Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রেনে আগুন: মানবতা বিবর্জিত

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২১

জাতীয় স্বার্থ এবং মানবতা বিরোধী নানা অপকর্মের কারণে এবং মানুষের পাশে না থাকার কারণে বিএনপি আজ গণবিচ্ছিন্ন। মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার তাদের নেই বলে তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সেটি জানে। তাই তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই লক্ষ্যে তারা নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। আগুন দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাস, ট্রাক, ভ্যান, রিক্সা, সিএনজি এবং মোটরসাইকেল। পুড়িয়ে মারা হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে। নষ্ট করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার জাতীয় এবং ব্যক্তিগত সম্পদ। বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক এই জ্বালাও-পোড়াও নিঃসন্দেহে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং মানবতা বিবর্জিত কাজ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সব এলাকায় আগুন দিয়ে বাস, রিক্সা, ভ্যান এবং সিএনজিসহ মানুষ পুড়ানোর পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানবতা বিবর্জিত কাজ। তাদের এই জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসী কর্মকা- থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মহিলা এবং বাচ্চারাও। গত মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। ট্রেনের একটি বগি থেকে নাদিরা আক্তার পপি ও তার শিশু ছেলে ইয়াসিন এবং আরোও দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ মোট চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুধু তাই নয় বরং গত ১৫ নভেম্বরেও টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনটির দুটি বগি পুড়ে যায়। পাশাপাশি গত ১৯ নভেম্বরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত দুর্বৃত্তরা। শুধু ট্রেনে আগুন দেওয়াতেই তারা সীমাবদ্ধ নয়। ট্রেন লাইন কেটে দেওয়ার মাধ্যমেও তারা নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ তাদের জীবন ও জীবীকা নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা বুঝতে পেরেছে যে নাশকতার রাজনীতি ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই এখন। এটিই এখন তাদের একমাত্র পথ। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে অসংখ্য অসহায় মানুষকে তারা পুড়িয়ে মারছে। অনেকে তাদের সন্ত্রাসী এবং জ্বালাও-পোড়াও কর্মকা-ে আহত হয়ে এখনো যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। এর মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে। অপরাধের হিংস্রতা ও তীব্রতা বিবেচনায় এই ধরণের অপরাধ মানবতা বিরোধী তথা মানবতা বিবর্জিত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশে প্রকাশ্যে এই ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ করেও বিএনপি এখনো রাজনীতি করার নৈতিক শক্তি পায় কীভাবে, সেটি আমার বোধগম্য নয়। এরা মূলত দেশের শত্রু, এরা জাতীয় স্বার্থকে বিপন্ন করতে চায়, এরা বার বার মানবতার উপর আঘাত করতে চায়।

বিএনপি এবং তাদের সহযোগীদের বালান্সশীটে ভালো কিছু নেই। আছে শুধু অপকর্ম ও মানবতা বিবর্জিত কর্মকাণ্ড ইতিহাস। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, নাশকতা আর পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে নানা দেশবিরোধী কর্মকান্ড তারা সম্পৃক্ত। যতদিন তারা ক্ষমতায় ছিল, দেশের জন্য কোন ইতিবাচক কাজ করতে পারেনি। বরং দেশের স্বার্থকে তারা সবসময় বিকিয়ে দিয়েছে। তাদের ঝুড়িতে একটিও সাফল্য নেই। তারা আজ বাংলাদেশ বিরোধী নানা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়নে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নাশকতাকেই তারা একমাত্র অবলম্বন মনে করছে।

বিএনপি-জামায়াতের এমন মানবতা বিরোধী তথা মানবতা বিবর্জিত কর্মকাণ্ডের ইতিহাস তেমন নতুন কিছু নয়। অতীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের তান্ডব কেউ ভোলেনি। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি লাখ লাখ গাছও। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া তারা। এইসব বাধা অতিক্রম করে সেদিন জনগণ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামীলীগকে তথা গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিল। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের এক বছর পূর্তির দিনও বিএনপি জামায়াত চক্র আবার জ্বালাও-পোড়াও করে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, সরকারি স্থাপনাগুলোতে পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। ওই সময় অনেক মানুষকে হত্যা করা হয় এবং অসংখ্য মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়। বাস-ট্রাক, ট্রেন, যাত্রীবাহী লঞ্চ, ভূমি অফিসসহ অনেক সরকারি অফিসে আগুন দেয় তারা। একাত্তর সালের পাকিস্তানি হানাদারদের মতো ভয়াবহতা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখহাসিনার সরকার সেদিন জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বৃত্তদের পরাভূত করে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। বিজয়ী হয়েছিল গণতন্ত্র, যার পথ ধরে আজ আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চাই , সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করতে চাই। সন্ত্রাস, রাহাজানি, হরতাল, অবরোধ এ দেশের জনগণঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রত্যাখ্যান করেছে এই নাশকতার রাজনীতি করা সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামায়াতকে।

শহীদের রক্ত ও বাঙালি মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করতে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্ব থেকেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল জনসমর্থনহীন ও জনবিচ্ছিন্ন সংগঠন বিএনপি-জামায়াত জোটটির । তারই অংশ হিসেবে এই জন্নবিছিন্ন গোষ্ঠীটি দেশের অভ্যন্তরে জ্বালাও-পোড়াও করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সবসময়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নামে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে যাচ্ছে এই জোটটি। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচীকে জনসম্পৃক্ত করে তুলতে না পারা এবং আন্দোলনের জন্য নতুন ইস্যু সৃষ্টির ব্যর্থতায় সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে জোটটি। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মহাসমাবেশের’ ডাক দেয় বিএনপি। পাশাপাশি তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতও একই দিনে সমাবেশ করেছিল। সেদিন সকাল থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোটটির নেতাকর্মীরা সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। পিটিয়ে হত্যা করে পুলিশের এক সদস্যকে।রাজধানীর কাকরাইলে বাসে আগুন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্তত ৭টি গাড়িতে আগুন দেয় দলটির নেতাকর্মীরা। এমন কর্মকা- নির্বাচন এলেই সহিংসতা ও আগুনসন্ত্রাসে অভ্যস্ত বিএনপি-জামায়াতকে তাদের স্বরূপে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তারা যে জনগণের ওপর নির্ভরশীল নয়, জনগণের রায়ের ওপর শ্রদ্ধাশীল নয় এবং তারা যে ক্ষমতার সোনার হরিণের জন্য হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের এসব মানবতা বিবর্জিত এইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে।

তবে এখন সময় এসেছে এদের প্রতিরোধের। মানবতা বিরোধী এই দুষ্টচক্রকে আমাদের রুখে দিতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এইসব দুষ্টচক্রের সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রমে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তথা বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রগতি বিবেচনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মডেল রাষ্ট্র। টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন। পুরো পৃথিবীতে এতো অল্প সময়ে অন্য কোন রাষ্ট্র এই রকম সফলতা অর্জন করতে পারেনি। এই সকল অর্জনের মূল নায়ক জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির পিতার পর তিনিই বাঙালির ভাগ্যের এমন আমূল পরিবর্তন করেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্রকে টেকসই ও নিরাপদ রাখার জন্য একশো বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছেন। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যকরী প্রকল্প গুলোও বাস্তবায়ন করছেন। সুতরাং বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্রের বিকাশ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, জঙ্গিবাদ নিধন ইত্যাদি গুরত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রতিটি বাঙালি একমাত্র ভরসাস্থল। এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবিশ্বাসী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, জনগণের সমর্থন ও শক্তিতে অবিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত জোট জ্বালাও-পোড়াও করে ট্রেন, বাস, ট্রাক, লঞ্চ, সিএনজি ইত্যাদি পুড়ানোর মাধ্যমে মানবতা বিবর্জিত এসব কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা একান্ত জরুরী। যতদিন রবে শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ ততদিন পথ হারাবেনা বাঙালি জাতি ও আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এমতাবস্থায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মূলত বিভিন্ন অপশক্তির ছোবল থেকে গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলোর মানবতা বিবর্জিত অপকর্ম থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির নির্বাচন। এই নির্বাচন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার নির্বাচন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মানে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার নির্বাচন। সবশেষে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মূলত জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট যুদ্ধে নির্বাচিত হয়ে সকল অপশক্তির সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে ধুলিস্যাৎ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শান্তিশৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।

লেখক: উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ট্রেনে আগুন: মানবতা বিবর্জিত মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর