মোদিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু…
৫ জুন ২০২৪ ২২:৪২
জওহরলাল নেহেরুর পর ‘গুজরাটের চা-ওয়ালা’ নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। এটা এতক্ষণে পুরনো খবর। বরাবরের মতো মোদি নিজে বিপুল ভোটে জিতেছেন। ২৪০ আসন পেয়ে তার দল বিজেপি ফের একবার ভারতের বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ২৭২ ম্যাজিক সংখ্যা নির্বিঘ্নেই পার করেছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। দুই শরিক তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) লিখিত সমর্থন পেয়ে সরকার গঠনের ন্যুনতম যে কাগজে-কলমে হলেও অনিশ্চয়তা ছিল—তাও কেটে গেছে। এমন জয়জয়কারেও যেন কোথায়ও একটা হাহাকার আছে। যেন জয়টা ঠিক জয়ের মতো লাগছে না। মনে হচ্ছে, এবারের ভোটে অনেককিছুই হারিয়ে ফেলেছেন এক দশক দোর্দণ্ডপ্রতাপে দিল্লি সামলানো নরেন্দ্র মোদি।
কী হারিয়েছেন মোদি? এই প্রশ্নের উত্তর চট করে দেওয়া কঠিন। একটি-দুটি সহজ কথা বলা যায় বটে। গতবারের চেয়ে এবার বিজেপির আসন কমেছে ৬৩টি। তবুও তো একক দল হিসেবে বিজেপির ধারে কাছেও কেউ নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য অর্ধেকেরও বেশি। ভারতে টানা তিনবার সরকার গঠন চাট্টিখানি কথা নয়। তবুও এতো অপ্রাপ্তি- এতো হতাশা বিজেপি শিবিরে? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সাধারণভাবে দিতে গেলে এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলা যাবে— বিজেপির লক্ষ্য ছিল চারশো আসন। ভোটের আগে সে কথাই বারবার ভোটারদের বলেছে তারা।
কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, ৪০০ তো দূর, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনই জিততে পারেনি বিজেপি। তা না হয় হলো না। জোটের বলে সরকার গড়া সহজ। কিন্তু মোদি ম্যাজিকের হলোটা কী? যে মোদি ম্যাজিকে ভর করে বিজেপির দুর্দান্ত উত্থান। যার উত্তাল জনপ্রিয়তায় ভর করে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো এককভাবে সরকার গঠন করতে পেরেছিল বিজেপি। পরেরবারও তাই। বরং পরেরবার অর্থাৎ ২০১৯ সালে মোদি ঝড় ছিল আরও প্রবল। সেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর করে প্রায় বিনা বাধায় নিজেদের মতো করে সরকার চালিয়েছে বিজেপি, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই মোদি ম্যাজিকেই চিড়।
এককভাবে ২৭২ আসনের ল্যান্ডমার্ক পার করতে না পারা বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা। এনডিএ জোটও ব্যর্থ হয়েছে সম্মানসূচক ৩০০ ল্যান্ডমার্ক অর্জনে। কত আসন হারিয়েছে বিজেপি বা এনডিএ- তার চেয়েও বড় কথা কোথায় কোথায় আসন হারিয়েছে তারা। বিজেপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত অনেক রাজ্যে ধাক্কা এসেছে এবার। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বাংলায় ভালো করার আশা ছিল বিজেপির। ঠিক সেই জায়গাগুলোতেই আশানুরূপ ফল পেল না মোদির দল। মোদির গুজরাটেও আসন হারিয়েছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কে ভেবেছিল বিজেপি হারবে? সেখানেই আখিলেশের দলের সঙ্গে পেরে উঠেনি বিজেপি। অর্থাৎ, যেসব ইস্যুতে ভারতে এক দশক প্রবল প্রতাপের শাসন চালিয়েছে বিজেপি, সেগুলোতে এবার আর কাঙ্ক্ষিত স্রোতে ভোট আসছে না।
ঠিক এ কারণেই হয়ত অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার মধ্যে ‘ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকারও’ যোগ করে দিয়েছেন এবারের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম সফল দল ও ইনডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফলের পর এক বক্তৃতায় তিনি দলগুলোর জন্য ইনডিয়া জোটের দরজা খোলা উল্লেখ করে বলেন- বিজেপির ফল বিপর্যয়ে মোদি ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
এর বাইরে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আগের দুইবারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী বিরোধীদল পেতে যাচ্ছে লোকসভা। পার্লামেন্টের উভয়কক্ষেই বিজেপিকে কঠিন সময় উপহার দিতে যাচ্ছে তারা।
এর বাইরে যে সমীকরণ বিজেপিকে ভোগাবে সেটি হলো জোট সমীকরণ। নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই যুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ১৪ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর ভার সামলিয়েছেন তিনি। বাকি ১০ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের। এই দীর্ঘ সময়ে কখনোই জোটসঙ্গীদের উপর ভরসা করতে হয়নি তাকে। জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) কার্যকর ছিল বটে, কিন্তু অনেকটা নামমাত্রে। এখন ভারতের গোলমেলে জোটের হিসাব ঠিক রাখতে সদা সতর্ক থাকতে হবে মোদিকে। ১৬ এবং ১২টি লোকসভার আসন নিয়ে দিল্লির ‘আসল’ চাবি চন্দ্রবাবু নাইডু আর নীতিশ কুমারের হাতে। আবারও ভারতে ফিরেছে কিংমেকারদের যুগ। ফলে সরকার গড়লেও স্বস্তিতে থাকবে না বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি।
অন্ধ্রপ্রদেশের হবু মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু শান্ত-স্থিতধী রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাত। বিশেষ করে আলোচনার টেবিলে তার জুড়ি মেলা ভার। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ রাজনীতি করেছেন। এরপর বিজেপি থেকে বের হয়ে আঞ্চলিক দল হিসেবে নির্বাচন করেন নাইডু। ২০১৪ সালে এনডিএ জোটে ফিরে বিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। সবশেষ ২০১৮ সালে দলত্যাগ করে জেল খাটেন সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। পরে জেল থেকে বের হয়ে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন ৭৪ বছর বয়সী প্রভাবশালী এই নেতা। আর এবারের নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে মিলে বাজিমাত করলেন তিনি। অন্ধ্রতে টেক্কা দিয়েছেন তরুণ তুর্কি জগমোহন রেড্ডিকে। জোটের রাজনীতিতে তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডুর শক্তিশালী ভূমিকা স্পষ্ট হবার পর টিডিপির নেতারাই বলছেন- এনডিএর কাছে লোকসভার স্পিকারের পদ চাইবেন নাইডু। কারণ লোকসভা পরিচালনা এবং আইন প্রণয়নে স্পিকারের একটি বড় ভূমিকা থাকে। এছাড়া বাজপেয়ী সরকারের সঙ্গে থাকার সময়ে টিডিপির নেতা জিএমসি বালাযোগী লোকসভার স্পিকার ছিলেন। তাই নাইডুর লোকসভার স্পিকার পদ ঘিরে স্বপ্ন দেখছে তার দল টিডিপি।
অপরদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারেরও রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস। রাজনীতির মাঠের এই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ২০০৪ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অধীনে এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। তবে রাজনীতির ময়দানে নীতিশের একটি ডাকনাম রয়েছে। তা হলো ‘পল্টিরাম’ বা ‘পল্টিকুমার’। বারবার জোট পাল্টে রাজনৈতিক পরিসরে এই নাম হয়েছে তার।
তার টিম পাল্টানোর সর্বশেষ উদাহরণটি টাটকা। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে শায়েস্তা করতে সবকটি বিরোধী দল নিয়ে বড় আকারের ইনডিয়া জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তাদের একজন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে নানা নাটকীয়তায় ইনডিয়া ব্লক ছেড়ে পাড়ি জমান মোদি শিবিরে। তার এই দলবদলের কারণে বিহারে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। অবশ্য ফল প্রকাশের পর সরকার গড়ার জন্য কাগজে কলমে কংগ্রেস যে জটিল অংকটি কষছিল- তাতেও নিশ্চয়ই মূল খেলোয়াড় নীতিশ কুমার। তার ঘন ঘন দলবদলের ইতিহাস স্মরণ করে বিশ্লেষকরাও বলেছেন, কংগ্রেস চেষ্টা করে দেখতেই পারে।
লোকসভার ১২টি আসন পাওয়ার পর অনেকটা অন্তরালে চলে গিয়ে জল্পনা উস্কে দেন নীতিশ। খবরে তার নাম আসে আরও বড় করে। জল্পনা ছড়ায়, গোপনে ইনডিয়া জোটের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও রাখঢাক না করেই বলেছেন, নীতিশ-নাইডুর মতো নেতাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা তারা করবেন।
এর মধ্যে আজ বুধবার নীতিশ কুমার ইনডিয়া জোটের অন্যতম শরিক ও বিহারের প্রভাবশালী নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে এক বিমানে চড়ে দিল্লি পৌঁছেছেন। ছবি সামনে আসার পর নীতিশকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠে। তবে বিকেলে অবশ্য বিজেপিকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে এনডিএ জোটের বৈঠকে বিজেপির প্রতি লিখিত সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। একই বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডুও লিখিতভাবে মোদিকে আশ্বস্ত করেছেন।
এই যে লিখিত দিয়ে আশ্বস্ত করতে হলো, বা মোদিকে আশ্বস্ত হতে হলো—এমনটা কেউ কী গত ১০ বছরে দেখেছে? গত এক দশক প্রতাপশালী বিজেপিকে কী কারো গ্যারান্টি নিতে হয়েছে? কাউকে কী বলতে হয়েছে, আমি কোথায়ও যাচ্ছি না, সঙ্গেই আছি? উত্তর হলো, না। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদির জন্য বা তার নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের এটা এক নতুন অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতাটি নিয়ে যে খুব গর্ব করবে বিজেপি, তা নয়।
নীতিশ-নাইডুকে সঙ্গে নিয়ে সহজে সরকার গঠন করলেও যে কোনো সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর খড়গ ঝুলবে বিজেপির সামনে। চাইলেও আগের মতো কোনো আইন, কোনো বড় সিদ্ধান্ত আর নিজের মতো করে নেওয়া যাবে না। আগে জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করতে হবে। তার পর বড় আকারের বিরোধীদলকে মোকাবিলা করতে হবে জোটসঙ্গীদয়ের নিয়েই। সংসদ চলাকালে সমর্থন প্রত্যাহার করে সরকার ফেলে দেওয়া ভারতীয় রাজনীতিতে বহুল চর্চিত অভ্যাস। বিজেপি নিজেই ভুক্তভোগী হয়েছে আগে। ১৯৭৭ সালে ভারতের প্রথম জোট সরকারের উদাহরণ টানা যায়। বিজেপির পূর্বসূরি ভারতীয় জনসংঘসহ ১১টি দল একজোট হয়ে জনতা সরকার গঠন করেছিল। রংধনু ওই জোট ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এর পরের সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কৃষক নেতা চরণ সিং। তাকে সমর্থন দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস। ইন্দিরা গান্ধী মাত্র ২৩ দিন পর চরণ সিংয়ের উপর থেকে তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। সুতরাং, ভয় নিয়েই সরকার চালাতে হবে বিজেপিকে।
একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল জোট গঠনের প্রশ্নে প্রশ্নাতীতভাবেই এগিয়ে রয়েছে ২৯২ আসন পাওয়া এনডিএ জোট। এনডিএ-র জোটসঙ্গীদের কাছে এটা অন্তত স্পষ্ট- বিজেপির সঙ্গে থাকলে আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতা নিশ্চিত। আর ইনডিয়া জোট ২৩৪ আসন নিয়ে জোটে আরও নতুন সঙ্গী ভিড়িয়ে অস্থিতিশীল একটি সরকার গঠন চায় না বলেই মনে হচ্ছে। বরং ইনডিয়া ব্লকের অধিকাংশ নেতার কণ্ঠে শোনা গেছে সন্তুষ্টির সুর। এবার ভালো ফল না করলে রাজনীতিতে অনেকের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যেত। এবার যেটুকু হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে আগামীতে পূর্ণ বিজয় নিশ্চিতের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এবারের নির্বাচন ছিল কংগ্রেসসহ বিরোধী জোটের ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর দুঃস্বপ্নকে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসসহ ও বিরোধী দলগুলো। বিজেপির দাপটে অনেক বড় আঞ্চলিক দলগুলোকে খুব ছোট দেখাচ্ছিল এতদিন। যেমন উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি। এমনকি খোদ কংগ্রেসকে দেখেই মনে হতো অস্তমিত সূর্য। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রবল চাপে রেখেছিল বিজেপি। এবার ভোট শেষে এসব দল আসলে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে।
এই সাফল্যের কারিগর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নানা সমালোচনা, জোটসঙ্গীদের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে থেকেও তিনি পরিশ্রম করে এই সাফল্য আদায় করে নিয়েছেন। রাহুল গান্ধী তার পাপ্পু ইমেজ থেকে অফিসিয়ালি বের হতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে রাহুল নিজেকে একজন শক্তিশালী জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটিই কংগ্রেসসহ ইনডিয়া জোটের একটি বড় সাফল্য।
নির্বাচনে হেরেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস বা ইনডিয়া জোটের এত এত সাফল্যের গল্পও বিজেপিকে পীড়া দেবে। তবে আগেই বলেছি, বিজেপির সবচেয়ে বড় অশনিসংকেত মোদি ব্র্যান্ডের হ্রাস। তাই অনেকের মতে, মোদি জিতেও হেরে গেছেন। কিন্তু, রাজনীতিতে কী শেষ কথা এত সহজে বলে দেওয়া যায়? লাগাম তো এখনও মোদির হাতেই। আসলেই কী জিতেও হেরেছেন মোদি? আসলে এই প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর পাওয়া যাবে আগামী পাঁচ বছরে।
লেখক: ডেপুটি এডিটর, সারাবাংলা
সারাবাংলা/আইই