বিশ্বকাপে এশিয়ারও সুদিন আসছে
৩ জুলাই ২০১৮ ২২:৩১
।। জাহিদ হাসান এমিলি ।।
কিছু খেলা দেখে আপনি কখনও হাসবেন কখনও কাঁদবেন। কখনও আনন্দে লাফাবেন আবার কখনও বিমোহিত হয়ে অবাক হবেন। তেমনটাই হয়েছে জাপান-বেলজিয়াম ম্যাচে। মুহূর্তে মুহূর্তে উত্তেজনায় ঠাসা ছিল ম্যাচটি। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সবচেয়ে উত্তেজনার ম্যাচটি হয়ে গেল এ যাবত দেখার।
এ বিশ্বকাপ অনেক কিছু শেখালো আমাকে। বিশেষ করে এশিয়ার জন্য তো বটেই। দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানের দিনকে দিন খেলার উন্নতি যেভাবে ঘটছে দূর ভবিষ্যতে তারা ফাইনাল খেললে অবাক হবো না।
কালকের ম্যাচ বেলজিয়ামকে মাটিতে নামিয়ে ফেলেছিল জাপান। দুর্দান্ত ফুটবল নৈপুণ্য দেখেছি তাদের খেলায়। ছোট ছোট পাসে কি অসাধারণ খেললো তারা। বিশ্বকাপের শিরোপার অন্যতম দাবিদার বেলজিয়ামকে প্রথমে দুটি গোল করে যেভাবে তাক লাগিয়ে দিলো তাতে অবাক না হয়ে পারছিনা। তবে, ভালো লাগার বিষয় দুটি গোলই চমতকার দলীয় পারফরমেন্সে হয়েছে। ফিনিশিংয়ও দুর্দান্ত।
ম্যাচটা হয়তো জিতে নিয়েছে বেলজিয়াম তবে, বিশ্বের তাবত ফুটবল ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছে এশিয়ার জায়ান্টরা। জাপান বুঝিয়ে দিয়েছে এশিয়ার দেশগুলোও এখন পাল্লা দিয়ে ফুটবলে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিশ্বকাপে তারা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াও হারিয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। এতে এশিয়ার জন্য একটা সতর্ক বার্তা যে, সবাই ফুটবলের তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে, এগুতো হবে এশিয়ারও। পৃথিবীর সেরা সেরা দলের সঙ্গে ফুটবল পার্থক্যটা কমানোর দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।
তবে, এশিয়ার দেশগুলোর ভৌগোলিক একটা সমস্যা তো আছেই। উচ্চতা সমস্যা। এটা যদিও মেজর কোনও সমস্যা না, তবুও ম্যাচে মাঝেমধ্যে এটা সমস্যায় ফেলতে পারে বহুদল। এটাকে পুঁজি করে বেলজিয়াম জাপান জয় করে নিয়েছে।
তবে জাপানও জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বফুটবলকে যে, সামনে এশিয়ার জন্য সুদিন আসছে।
এদিকে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে গেল সুইডেন। ম্যাচ তেমনভাবে ভালো না লাগে নি বলবো। দুই দলই প্রায় সম পর্যায়ের। গোলের মুখ যে দেখেছে সেই জয় পেল। শাকিরিরা বেশ চেষ্টা করেছে। কাজ হয়নি। ফিনিশিংয়ের অভাব দেখলাম।
এখন তাদের সাথে পড়বে ইংল্যান্ড কিংবা কলম্বিয়া। সুইডেনের রক্ষণভাগ কঠিন দেখলাম। বিপক্ষ দলকে কষ্ট করে শেষ চার নিশ্চিত করতে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক