বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দলের এবং নিজের টেস্ট অভিষেকটা রাঙান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেই বুলবুলই আজ (শুক্রবার) বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হয়ে বিসিবিতে এসে বাকি পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে একটা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে চান তিনি।
গত (বৃহস্পতিবার) রাতে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের প্রতি বোর্ডের পরিচালকের অনাস্থাপত্রের পর তার কাউন্সিলরশিপের মনোনয়ন বাতিল করে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সেই এনএসসিই আজ বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে তাকে মনোনীত করে। এরপর জরুরি বোর্ড সভার মাধ্যমে ৮ পরিচালকের ভোটে তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
শোনা যাচ্ছে, আসন্ন অক্টোবরে বিসিবির আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই পদে থাকবেন বুলবুল। এই অল্প সময়ের মধ্যে কী কী উন্নতি করতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘যেহেতু সময়টা কম, আমরা জানি যে টেস্ট ম্যাচ পাঁচদিনের হয়। ওয়ানডে হয় সাত ঘণ্টার। আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি। সো একটা ভালো টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলব, যেটা আপনারা দীর্ঘদিন মনে রাখবেন। চেষ্টা করব, ক্রিকেটটা যাতে সবাই খেলতে পারে, যাতে সবার খেলা হয়। যেন একটা স্টেটমেন্ট হয়, ক্রিকেটটা সবার জন্য। এই ধারাটা শুরু করে দিয়ে যেতে চাই।’
ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পর থেকেই আইসিসি ও এসিসির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করেছেন বুলবুল। দেশ ছেড়েছেন প্রায় ১৯ বছর আগে। পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নেই থিতু তিনি। কীভাবে বিসিবিতে কাজের প্রস্তাব পেলেন? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বুলবুল শোনালেন সেই গল্প।
দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘সত্যি বলতে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আমি একটা কল পাই এনএসসি থেকে, তখন আমাকে বলা হয়, আপনাকে একটা সুযোগ দেয়া হবে, আপনি কি সুযোগটা নেবেন? আমি যে আপনাদের এত প্রমিস করতাম, ওয়েট করতাম একটা কলের জন্য, সেই কলটা যখন পেয়ে গেছি, তখন আর পেছনে তাকাইনি। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল কীভাবে এই বলটাকে আমি রেস্পেক্ট করতে পারি। পর্যায়ক্রমে আজকে ৩০ মে সম্মানিত বোর্ড ডিরেক্টররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছ থেকেও বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন বুলবুল। তার আশা নতুন এই দায়িত্বে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবেন তিনি।
‘আমি এই কলটা পেয়েছিলাম সম্মানিত যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে। তার কাছ থেকে কল পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করেছি। তার ফলশ্রুতিতে আজকে একটা বড় দায়িত্ব পেয়েছি। বাংলাদেশে যে ক্রিকেটটা আছে, আমরা চেষ্টা করব সেটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি বিশ্বাস করি যে এগারো জন ক্রিকেট খেলে না। বাংলাদেশের সবাই ক্রিকেট খেলে। আমি আশা করব আমরা সবাই একটা দল হিসেবে কাজ করব’, আরও যোগ করেন বাংলাদেশের সাবেন অধিনায়ক বুলবুল।