Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাইমড আউট এবং সাকিবকে নিয়ে বিতর্ক

মাহমুদুল হাসান শামীম
৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৪

টাইমড আউট-ক্রিকেটের একটি নতুন ধরণের আউটের সঙ্গে পরিচিত হলেন দর্শকরা। ক্রিকেটে ১১ ধরণের আউটের আইন আছে। দর্শকরা অনেক ধরণের আউট দেখেছেন কিন্তু এবার নতুন এক ধরণের আউট দেখার অভিজ্ঞতা হলো। টাইমড আউট ডিসমিস্যাল আইনটি আগেই ছিল কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উনিশ হাজার ছয়শ সাতান্নতম ম্যাচে এসে এই আইনের ব্যবহার হলো। অবশ্য প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ভারত, ইংল্যান্ড,দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া আসরে ৬টি টাইমড আ্‌উট ডিসমিসালের ঘটনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এবারের বিশ্বকাপের ৩৮ তম ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আবেদনে আম্পায়ার প্রথমবারের মতো এই আউট দেন শ্রীলংকান অলরাউন্ডার আ্যান্জেলো ম্যাথুসকে। ম্যাথুসের এই টাইমড আউট নিয়ে মাঠে উত্তেজনা যেমন ছড়িয়ে পড়ে তেমনি মাঠের বাইরেও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। টাইমড আউটের ঘটনায় কেউ সাকিবকে সমর্থন দিচ্ছেন কেউ ক্রিকেটীয় চেতনার কথা বলে ম্যাথুসের পাশে দাড়িয়ে সাকিবের সমালোচনা করছেন। নন্দিত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেছেন-‘ক্রিকেটীয় চেতনা যুক্তি হিসেবে দূর্বল। আইনের ব্যাপারে অজ্ঞতা থাকলে আত্মপক্ষ সমর্থন করা যায় না। যদি আইন থাকে, এবং আপনি তা ভঙ্গ করেন তবে নিজেকে সমর্থন জানানোর অবস্থায় আপনি নেই।’

বিজ্ঞাপন

টইমড আউট ডিসমিস্যাল আইনটি কি? ক্রিকেট আইনের প্রণেতা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব – এমসিসি প্রণিত আইসিসির আইন যার ৪০.১.১ ধারা অনুযায়ী একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার বা রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর যে নতুন ব্যাটার আসবেন তাকে অথবা অন্য ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তা না হলে যে ব্যাটার নামছেন তাঁকে আউট হতে হবে। (এটি টেস্টের ক্ষেত্রেও ৩ মিনিট এবং টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে ৯০ সেমেন্ড বা দেড় মিনিট)।

তবে বিভিন্ন টুর্নাামেন্ট বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের শুরু আগে প্লেয়িং কন্ডিশন ঠিক করে তা সব দলকে জানিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি দলের ম্যানেজার, প্রধান কোচ, অধিনায়ক তো অবশ্যই সেটি জানেন। জানানো হয় দলের প্রতিটি সদস্যকে। এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে টাইমড আউটের ক্ষেত্রে সময় ১২০ সেকেন্ড বা ২ মিনিট।

ইকুপমেন্ট ম্যাল ফাঙ্কশনের ক্ষেত্রে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন ব্যাটার ক্রিজে আসার পরও নতুন ইকুমেন্টের জন্য আম্পায়ারের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুয়াযী নতুন ব্যাটারকে সঠিক গিয়ার্স নিয়েই বলের মুখোমুখি হতে হবে। কোন বল মোকাবেলার আগে হেলমেট, গ্লাবস, প্যাড বদলের আবেদন জানাতে পারেন না। ম্যাথুস আইন ভেঙ্গে আউট হয়েছেন।

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আইনের মধ্যে থেকেই ম্যাথুসের টাইমড আউটের আবেদন করেছেন। ক্রিকেটে বোল্ড এবং ক্যাচ আউট ছাড়া অন্য সব ধরণের আউটের ক্ষেত্রে বিপক্ষ দলের অধিনায়ককে আবেদন জানাতে হয় এবং ডিসিশন দেন আম্পায়ার। এ ক্ষেত্রেও আম্পায়ার সাকিবের আবেদন জানিয়েছেন। আম্পায়ার আইন অনুযায়ী টাইমড আউটের ডিসিশন দিয়েছেন। এখানে সাকিবের দায় কোথায়?

অনেকেই বলছেন সাকিব এই আবেদনটি না করলেও পারতেন। এটি করে তিনি স্পিরিট অব ক্রিকেট বা ক্রিকেটীয় চেতনায় কালি লাগিয়েছেন। এটি লজ্জার ব্যাপার। ভদ্রলোকের খেলায় চরম হীনমন্যতার পরিচয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন অধিনায়ককে বা খেলোয়াড়কে এ দায় দেয়ার আগে ঘটনার প্রেক্ষাপট জানতে হবে। কোন দল বা অধিনায়ক হুট করেই এই অপ্রচলিত আউটের আবেদন করে না। বাংলাদেশ বা সাকিবও আগে সুযোগ পেয়েও এটি করেন নি।

পাঠক আপনাদের হয়তো মনে আছে বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে আফগানিস্তানের মুজিবর রহমান আ্যাবডোমেন গার্ড ছাড়াই ক্রিজে এসেছিলেন। পরে আরেকজনকে দিয়ে আনিয়ে পড়েন। এ নিয়ে বেশ হাস্যরস তৈরি হয়। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী সাকিব মুজিবরের বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন করতে পারতেন। করলে মুজিবর আউট হতেন। কিন্তু সাকিব করেন নি । কেন? দুটি কারণ – প্রথম কারণ, ম্যাচের কন্ডিশন ছিল নিজেদের অনুকুলে তাই সাকিব বিষয়টি ইগনোর করেছেন। অন্য কারণটি ছিল – মুজিবরের ভুলের কারণে হয়েছে এটি। কিন্তু অ্যাঞ্জেরো ম্যাথুসের ক্ষেত্রে ঘটনার প্রেক্ষাপট ছিল একেবারেই ভিন্ন। সে সম্পর্কে আসছি পরে।

ক্রিকেটের অপ্রচলিত আউটগুলোর ব্যাপারে আধিনায়করা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্তটি নেন। ম্যাথুসের আউটের ব্যাপারে সাকিব বলেছেন –“আমার দলের জয় নিশ্চিত করতে হতো। সে জন্য যা করার তাই করবো। ঠিক না বেঠিক তা নিয়ে বিতর্ক হবে। যদি আইনে থাকে তাহলে আমার সুযোগগুলো নিতে আপত্তি নেই। লংকান সাবেক অধিনায়ক ম্যাথুস এখন আইন ভেঙ্গে আউটের শিকার হয়ে সাকিবের আবেদন নিয়ে নানান কথা বলছেন। তো ৯ বছর আগে দলের জয় নিশ্চিত করতে তিনি কি করেছিলেন?

২০১৪ সালে ইংল্যান্ড ট্যুরে ৩ জুন বার্মিংহামে ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ৫ম ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটার জস বাটলারকে মানকাডিং করেছিলেন লংকান স্পিনার সচিত্র সেনানায়েকে। তখন বাটলার মাঠের মধ্যেই অনুরোধ করেছিলেন আউটের আবেদনটি উঠিয়ে নিতে। লংকান অধিনায়ক ম্যাথুস তাতে কর্ণপাত করেন নি। সেই ম্যাচ জিতে শ্রীলংকা সিরিজ জিতেছিল ৩-২ এ। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন এতে ক্রিকেটের স্পিরিটের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। সাকিব যখন দলের জয়ের স্বার্থে একই ধরণের কাজ করেছেন তখন তিনি সাকিবের আবেদনের ব্যাপারে উল্টো কথা বলছেন কেন?

আইনসিদ্ধ এইসব সুযোগ না নিয়ে প্রতিপক্ষকে অনায্য সুবিধা দিলে দলকে নায্য জয় থেকে বঞ্চিত করা হয় অনেক সময়। এর সব চেয়ে বড় উদাহরণ মুলতান টেস্ট। স্পিরিট অব ক্রিকেটের কারণে ওমর গুলকে মানকাডিং না করে দলকে নায্য জয় থেকে বঞ্চিত করেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। মুলতান টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তান পিছিয়ে ১১৪ রানে। নবম উইকেট জুটিতে ওমরগুলকে নিয়ে দলের পরাজয় ঠেকাতে লড়ছিলেন ইনজামাম । এরপর রয়েছেন শেষ ব্যাটার আরেক বোলার ইয়াসির আলী। বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের একেবারে দোরগোড়ায়। এমন সময় ওমরগুলকে মানকাডিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু রফিক মহানুভবতা দেখিয়ে গুলকে আউট না করে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। জীবন পেয়ে পরে গুল ৯৯টি বল খেলে ইনজামামকে ইনিংস টেনে নেয়ার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশকে ১ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান।

অনেকেই, মোহাম্মদ রফিকের প্রশংসা করেছেন। এখনও করেন। আমি সেই ম্যাচে মুলতানের প্রেসবক্সে ছিলাম। আমি তখনও মনে করেছি এবং এখনও মনে করি মোহাম্মদ রফিক কাজটি ঠিক করেন নি। মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে তিনি দলের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করেন নি। বাংলাদেশকে প্রথম টেস্ট জয় থেকে বঞ্চিত করেছেন। কেন মনে করি? কারণ ইনজামাম-গুলরা অনায্য সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। ইনজামাম যেন স্ট্রাইকে থাকেন সে জন্য গুল প্রান্ত বদলের চেষ্টা করছিলেন। তারা তো স্পিরিট অব ক্রিকেটের সুযোগে অনায্য সুবিধা নিয়েছেন।

এধরণের সুবিধা যেন ব্যাটাররা না নিতে পারে এজন্যই মানকাডিং,অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড,হিট দ্য বল টোয়াইস, হ্যান্ডেল্ড দ্য বল, টাইমড আউটের মতো অপ্রচলিত আউটের ব্যাপারে আইন করেছে এমসিসি। অভিজ্ঞতা থেকেই এই আইনগুলো করা হয়েছে বাড়তি সুবিধা যেন কেউ না নিতে পারে।

এ ধরণের ঘটনা কখনও কখনও হয়তো এমনই এমনি হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ঘটনার পেছনে কৌশলগত উদ্দেশ্য থাকে। ১৯৮৭ সালে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছিলেন পাকিস্তানের রমিজ রাজা। শতক থেকে এক রান দূরে ছিলেন তিনি। ম্যাচের শেষ বলে ডাবলস নিয়ে সেঞ্চুরি করতে গিয়ে ব্যাট দিয়ে বল সরিয়ে রান আউট ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ফলাফল প্রতিপক্ষের অধিনায়কের আবেদনে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট তিনি।

২০০৬ সালের আরেকটি ঘটনা। পেশোয়ারে পাকিস্তান-ভারত সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। ম্যাচে টান টান উত্তেজনা। জিততে পাকিস্তানের দরকার ৪১ বলে ৪০ রান। ইনজামাম-ইউনিস খান জুটি ব্যাটিংয়ে। ইনজামাম মিডঅফে বল ঠেলে দিয়ে নেব নেবোনা করে পরে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিডঅফে দাঁড়ানো ফিল্ডার বল তুলে স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে সরাসরি থ্রো করেন। পপিং ক্রিজের বাইরে থাকা ইনজামাম ব্যাট দিয়ে বলটি ঠেকিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন এবং কিছুটা সময় নিয়ে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ইনজামাম নিজের অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু আম্পায়াররা আইনের ব্যাপারে অনড়। ক্রিকেটীয় স্পিরিটের চেয়ে ম্যাচের পরিস্থিতিতে জয়-পরাজয়ের যখন হিসাব তখন আইনই বড়।

এবার আসা যাক শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক অলরাউন্ডার আ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ঘটনায়। তিনি যা করেছেন তা কি সাদা মনে করেছেন। না তা নয়। তিনি হিসেব কষেই এ কাজটি করেছেন। কিভাবে বোঝা যাবে? ম্যাথুস দলের অধিনায়ক ছিলেন। ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন। সাকিবের মতোই ক্রিকেটে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাঁর। তিনি ঠিকই জানতেন আইসিসির বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন। ২ মিনিটের মধ্যে সঠিক গিয়ার্স নিয়ে তাঁকে বল মোকাবেলার জন্য রেডি থাকতে হবে। বল মোকাবেলার আগে গিয়ার্স চেঞ্জের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি কি করেছেন?

মাঠে প্রবেশ করেছেন দেরী করে। বোলার এন্ডের আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ তাঁকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি টাইমড আউটের ঝুঁকিতে আছেন। এই সময় দেখার দায়িত্ব টিভি আম্পায়ারের। এই থার্ড আম্পায়ার নিতিন মেনন অন্য তিন আম্পায়ারকে দুই মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। ফিল্ড আম্পায়াররা তা নোটও করেছেন। এরপর ম্যাথুস যা করেছেন তা হলো তিনি যে হেলমেট পড়ে এসেছিলেন সেটি তার মন মতো হচ্ছে না বলে আরেকটি হেলমেট আনিয়েছেন। ট্যান্স নেয়ার আগে সেটির স্ট্র্যাপ ছিড়ে গেছে বলে আরেকটি হেলমেট আনার জন্য শ্রীলংকার ডাগ আউটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এসময় তিনি স্পিরিট অব ক্রিকেটের খাতিরে কোন আম্পায়ারের অনুমতি নেয়ার বা প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে জানানোর ক্রিকেটীয় সৌজন্য দেখান নি। দেখালে হয়তো সাকিব আর আবেদনটি করতেন না। হেলমেট ইস্যু অর্থাৎ ইকুপমেন্ট ম্যালফাঙ্কশন এর আগেই ম্যাথুসের সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ আম্পায়ার ম্যাচ শেষে এসবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আসলে ম্যাথুস সব আইন জেনেও কূটকৌশলের কারণে এই বাহানাগুলো করেছেন। সেটি কি? প্রথমত সময় নষ্ট করে বাংলাদেশের টেম্পোটে ছন্দপতনের চেষ্টা করেছেন। দ্বিতীয়ত বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বোলিংয়ে পিছিয়ে থাকলে শেষ ওভারগুলোতে বৃত্তের বাইরে একজন কম ফিল্ডার নিয়ে ফিল্ডিং করতে হয়। এতে বেশ সুবিধা পায় ব্যাটিং সাইড। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই এই সুবিধা পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছে ম্যাথুসের শ্রীলংকা। ম্যাথুস এ ম্যাচেও সে সুবিধা তৈরির চেষ্টা করেছেন। সাকিব যদি ম্যাথুসকে সময় দিতেন তা হলে বাংলাদেশকে হয়তো সে শাস্তি আবার পেতে হতো। এছাড়া প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ৫% জরিমানাও গুণতে হতো।এখন যারা সাকিবের সমালোচনা করছেন তারা অদৃশ্য এই প্রেক্ষাপটটি বুঝতে পারেন নি এবং বুঝতে পারেন নি ম্যাথুসের চালাকি। অভিজ্ঞ সাকিব এবং তার দুই সতীর্থ সেটি বুজতে পেরেছিলেন। এছাড়া ম্যাথুস শ্রীলংকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অলরাউন্ডার। এ ম্যাচে সাকিবদের জয়টা ছিল ভীষণ জরুরী। তাই সাকিব আইনের সুযোগ নিয়ে ম্যাথুসকে টাইমড আউট করে সুবিধা নিয়েছেন এবং ম্যাথুসকে অনায্য সুবিধা নেয়ার সুযোগ দেন নি।

সাকিব দলের স্বার্থে আইনসম্মত সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। একজন যখন কুটকৌশলে বাড়তি সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেন তখন স্পিরিট অব ক্রিকেটের নামে তাঁকে সে সুবিধা দেয়াটাও অন্যায়। কোন পেশাদার ক্রিকেটার যদি আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে বা জেনে শুনে আইন ভঙ্গ করে তখন তার আচরণ ও এ ব্যাপারে তাকে সমর্থন দেয়াটাও স্পিরিট অব ক্রিকেটের ব্যত্যয়।স্পিরিট অব ক্রিকেট মানে ফেয়ার ক্রিকেট প্লে। এ জন্যই ক্রিকেটের এতসব আইন-কানুন। তাহলে ক্রিকেটের আইন প্রয়োগে স্পিরিট অব ক্রিকেটের ব্যত্যয় কিভাবে ঘটে?

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, ক্রীড়াবিশ্লেষক

সারাবাংলা/এসবিডিই

টাইমড আউট এবং সাকিবকে নিয়ে বিতর্ক মত-দ্বিমত মাহমুদুল হাসান শামীম

বিজ্ঞাপন

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১

বাঘায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর