বাংলাদেশ ফুটবলে ফুটবলারদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার আলোচনা বহু দিনের। অনুশীলন সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, আবাসন এসব নিয়ে আপত্তির কথা শোনা গেছে বারবার। পিটার বাটলার নারী দলের কোচ হওয়ার পর বারবার ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। ফুটবলারদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন শুরু থেকেই।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ফুটবলারদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অন্যরাও। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে এমন অভিযোগও উঠে- খরচ বাঁচাতে নারী ফুটবলারদের পাঙ্গাস মাছ খেতে দেওয়া হয়।
এদিকে, পুষ্টিকর খাবারের অভাবের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেছেন, ফুটবলারদের পাতে এক বারও পাঙাস মাছ দেওয়া হয় না।
মাহফুজা আক্তার কিরণ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথা বলছেন… এটা আমি একমত হব না। কারণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডরমেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। সেটা অনুযায়ীই খাবার দেওয়া হয়।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেন, এখানে আমরা পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে তাদেরকে আমি বলতে চাই, পাঙাশ মাছ একদিনও খাওয়ানো হয় না। আমাদের এখানে বেশিরভাগ সময়েই থাকে রুই মাছ… বড় মাছ। তারপর যদি ওরা পাবদা খেতে চায়, ইলিশ খেতে চায়, তা দেওয়া হয়। মূলত নিয়মিত প্র্যাকটিস হলো রুই মাছ। থাকে মুরগি, থাকে গরু। যেহেতু হিন্দু মেয়ে আছে, খাসিও থাকে। আর থাকে ডিম। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে এই খাবারগুলো যায়। কেন মিথ্যা সংবাদ করা হয়?’
কিরণ পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, ‘মেয়েরা যদি ঠিকমতো খেতেই না পায়, তাহলে তো ওদের স্ট্রেংথই থাকবে না। ওরা ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। সেটা তো আপনারাও বোঝেন, ৯০ মিনিট ওরা একই ছন্দে খেলে। ওরা কি না খেয়ে খেলে? পাঙাশ মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি।’
নারী ফুটবলারদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বাফুফে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেছেন কিরণ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ওরা যতদিন ধরে আছে, এটা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। এখন ওরা যখন ছোটবেলায় ওদের পরিবারের কাছে ছিল, তখন সমস্যা (অনেকের পুষ্টিহীনতা) ছিল। সেটা তো আমরা ওভারকাম করতে পারব না। আমাদের সর্বোচ্চ লেভেল থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকিটার জন্য সরকারের সহায়তা চাচ্ছি। আশা করি, সরকার পাশে থাকবে।’