মব জাস্টিস ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রতিকারে চাই কঠোর পদক্ষেপ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩২
স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লেখালেখি করায় অনেক ঝকমারি থাকে। অসতর্কতা, যথাযথ শব্দ চয়নে ব্যর্থতা, পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি ইত্যাদি থাকলে পরিস্থিতির উপশম না হয়ে আরো প্রজ্জ্বলন হতে সময় নেয় না। যারা এগুলো নিয়ে লেখালেখি করেন বা নাড়াঘাটা করে থাকেন তারা অতি আবেগ থেকে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে করে থাকেন। অনেকে সুনির্দিষ্ট এজেণ্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেও তা করে থাকেন। আবার অনেকে সংঘাত, বিশৃঙ্খলা উসকে দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে থাকেন। এর মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িকতা বা দলীয় উগ্রতার বীজ লুক্কায়িত থাকে তাহলে তো তার মাত্রা আকারে প্রকারে ব্যাপক হয়ে থাকে। এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে সুবিবেচনার ফ্যাকাল্টি বন্ধ থাকে। তা সে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী, গরীব, লঘু-গুরু যে শ্রেণীভুক্তই হোক না কেন? হতাশার বিষয় হলো, বিবদমান পক্ষদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপনে কোন তৃতীয় পক্ষ এখন পাওয়া যায় না। রেফারির ভূমিকায় সরকার বরাবর লেট লতিফের মত আবির্ভূত হয়। এটা পরিস্থিতির গতিপ্রকৃৃতি বুঝে উঠতে সময় নেওয়ার কারণে অথবা প্রকৃৃত তথ্যের ঘাটতির কারণেও হতে পারে।
আগে সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশীল শ্রেণীর একটা অবস্থান ছিলো, বলিষ্ঠ ছিলো তাদের কণ্ঠ, প্রভাব তো অবশ্যই ছিলো। এখন তা আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত। আগে বিবেকের কণ্ঠ হিসেবে কেন্দ্রে বা মফস্বলে সিংহ হৃদয়ের পুরুষরা থাকতেন। তারা পাড়া মহল্লা দিয়ে হেঁটে গেলে খবর হয়ে যেত। শৃঙ্খলা আপনা আপনি সিনা বরারব সটান থাকত। এখন সেরূপ কাউকে দেখা যায় না। যারা মাঝেমধ্যে বিবেকের চাপে পড়ে ভূমিকা নিতে সচেষ্ট হোন বিবদমান পক্ষ বা গোত্র বা দল তাদেরকে প্রথমেই অমুকের দালাল বা অমুকের পক্ষাশ্রিত বা বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বা বিরোধী দলের তকমা লাগিয়ে পিণ্ডি চটকাতে শুরু করে দেয়। তার ব্যাক্তিগত চরিত্রের আব্রু উৎপাটনের চেষ্টা করে। পারিবারিক জীবন বিভীষিকাময় করে তোলে। সামাজিকভাবে তাকে অনুক্ষণ হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন আয়োজন প্রস্তুত করা থাকে। আর রাজনৈতিক শক্তি চড়াও হলে তার জীবন বহুমাত্রিক হুমকির মুখে পতিত হয়। সঙ্গত কারণে এ শ্রেণীর দেখা এখন আর পাওয়া যায় না।
এখন প্রতিটি সেক্টরে চরম মনোভাবাপন্ন লোকের উন্মেষ ঘটেছে। তাদের নির্দিষ্ট কোন ব্যাকরণ নেই। যেখানে যতটুকু ঘি আছে সেখানে তাদের উপস্থিতি তত ঘন। এখন সামাজিক সমঝোতার কথা বললে সমাজস্থিত লোকেরাই সন্দেহ নিয়ে তাকায়, ভাবে নতুন এ ধান্ধাবাজের আবির্ভাব হলো কবে, কেন? তাই, বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন কায়দায় আপদ ডেকে আনছে, পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে, জিইয়ে রাখছে আর হিডেন এজেণ্ডা বাস্তবায়নের ফিকির করছে। তাই, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে এখন সমাজের সিংহভাগ মানুষ নিরুত্তাপ দর্শক। কার গর্দান গেল, কে কাকে গুম করলো, নিপীড়নে কে কিভাবে কতটা নৃশংস ইত্যাদি শোনার, দেখার, জানার কৌতুহল থাকলেও দরোজার চৌকাঠ পেড়িয়ে এসে অভিমতটুকুও দিতে চান না এখন কেউ।
কথাগুলো বলছিলাম সাম্প্রতিক মব জাস্টিস আর সংঘাত নিয়ে। এসব সংঘাতের বহুমুখ দৃশ্যমান হচ্ছে। আবার বৃহত্তরভাবে এর অন্য একটা নকশাও থাকতে পারে। শুরু করা যাক, অতি সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত নৃশংস কিছু হত্যার চিত্র দিয়ে। কেউ হয়ত মোবাইল খোয়া যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে আবার কেউ হয়ত অন্য কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়েছে। তাই প্রতিশোধ গ্রহণ বা সন্দেহভাজনের উপর চড়াও হয়ে তাকে নিশ্চিহ্ন করা বা প্রাণে বধ করাই যেন এর সহজ ও একমাত্র সমাধান। কেউ একজন বললো ওই যে দালাল যাচ্ছে, ওই যে অমুক চোর, লুটেরা যাচ্ছে অমনি জনতা উন্মত্ত হয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। দু’চারটে চড় থাপ্পড়েও যেন এই ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার নয়, প্রাণ হননই যেন এর একমাত্র বিনিময় মূল্য । নৃশংসতার মাত্রা এতটাই বিকৃত রূপ পরিগ্রহ করেছে, মানসিকতা বা মানবিকতার এতটাই অধপাত হয়েছে যে, নগদ নিষ্পত্তিই এখন যথোপযুক্ত বিচার বলে বিবেচিত হচ্ছে।
যে ঘটনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘটেছে তা হঠাৎ করে নিরবে নিভৃতে চোরাগোপ্তা হামলার ফল স্বরূপ হয়েছে এমনটি ভাববার কোন কারণ নেই। বিকৃতির, পৈশাচিকতার মাত্রা এতটাই চরমে পৌছেছে যে, ধৃত ব্যাক্তিকে খাইয়ে দাইয়ে শক্ত সামর্থ্য করে পিটিয়ে পিটিয়ে বধ করতেও তারা পিছপা হয় নি। সেখানে অনেক ছাত্রই উপস্থিত ছিলো, শিক্ষক নামধারী অতিবিলাসী গুরুরাও তো কোন না কোন পর্যায়ে ওয়াকিবহাল হয়েছিলেন এ ঘটনা সম্মন্ধে। চাক্ষুষও করেছিলেন। কেউ কি থানা পুলিশে খবর দিতে পারলেন না?
নির্যাতনকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে পারলেন না? নাকি উদ্যোগই নেন নি? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সস্তা দাওয়াই হিসেবে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। একটি বারের জন্যও কি তারা ভেবে দেখেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধেও সময়মত যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে? বিবেকের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, তাদের কি আইনের হাত যে কত লম্বা সে সম্মন্ধে কোন ধারণা এখনো হয় নি? নাকি বিগত বছরগুলোর একপাক্ষিক সংস্কৃতির ট্রমা বণ্ডেজ থেকে তারা এখনো বেরিয়ে আসতে পারছেন না?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক আর সুশীল নামধারী কিছু পচন ধরা মতবাদে বিশ্বাসী গোষ্ঠী এমন একটা আবহ তৈরি করে রেখেছে যে, দেশের প্রচলিত আইন ও সরকার তাদের ভরা যৌবনে হাত দিতে পারবে না। দিলেই সতীত্ব হরণ হবে। তারা থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ভাবটা এমন যে, তারা সমাজস্থিত সবাইকে জ্ঞান দেবেন, নসিহত করবেন কিন্তু তারা নিজেরা তা অনুশীলন না করলেও কোন কিছু অশুদ্ধ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি চলে। এতে অনেকে দোষ ধরেন। নিষিদ্ধের দাবীও ওঠে। ব্যস, ওই পর্যন্তই। ছাত্ররা তো বটেই শিক্ষকরাও ছাত্রদের সাথে এ ব্যাপারে একাট্টা। কারণ, তারাও যে দলীয় লেজুডবৃত্তি করে অভ্যস্ত। তাহলে তো তাদেরও রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কথা উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশাসক হতে চান। সচিবের মর্যাদা পেতে চান। স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশন, বোর্ড, সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হতে চান। কিন্তু প্রশাসনের প্রথম ছবক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের বড়ই কুণ্ঠা। হলে হলে প্রভোস্ট রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে রয়েছে প্রক্টোরাল টিম। তা সত্বেও প্রতিটি হলেই টর্চার সেল, গণরুমের অস্থিত্ব আজ চরম বাস্তবতা। সেখানে কি হয়, কারা করে তারা কি জানেন না? জানেন। আপোষে চলেন, অন্যকথায় ভয়ে ভয়ে সমঝে চলেন, রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের চোখের ভাষা বুঝে চলেন। এই যে এত ঠাণ্ডা মাথায় বেশ সময় নিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটলো এর দায় হল প্রশাসন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী এড়াতে পারবেন? সময়মত যথোপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এসব অনাকাংখিত মৃত্যু কি এড়ানো যেত না? নিশ্চয় যেত।
সরকারের উচিত এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের নিমিত্ত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কোন প্রিভিলেজ না দেওয়া। এরূপ দু একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেপোরোয়া ও স্বেচ্ছাচারি কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে অবশ্য অবশ্যই শিক্ষক রাজনীতিও বন্ধ করতে হবে। শিক্ষকরা পাঠদানে, গবেষণা কর্মে যাতে অধিকতর মনোনিবেশ করতে পারেন, সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেন, স্ব স্ব ক্ষেত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে লিয়েনের উছিলায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পদে নিয়োগ করা হতে বিরত রাখতে হবে। তবেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শৃঙ্খলা ও পড়ার অনুকূল পরিবেশ ফিরে আসবে। হয়ত ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। সরকারকে কঠোর হতে হবে। দু একটা ঘটনার বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হলে জনগণের মধ্যেও বার্তা পৌছে যাবে। মব জাস্টিস বা গণপিটুনি যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, তা রাজনৈতিক,সাম্প্রদায়িক,জাতিগত বা যে কারণেই উৎপত্তি হোক না কেন তার প্রকোপ হ্রাস পাবে।
সমসাময়িক আরো একটি ঘটনা ক্রমশ ব্যাপক হচ্ছে, যার পরিণতি রাষ্ট্রীয় স্বার্থে মোটেই কাম্য না। পাহাড়ে অশান্তি ব্যাপকতর হচ্ছে। দুপক্ষ একে অপরের প্রাণ সংহারক হিসেবে মুখোমুখি হয়ে জীবনপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। প্রাণ যাচ্ছে, বাড়ীঘর জ্বলছে। সমাধানের বা প্রশমিত হওয়ার কোন লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে না। কারা, কেন এতে মদদ দিচ্ছে, কী তাদের অভীষ্ট তা খতিয়ে দেখে সরকারকে দু পক্ষের প্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে স্থায়ী সমাধান পথে অগ্রসর হতে হবে। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসের বিষবাষ্প নিবার্পিত করে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে উভয়পক্ষকেই ঠাণ্ডা মাথায় এক টেবিলে বসতে হবে। তৃতীয় বা চতুর্থ বা বহুপক্ষের অংগুলী হেলনের খপ্পরে পড়ে রাষ্ট্র বা শান্তিকামী জনগণ যেন বৃহত্তর কোন ক্ষতি বা বিপদের মধ্যে না পড়ে। কথা উঠতে পারে এই মব জাস্টিস বা গণ পিটুনি কেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো? অবশ্যই এর কারণ খুঁজে বের করা দরকার। কিন্তু যারা এই কাজটি করবেন তারা মেহেরবানি করে দল, মত, গোষ্ঠী, ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে এই কাজটি করবেন। নইলে সমাধানের নামে যার যার পক্ষকে প্রদর্শনযোগ্য যুক্তির মোক্ষম উদাহরণ যুগিয়ে প্রকারান্তরে তাদেরকে সংশপ্তকের ভূমিকা নিতে প্ররোচিত করা হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। বিগত বছরগুলোতে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে জনরোষ আছে। খবরকে মেক আপ করে উপস্থাপন, দলীয় ও কোটারী স্বার্থে উসকে দেওয়া, চিহ্নিত স্তাবকদেরকে টক শো-তে এনে অকাতরে ফ্লোর প্রদানের মাধ্যমে ঘটনা প্রবাহকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা, অপকর্মকে গ্লোরিফাই করায় জনগণ মিডিয়ার উপর বেজায় বিরক্ত। এর প্রমান পাওয়া যায় কতিপয় মিডিয়া টাইকুনের সাম্প্রতিক পলায়নের চেষ্টা জনিত গ্রেফতার হওয়া থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র বেশ কয়েকটি চ্যানেল মিনিটে মিনিটে প্রচার করে সংঘটিত ঘটনার মাত্রা বুঝাতে চাচ্ছে নাকি জনমত গঠনে কাজ করছে নাকি তৃতীয় কোন পক্ষকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ করে দিতে পুন: পুন: নৃশংসতার চিত্র সম্প্রচার করা হচ্ছে? বিষয়টি ভেবে দেখার মত। সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখলে বৃহত্তর পরিসরে দেশ ও জাতি উপকৃত হতে পারে।
এরূপ ঘটনা যেন আর না ঘটে সেরূপ বার্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেটা তারা কি প্রকারে করবেন সেটা তাদের কৌশল ও সৃজনশীলতার উপর নির্ভর করবে। রুল অব ল স্থাপনই এখন জরুরি। এতে কোন ছাড় নেই। এরূপ অপকর্ম করে কেউ ছাড় পাবে না- এ বার্তা যেন সবার মননে স্থান পায় সে কাজটিই এখন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও পাহাড়ে সংঘটিত ঘটনা সমূহের ব্যাপারে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে হবে। সময় সময় তার আপডেট প্রচারে মিডিয়াকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে। কোন পক্ষই যাতে একে পুঁজি করে ফায়দা নিতে না পারে সে ব্যাপারেও সরকারের করণীয় আছে। মোটকথা বসে থাকার সুযোগ নেই। ঢিলেঢালা পথ চললে তা বুমেরাং হয়ে দ্বিগুণ, ত্রিগুণ আকারে এমনকি বহুমাত্রায় ফিরে আসতে পারে। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এজেডএস
আনোয়ার হাকিম মব জাস্টিস ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রতিকারে চাই কঠোর পদক্ষেপ