Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নদী শাসনই কুড়িগ্রামের দারিদ্রতা নিরসনের মূখ্য উপায়

প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৯

দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার জনসংখ্যা ২৩ লাখের কিছু বেশি এবং এই জনসংখ্যার ৫ থেকে ৬ লাখ লোক নদী দ্বারা সৃষ্ট চর এলাকায় বসবাস করে। চর এলাকার আয়তন মোট ভূমির ২২%। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পানি বহনকারি নদী ব্রহ্মপুত্র নদ কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। নদী বেষ্টিত হওয়ায় প্রতিবছর সবগুলো উপজেলা বন্যায় ৩-৪ বার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উপজেলাগুলোর নদী তীরবর্তী ৪১টি ইউনিয়নের দুইশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ও গবাদি পশু পানি বন্দি হয়ে পড়ে এবং গড়ে প্রতি বছর জেলায় ২ হাজার ৩৬১ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়। জেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দু:খ-কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই। প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে দারিদ্রের হার ৭০.৮ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের হার ৫৩.২ শতাংশ। এর মধ্যে জেলার রাজীবপুর উপজেলার ৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষই দরিদ্র যা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী চাকমাদের দারিদ্রহারের চেয়েও অনেক বেশি। অথচ সারা দেশে এখন দারিদ্রের হার ১৮.৭%। ভৌগোলিকভাবে নদী ও চরবেষ্টিত হওয়ায় অন্যান্য জেলার চেয়ে এ জেলার সমস্যাগুলো অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেকটা ভিন্ন ধরণের। জেলার অধিকাংশ চর স্বাধীনতার পর হতে অদ্যাবধি সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় আসেনি, ফলে নদী সৃষ্ট চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এ অঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, ‘নদী কুলে বাস ভাবনা বারোমাস’। অর্থাৎ নদীর তীরে বাস করলে বন্যা, ভাঙ্গন আর খরা নিয়ে বারো মাসই অজানা আতংকের ভাবনা নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

যে কোন একটি জেলা বা অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে হলে প্রথমে শিক্ষার বীজ বপন করতে হয়। কোন একটি এলাকা অন্য এলাকা থেকে কতটা অগ্রগামী বা পশ্চাৎপদ তা পরিমাপ করা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সময় দেখে। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগজ্ঞের লস্করপুর প্রাথমিক স্কুল। আরো কয়েকটি প্রাচীন প্রাথমিক স্কুল হলো- রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল (প্রতিষ্ঠা-১৮২৮ সাল), বরিশাল জিলা স্কুল (১৮২৯ সাল), রংপুর জিলা স্কুল (১৮৩২ সাল), রাউজান আর.আর.এ.সি আদর্শ স্কুল, চট্টগ্রাম (১৮৩৫ সাল), ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল (১৮৩৫ সাল) ইত্যাদি। কুড়িগ্রাম জেলার সবচেয়ে প্রাচীন সরকারি প্রাথমিক স্কুল হলো রৌমারি মডেল সরকারি প্রাথমিক স্কুল ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় কুড়িগ্রাম জেলায় ১২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চরাঞ্চলে রয়েছে ১৬৯টি যা জেলার ৪২০টিরও অধিক সংখ্যক চরের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ফলে অনেক চরে প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে হাইস্কুল কিংবা কলেজ স্থাপনের কথা বাদই দিলাম আজকেও যদি কোন চরে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয় তাহলে সেই চরটি সমগ্র দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে হবিগজ্ঞের লস্করপুর এলাকার চেয়ে ২০৭ বছর এবং কুড়িগ্রাম জেলার প্রেক্ষাপটে রৌমারি মডেল সরকারি প্রাইমারি স্কুলের তুলনায় ১৩০ বছর পিছিয়ে আছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন সেনাবাহিনীর সম্মান কোড হলো- অসহায় কোন সাথীকে পিছনে ফেলে যাব না (The motto “leave no man behind” is a central part of the United States military’s code of honor.)। গ্রাম বাংলায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে, ‘রাস্তার এক পাশে পাঁচতলা আর অন্য পাশে শুধু গাছতলা’। এ উক্তি দিয়ে কোন এলাকা অগ্রসর তা বলা যাবে না। কোন একটি এলাকা বা কোন জনগোষ্ঠী যদি নিজ দেশের অন্যান্য এলাকা বা জনগোষ্ঠী থেকে এতটাই পিছিয়ে থাকে তাহলে সামষ্টিক উন্নয়ন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। দেশের অন্যান্য জেলাগুলো যদি কুড়িগ্রাম জেলাকে এতটাই পিছনে ফেলে যায়, তা হলে সেটাকে সুষম উন্নয়ন বা সমান তালে চলার দৃষ্টান্ত বলা যাবে না। আমাদের এ জেলার উন্নয়নে বাঁধা কোথায়? উত্তর হলো নদী। নদী নিয়ে সমস্যা কোথায়? উত্তর- নদী শাসন একান্ত জরুরী। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নদী শাসন করা কি একেবারেই অসম্ভব! মোটেই না- নদী শাসন অবশ্যই সম্ভব। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আর মানুষের চিন্তা চেতনায় নিত্য নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক দেশ শুধু নদী নয়, সমুদ্রও শাসন করে ভাঙ্গন ও ক্ষতির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে। এমনকি আমাদের দেশেও নদী শাসনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে কুড়িগ্রাম জেলার নদী শাসনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা যেতে পারে।

সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য গর্ব করার মতো। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সারাটা পথ এক বাসে চড়েই ঘুরে বেড়ানো যায়। এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার নির্মাণেও বাংলাদেশের সাফল্য অভূতপূর্ব। মহাসড়ক কিংবা ফ্লাইওভার নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি যা ব্যয় হয় তারচেয়ে অল্প খবচে এক কিলোমিটার নদীর তীর বা পাড় সুন্দর করে বাঁধাই করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় শতকোটি টাকা বা এর চেয়ে বেশি। প্রথম আলোসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন মোতাবেক ঢাকা- সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারে খরচ ১১৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ৩০৬ কোটি টাকা। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।

এবারে মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। কুড়িগ্রাম জেলার ১৬টি নদীর মধ্যে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা নদীর কথা ধরা যাক। পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম সূত্রে জানা গেছে ব্রহ্মপুত্র নদের কুড়িগ্রাম অংশে তীরের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার, তিস্তা তীরের নদীর দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার এবং ধরলা নদীর তীরের দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটিার। তিনটি নদীর উভয় পাশের তীরের দৈর্ঘ্য ২৪৪ কিলোমিটার। ধরলা নদীর গড় গভীরতা ৩.৭ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ১২ মিটার। বর্ষাকালে পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ৭.২৫ মিটার। তিস্তা নদীর গড় গভীরতা কিংবা সর্বোচ্চ গভীরতা ১২ মিটার এবং বর্ষাকালে পানির সর্বোচ্চ গভীরতাধরলা নদীর অনুরুপ। ব্রহ্মপুত্র নদের গড় গভীরতা ৩০ মিটার এবং এর সর্বোচ্চ গভীরতা ১৩৫ মিটার। ধরলা বা তিস্তা নদীর এক কিলোমিটার পাড় বাঁধাই বা ঢালাইয়ের জন্য খরচ হবে ২৫ কোটি টাকা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের ক্ষেত্রে তা হবে ৭৫ কোটি টাকা। উল্লেখিত টাকা প্রতি কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে অনেক কম। মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ, স্থাপনাসহ অন্যান্য সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে নদীর তীর বাঁধাইয়ে তেমন প্রতিবন্ধকতা না থাকায় খরচও অনেক কম হয়। ধরলা নদীর উভয় তীর ঢালাইয়ে বা বাঁধাইয়ে ব্যয় হবে ২০০০ কোটি টাকা, তিস্তার নদীর ক্ষেত্রে ২০০০ কোটি টাকা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের ক্ষেত্রে ৬,৩০০ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর থেকে নদীগুলোর শাসন কিংবা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী বা সূষ্টু কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। সার্বিকভাবে নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে, ড্রেজিং বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয়িত হয়েছে। কিন্তু তা নদী তীরের জনগণের কোনো কাজে আসেনি। বরং নদীর ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়েছে এলাকার জনগণ। তারা এক বুক আশা নিয়ে এক চরে বাসা বাঁধে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবার চোখের পানি মুছতে মুছতে আরেক চরে চলে যেতে বাধ্য হয়। সূদুর প্রসারী পরিকল্পনা ছাড়াই ভাঙ্গন রোধে নদীর পানিতে বোল্ডার, বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হয় তাতে স্থায়ী কোন সমাধান হয় না বরং সমস্ত ব্যয়িত টাকা নদীর পানিতে ভেসে গিয়ে সমস্যা আগের মতই থেকে যায়।

নদী শাসনের ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ড সারা বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত দেশ। দেশটির নদীর তীরের ভাঙ্গন এবং বন্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার দীর্ঘ সফলতার ইতিহাস রয়েছে । তারা ডাইক, বাঁধ এবং নদীর তলদেশ স্থিতিশীলকরণ সহ কঠিন এবং নরম প্রকৌশল কৌশলগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে নদী শাসনের ক্ষেত্রে শতভাগ সফল একটি দেশ। নদীর তীরের ভাঙ্গন রোধে নেদারল্যান্ডের Enkamat A20 Erosion Mat প্রযুক্তিটি অধিক গ্রহণযোগ্য ও বাস্তব সম্মত। জাপানে ঘন পার্বত্য অঞ্চল এবং বার বার টাইফুনের কারণে নদীগুলোর তীর অত্যধিক ভাঙ্গন প্রবণ। তাই তাদের নদীর তীরের ভ্ঙ্গান রোধে অত্যাধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাবিয়ন, রিভেটমেন্ট এবং সবুজ অবকাঠামোর মতো কৌশল গ্রহণ করেছে। জাপানের গ্যাবিয়ন সিস্টেম হল তারের জালের পাত্রে ভরা পাথর বা মাটি যা বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নদীর তীরের ভাঙ্গন রোধ করতে ব্যবহৃত হয়। এ টেকসই এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি জাপানে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে এবং অন্যান্য দেশে রাস্তা নির্মাণ, ভূমিধস নিয়ন্ত্রণ এবং নদী বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নদীগুলির একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং দেশটিও উল্লেখযোগ্য ক্ষয় বা ভাঙ্গনজনিত সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয়। তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চ্যানেল স্থিতিশীলতা, নদী তীর স্থিতিশীলতা এবং প্লাবনভূমি পুনরুদ্ধার সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে। ভারত তার বিস্তৃত নদী ব্যবস্থা এবং ভাঙনের ঝুঁকির কারণে প্রচুর বিনিয়োগ করে থাকে। তারা বাঁধ, রিভেটমেন্ট এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিসহ ঐতিহ্যগত এবং আধুনিক কৌশলগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বন্যা বা ভাঙ্গন রোধে সেই পূরানো ব্যবস্থা জিও ব্যাগ, সিসি ব্লক ফেলানো ছাড়া আর তেমন নতুন কোন পদ্ধতি এখন পর্যন্ত গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

বর্তমানে নদীর ভাঙ্গন রোধে পরিবেশগত উন্নতি, সামাজিক অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়নের বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশেও নদীর বাঁধ ঢালাইয়ের নজির রয়েছে এবং তার ফলাফলও আশা ব্যজ্ঞক ও ফলপ্রদ। সিরাজ গঞ্জের যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার বাঁধ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে ঢালাই করা হয়েছে ফলে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে ঐ এলাকার মানুষ, আবাদী জমি ও ফসল। প্রতি বর্ষা মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনের শিকার হয় নদী পাড়ের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত ৪২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নে যমুনা নদীর ৫.৮৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ তীর বাঁধাই ও নদীর ৬.১২৫ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ফলে এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে এলাকার হাজারো পরিবার। চীনা একটি প্রবাদ আছে- A jounrney of a thousand miles begins with a single step (হাজার মাইল পথ চলার শুরুটাও হয় মাত্র এক ধাপ অগ্রসরের মাধ্যমে)। এ রকম অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিয়ে প্রতি বছর কুড়িগ্রামের নদীগুলোর উভয় তীরের ১০/১৫ কিলোমিটার করে নদীর পাড় বাঁধাই করা হলেও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে এবং তা হবে টেকসই উন্নয়ন। সফলতা বা অর্জন থেকে মানুষ শিক্ষা নেয় না; সুতরাং ব্যর্থতা যখন আমাদের জীবনের বড় শিক্ষক হিসেবে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয় আর সেই ভুল থেকেই আমাদের শিখে নেয়া উচিত কিভাবে নদীভাঙ্গন রোধ করতে হয়।

লেখক: অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম

সারাবাংলা/এএসজি

কুড়িগ্রাম নদী-শাসন প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর