লান্ত পশ্চিমা শক্তি সৌদি আরবের সাথে কোনো প্রকার উস্কানিতে যায়নি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টায়। মধ্যপ্রাচ্যে আরব রাষ্ট্রগুলোর মিত্রতায় যখন একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনঠাসা হওয়ার উপক্রম; অন্যদিকে ইসরাইল সৌদি আরবের স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় দিনক্ষণ ঠিক করছিলো ঠিক সেই মুহূর্তে ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ প্রত্যাশিতই ছিলো। নিঃসন্দেহে হামাসের এই আক্রমণ শুরু হয়েছে উপযুক্ত এক সময়ে। যুদ্ধে প্রাণহানি এবং গাজাবাসীর দুর্দশার কথা জেনেও হামাস কেন আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করলো তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু এর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো এই আক্রমণের বিকল্প ছিলো না এবং এর থেকে উপযুক্ত সময় আর আসবে না। ব্যক্তিগতভাবে এর প্রধান তিনটি কারণ আজকের আলোচনায় চিহ্নিত করতে চাই।
১. প্রথমত, একদিকে ইসরাইলকে স্বীকৃতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার পথে সৌদি আরবের অবস্থান, অন্যদিকে আরব দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির মিত্রতা তৈরীর চেষ্টা। ২. দীর্ঘদিনের আরব রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যপ্রচেষ্টার ক্ষুধা থেকে সৌদি আরবের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার লক্ষণ এমনকি ইরানের সাথে সন্ধি অনেক বেশি আশাবাদী করে তুলেছে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব বিশ্বকে। ৩. ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির দ্বিধাবিভক্ত মনস্তাত্বিক অবস্থান।
এবার আসি এই কারণ বা দাবিগুলোর ব্যাখ্যায়। ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের ঐক্যপ্রক্রিয়া একবার সম্পন্ন হয়ে গেলে আর কখনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলার জন্য জোরালোভাবে কেউ থাকবে না। পুরো পরিস্থিতিই তখন পাল্টে যাবে। যেমনটা এবার শুরু থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে, কিন্তু নেতানিয়াহুকে কিছুই বলছে না। চুক্তি হয়ে গেলে সৌদি আরবের অবস্থানও এমন বিপরীত মেরুতে চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা অনিবার্য। এটা ছিলো হামাস তথা গোটা ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কার প্রধান কারণ। অন্যদিকে, মুদ্রার উল্টোপিঠে বিন সালমানের আরবদেশগুলোকে অঘোষিতভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা ছিলো আশাবাদী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। দ্বিতীয় কারণটি হলো ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিনি ও পশ্চিমাদের যুদ্ধক্লান্তি এবং বৃহৎ দুই পরাশক্তি চীন-রাশিয়ার বর্তমান সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন বিরোধী অবস্থানে থাকা। আশাবাদী হওয়ার আরো একটি কারণ সম্ভবত তুর্কিয়ে প্রেসিডেন্টের ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তির আশা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা। কারণ, ইইউতে প্রবেশের আশা বাদ দিলে পশ্চিমাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে আর কোনো কিছুই মিস্টার এরদোগানকে আটকাবে না। আর মুসলিমদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরদোগানের চেয়ে উচ্চকন্ঠ বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। যুদ্ধ শুরুর পরপরই এ আশার প্রতিফলন দেখা গেছে। ইরান বরাবরই মার্কিন-ইসরাইলের প্রতিপক্ষ শত্রু। এছাড়া তুর্কিয়ে প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়্যিপ এরদোগানই প্রথম থেকে জোরালো কন্ঠে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এবার নিরবে জোরালে ভূমিকা রেখে চলছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
লেখক: কবি, সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
সারাবাংলা/এসবিডিই
অন্য বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ফিলিস্তিন; ইতিহাস ও পটভূমি মত-দ্বিমত শাহনূর শাহীন