Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাসিক নগর ও নগরপিতাকে নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই

আসাদ জামান
১৬ মে ২০২৪ ১৬:২০

২০২৩ সালের ২১ জুন। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা। দেশের মূলধারার মিডিয়াগুলো ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছে, ‘রেকর্ড ভোটে ফের রাসিক মেয়র লিটন’। এটা অপ্রত্যাশিত কোনো খবর ছিল না। ব্যক্তি ইমেজ, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং পারিবারিক ঐতিহ্য বিবেচনায় এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন যে ফের মেয়র হচ্ছেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। অবশ্য কারণটা শুধু এই নয় যে, তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সন্তান। এটা তার পিতৃ পরিচয়। এই পরিচয়টা নিয়ে তিনি গর্ব করতে পারেন। তবে, পিতৃ পরিচয় ছাপিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন একজন নির্লোভ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে পুরো বাংলাদেশে পরিচিত। গুণী পিতার গুণী সন্তান হিসেবে নিজ দল আওয়ামী লীগে দারুণভাবে সমাদৃত। প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী— এমনকি শত্রুও তার ব্যক্তিগত সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, বিচক্ষণতা নিয়ে কথা বলে না। আর দেশপ্রেম তো তার রক্তের মধ্যে, যেটা তিনি উত্তারাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। সে কারণেই হয়তো তার পুনঃনির্বাচিত হওয়ার খবরে রাজশাহীতে সিটিতে বয়ে যায় আনন্দের ঝরনাধারা।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার বছর পূর্তির প্রায় এক মাস বাকি। এরইমধ্যে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও নান্দনিক নগর রাজশাহী এবং নগর পিতা খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম মনের মাধুরী মিশিয়ে নোংরা সাংবাদিকতা দিয়ে সত্য ও সুন্দরকে ঢেকে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করছে। তাদের এই চেষ্টা যে সফল হবে না— এটা হলফ করে বলা যায়। কেন হবে না, সেই কারণগুলো সবিস্তারে তুলে ধরার প্রয়াসে এই লেখার অবতারণা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সরকারের একটা প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু ১৯৯১ সালে। সে সময় শহরটি ছিল ঘিঞ্জি, পরিকল্পনাহীন আর যানজটে ঠাসা। সারা শহর ছিল ধুলো-বালিতে আচ্ছন্ন। সেই শহরটিই এখন পরিচিতি পেয়েছে সবুজের নগরী হিসেবে। দেশের অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় রাজশাহীর অবস্থান এখন সবার শীর্ষে। এর সিংহভাগ অবদান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের।

রাজশাহীকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার সূচনা মূলত ২০০৮ সাল থেকে। ওই বছর প্রথমবারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটাররা মেয়র হিসেবে বেছে নেন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনকে। জনরায়ের ভিত্তিতে দায়িত্ব পাওয়ার পরই রাজশাহীর রাস্তাঘাট প্রশস্ত করাসহ নানারকম নগর উন্নয়নে হাত দেন তিনি। রাজশাহী শহরকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যান। তবে, সেই উদ্যোগ চলমান থাকেনি। ২০১৩ সালের নির্বাচনে দেশের অন্য সিটি করপোরেশনগুলোর মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনও জামায়াত-হেফাজতের যৌথ অপপ্রচার শিকার হয়। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য একটা ছেদচিহ্নে আটকে পড়েন খায়রুজ্জামান লিটন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহীর সিটিতে ফের শুরু হয় দিনবদলের পালা।

তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতার বছর না ঘুরতেই রাজশাহীকে রূপ-সৌন্দর্যের অনন্য উঁচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সকল উদ্যোগের পালে হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এই মুহূর্তে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য রাজশাহী শহর অন্যতম আগ্রহের জায়গায় পরিণত হয়েছে। শহরে আসা মানুষগুলো অবাক দৃষ্টিতে এর রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের ফুলের সমারহে আটকে যায় সবার চোখ। শহরের সড়ক বাতিগুলো এরইমধ্যে আইকনিক অভিধা পেয়েছে। এ গ্রহের যে প্রান্ত থেকেই চোখ রাখুক সড়ক বাতিগুলো বলে দেয় এটা রাজশাহী সহড়। শহরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সবাই বলে ওঠেন- এমন অনিন্দ্য সুন্দর স্বপ্নকে কীভাবে বাস্তবে রূপ দিলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন?

এই প্রশ্নের দারুণ এক দার্শনিক উত্তর দিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী ও নির্মাতা আয়শা এরনি। সম্প্রতি তার এক লেখায় তিনি বলেছেন— ‘‘সমালোচনা করার জন্যও যোগ্যতা থাকতে হয়। যেমন, রাজশাহী বদলে গেল কীভাবে? কারণ হল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ওই সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রথমত পরিকল্পনাবিদ হতে হয়েছে। তাকে উদ্ভিদবিদ, প্রাণীবিদ, ভূতত্ত্ববিদ হতে হয়েছে। তাকে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শহরগুলোর সংস্কৃতি বুঝতে তার অনুসন্ধানী মনকে দিনের পর দিন গুরুত্ব দিতে হয়েছে। বলাবাহুল্য, একজন সর্বশ্রেষ্ঠ নগরসেবক কে সকল পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ পেশাজীবিদের সাথে কাজ করতে হয়, তথা ইঞ্জিনিয়ার থেকে উদ্ভিদবিদ- কেহই বাদ থাকে না। চমকপ্রদ কিছু সিদ্ধান্ত দেওয়ার মধ্য দিয়ে তখন বিপ্লব সাধিত হয়। জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হয়ে নিজের শহর কে এভাবেই ব্যক্তিবিশেষের উদ্যোগে আলাদা হয়ে যায়। অথচ পুরোনো জীর্ণ শহর বদলে যাবে তা মানুষ গ্রহণ করার প্রস্তুতিতেই থাকে না। আজ যেমন রাজশাহীর ছোট্ট শিশুরা পর্যন্ত একটা আইসক্রিমের প্যাকেট যত্রতত্র যেখানে সেখানে ফেলে না! কেন ফেলে না? নগরপিতা লিটনের নেতৃত্ব ও শৃঙ্খলায় বদলে গেছে সবকিছু। তিনি বাংলাদেশের গর্ব। বিশ্বাস করি, অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে তার স্বীকৃতিও মিলবে।’’

গ্লোবাল-ওয়ার্মিংয়ের যুগে বৃক্ষরাজি কমে যাওয়ার কুফল আমরা এরইমধ্যে পেতে শুরু করেছি। পৃথিবীর উত্তাপ এমনভাবে বাড়ছে যে, আগামীতে জীব-বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব থাকবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার সক্ষমতা হারাচ্ছে মানব জাতি। অতি বৃষ্টি, অতি খরা, অনাবৃষ্টি, অতি শীত এখন মানব বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ‘প্রকৃতিপ্রেমী’ মানুষ হিসেবে বৃক্ষায়নের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে ভুল করেননি। রাজশাহী শহরের মানুষকে নির্মল বাতাসে বিশুদ্ধ শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে অক্সিজেনের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যাপক বৃক্ষায়নে বদলে দিয়েছেন রাজশাহী শহরের চেহারা।

২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথমবার মেয়র থাকাকালীন রাজশাহী শহরকে সবুজে ঢেকে দিতে দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ প্রকল্পের মধ্যে একটি ছিল ‘জিরো সয়েল প্রকল্প’। এ প্রকল্পের আওতায় সবুজায়ন করা হয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ঠেকাতে শহরের রাস্তা ও ফুটপাথ বাদে অবশিষ্ট ফাঁকা জায়গা সবুজ গাছে ঢেকে দেওয়া হয়।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে নগর-মহানগরগুলো দিন দিন বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। রাজধানী তো বটেই দেশের অপরাপর বড় শহরগুলো পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে পাস মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারছে না। ফলে নগর পিতারা নাগরিক রোষ, ধিক্কার, সমালোচনার কণ্ঠকমালা পরে বিদায় নিচ্ছেন। বারবার বদল হচ্ছে নগরপিতা। এক্ষেত্রে এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আলাদা চরিত্র। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মতো মেয়রের দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সবুজায়ন ও ফুলে ফুলে সাজাতে নানবিধ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেন তিনি। এরফলে রাজশাহী মহানগরী এখন ক্লিনসিটি, গ্রিন সিটি ও ফুলের সিটিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সবুজ হয়েছে শহরের প্রায় ২৪ কিলোমিটার রাস্তার সড়ক বিভাজক ও সড়ক দ্বীপ। নগরীর প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাতে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। পাম, রঙ্গন, কাঠ করবি, চেরি, এ্যালামুন্ডা, জারুল, সোনালু, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, মহুয়া, হৈমন্তী, রাধাচূড়া, কাঞ্চন গাছে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। এর ফলে বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ক্ষুদ্র ধুলিকণা মুক্ত হয়েছে রাজশাহী শহর। বৃদ্ধি পেয়েছে শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

এসব কারণে পরিবেশ উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে রাজশাহী। পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে রাজশাহী অর্জন করেছে ‘এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্য ইয়ার-২০২০’ সম্মাননা। চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা ১০ম বর্ষে পদার্পণে ১ম বারের মতো এ পদক প্রদান করা হয়। জিরো সয়েল প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণসহ বহুমুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৬ সালে বাতাসে ক্ষতিকারণ ধূলিকণা কমাতে বিশ্বের সেরা শহর নির্বাচিত হয় রাজশাহী। এসবই হয়েছে একজন খায়রুজ্জামান লিটনের কল্যাণে।

২০১২ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পরিবেশ পদক গ্রহণ করেন তৎকালীন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম.খায়রুজ্জামান লিটন। একই বছর বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার। এর আগে, ২০০৯ সালেও বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করে রাসিক। এ রকম অসংখ্য অর্জন খায়রুজ্জামান লিটনকে এক অনন্য ঊঁচ্চতায় তুলে ধরেছে।

মেয়র হিসেবে খায়রুজ্জামান লিটন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী শহর উন্নয়নে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় ‘একনেক’। এটি ছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে একক সর্ববৃহৎ প্রকল্প। অথচ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধুকতে হয়েছে রাজশাহী সিটির বাসিন্দাদের। ওই সময়ের মেয়র ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ২০১৭ সালের আগস্টে এই লেখককে বলেছিলেন, ‘সরকারি দলের লোক না হওয়ায় আমাদের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না।’ কথাটা কতটা সত্য, সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু, খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকলে বরাদ্দের অভাব হয় না। তিনি রাজশাহী মহানগরের পুরোচিত্র বদলে দেওয়ার সংকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অর্থের যোগান নিয়ে তাকে ভাবতে হয় না।

মেয়র খায়রুজ্জামানের আমলেই রাজশাহীতে তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। এই মেগাপ্রকল্পের বদৌলতে পদ্মাপাড়ে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল অবকাঠামো। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এগুলো। এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার চালু হয়েছে। হাইটেক পার্কে তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীর।

নগরী কয়েকটি পুকুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন খায়রুজ্জামান লিটন। যা এখন বিনোদন স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই ডজন পুকুরের পাড় বাঁধানো, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সেগুলোকে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে রূপ দেওয়ার ‘আইডিয়া’ তারই। এছাড়া পদ্মাপাড় এখন রাজশাহীক শহরের অন্যতম উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র। পদ্মাপাড় সংলগ্ন দরগাপাড়ায় অবস্থিত হযরত শাহমখদুম রূপোশ (রহ) মাজার। পদ্মাপাড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে লালনশাহ পার্ক। শাহমখদুম রূপোশ (রহ) মাজার ও পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী।

রাজশাহী শহরের ব্যাপক উন্নয়নে আপ্লুত নগরবাসী। তারা তাদের নগর-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে এখনও অসস্তিত্বে নগরবাসী। শহরের মধ্যে রেলক্রসিং গুলোতে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ মেলে। অবশ্য দুর্ঘটনা রোধ ও নির্বিঘ্নে নাগরিকদের চলাচল নিশ্চিত ও ভবিষ্যৎ যানজট নিরসনে ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ চারলেন থেকে ছয়লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে সড়কে কিছু গাছ কাটা পড়েছে। কাটা গাছের দুই থেকে চারগুন বেশি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। যার ফলে নগরীর সবুজায়ন আরো বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং এ কথা বলাই যায়— রাসিক নগর ও নগরপিতাকে নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক

সারাবাংলা/এসবিডিই

আসাদ জামান মত-দ্বিমত রাসিক নগর ও নগরপিতাকে নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর