এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত আইপিএলের এবারের মৌসুম। অবশ্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়াতে আবারও আইপিএল মাঠে গড়ানোর তোরজোর শুরু করেছে বিসিসিআই। সর্বশেষ ৮ মে দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পরদিনই স্থগিত করা হয় আইপিএল। এরপর আর কোনো ম্যাচ মাঠে না গড়ানোতে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আইপিএল।
প্রতি ম্যাচের আয়ের উৎস টিভি ডিল, টিকেট বিক্রি, মার্চেন্ডাইজ, স্পন্সর আর খাবার স্টল। ম্যাচ না হওয়াতে এসব খাত থেকে এক পয়সাও পায়নি আইপিএল। সেক্ষেত্রে ম্যাচপ্রতি প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ কোটি রুপি পর্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে আইপিএলের। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৭৭ কোটি টাকা। টুর্নামেন্টের ইন্স্যুরেস থেকে অবশ্য সেই ক্ষতিটা ৬০ কোটি রুপিতে নামিয়ে আনতে পারবে বিসিসিআই।
জানা গেছে আগামী ১৫ থেকে ১৭ মের মধ্যে শুরু হবে আইপিএলের বাকি অংশ। ফাইনালের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হবে ৩০ মে। নতুন সূচিতে মাঠে গড়ানোর আগে ৯ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আইপিএলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ৮টি ম্যাচ। এই ৮ ম্যাচে বিসিসিআইয়ের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০০ কোটি রুপির মতো।
আইপিএলের সাথে স্পন্সর-ব্রডকাস্টাররাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্থগিতাদেশ আসায় টাইটেল স্পন্সর টাটা আর সম্প্রচারকারী সংস্থা জিও হটস্টার বিজ্ঞাপনী স্লটের প্রায় ৫৫০০ কোটি রুপি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আইপিএল এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায়। সাধারণত বিসিসিআইয়ের টিভি ও স্পন্সর থেকে আয়কৃত অর্থের বিশাল একটা অংশ পায় প্রতিটি দল, যেটাকে বলা হয় সেন্ট্রাল পুল। আইপিএল বন্ধ থাকায় সেন্ট্রাল পুল থেকে আয়কৃত অর্থের পরিমাণও কমতে পারে।