ঢাকা: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া (২৭) ও আইনুদ্দীন (২৬) নামে আরও দুজন ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মুছা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার রনির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। রাজন মামলার অজ্ঞাত আসামি।’
এর আগে এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, মাহবুবুর রহমান রনি, রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। তবে এই মামলার আরও দুজন আসামি সুনামগঞ্জ সদর থানার উমেদনগর গ্রামের তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮) এবং কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫) পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে আনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সাইফুরসহ অন্যরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ওইদিন (শুক্রবার) রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ছয় জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো- এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।