২০২৪ সাল এবং চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সময়টা বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য স্বপ্নময়। একের পর এক ম্যাচ জিতে ফিফা র্যাংকিংয়ের ১২৮ নম্বর অবস্থান থেকে এক লাফে ১০৪- এ চলে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বেও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সেই পথ ধরে এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা হয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলেরও।
এতো এতো সাফল্যের মধ্যে নারী দলের হেড কোচ পিটার বাটলার স্মরণ করিয়ে দিলেন, উত্থান যেমন হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে পতনও হতে পারে। ফলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রকাশিত ভিডিওতে বাটলার বলেছেন, ‘আমি জানি, এই অগ্রগতি যেমন দ্রুত হয়েছে, তেমন দ্রুতই হারিয়েও যেতে পারে। মেয়েরা এই স্বীকৃতি ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য, কারণ আমরা এখন প্রতিযোগিতামূলক ও সুস্থ কাজের পরিবেশে এগোচ্ছি।’
লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ দলের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ধরাশায়ী হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। রানার্সআপ হয়ে অবশ্য এশিয়া কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করেছেন মেয়েরা। তবে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হারতে হয়েছে ৬-১ গোলে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে চোখে চোখ রেখে লড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গুণে গুণে ৫ গোল দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফুটবলারদের শারীরিক ক্লান্তি এতে বড় ভূমিকা রেখেছে মনে করছেন বাটলার।
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমি মেয়েদের নিয়ে গর্বিত, কিন্তু বিরতিতে বুঝেছিলাম, তারা ক্লান্ত, শারীরিকভাবে শেষ হয়ে গেছে। জ্বর, ইনজুরি আর নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল দল। দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের কঠিনভাবে চাপে রেখেছে।’
‘আমরা চাইলে “বাস পার্ক” করে, লং বল খেলে মরিয়া হয়ে রক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি সে পথে হাঁটি না। প্রথমার্ধে আমরা সমানে সমান লড়েছি, যা মেয়েদের স্থিতিস্থাপকতা ও মনোবলকে প্রমাণ করেছে।’- যোগ করেছেন বাটলার।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখেছে বলছেন বাটলার, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের বিপক্ষে খেলে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। বাস্তববাদী হতে হবে, পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে, যেন এই ফিফা র্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং শতকের নিচে নামানো যায়।’