Tuesday 29 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় পার্টির ‘বঞ্চিতদের’ নির্বাচন বর্জনের চাপ

আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪৭ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:০৫

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) বঞ্চিতরা। আসন সমঝোতায় বঞ্চিত এসব নেতারা দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নির্বাচন বর্জনের চাপ দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দলের কো-চেয়ারম্যানদের নিয়ে বনানী কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ বিকেলের মধ্যে নির্বাচন বর্জন অথবা নির্বাচনে থাকার বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে জাতীয় পার্টির তরফ থেকে। ইতোমধ্যে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। তারা বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করছে।

বিজ্ঞাপন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনে সমঝোতার নিশ্চিত আশ্বাস পেয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে জাতীয় পার্টি আরও অন্তত ১০টি আসনে সমঝোতা চায়।

আসন সমঝোতার তালিকা থেকে বাদ পড়া জাপার একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যেসব সিনিয়র নেতা কখনও পার্টি অফিসে আসেন না, দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেন না, আসন ভাগাভাগিতে তাদের জন্য দলের পক্ষ থেকে জোরালো অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ফলে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ছাড়া সকলের আসনে সমঝোতা করা হয়েছে। এতে জাপা সংগঠনিকভাবে অতীতের তুলনায় আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। জাপার রাজনীতি মাঠ পর্যায় টিকিয়ে রাখতে হলে নির্বাচন বর্জন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে তারা মনে করেন।

অপরদিকে, জাপা দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে ২৬টি আসন ছাড়া আরও ৯টি আসনের জন্য জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি আসন সমঝোতা না হয়, তবে ২০১৪ সালের মতো হয়তো বড় কোনো সিদ্ধান্ত জাপার হাইকমান্ড নিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তবে এ বিষয় একজন নেতা জানান, জাপা চেয়ারম্যান নির্বাচন বর্জন করলে যারা আসন সমঝোতা নিয়ে মাঠে রয়েছেন তারা নির্বাচন বর্জন নাও করতে পারেন। সব মিলিয়ে জাপা জটিলতার মধ্যে রয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই

জাতীয় পার্টি টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর