আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫১ রানের জবাব দিতে নেমে একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১০৯। তখন ১২তম ওভারের খেলা চলছিল। সেই বাংলাদেশ কিনা হারের শঙ্কায় পড়ল! শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অবশ্য ম্যাচটা জিতেছে। তবে নাটকীয়তা কম হয়নি।
১০৯ থেকে ১১৮, এই ৯ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ উইকেট হারায় ৬টি! যেন মড়ক লেগেছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান হাল ধরে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২অক্টোবর) শারজাহতে আফগানিস্তানের ১৫১ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দাপুটে ব্যাটিং করেছেন। দুজন যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল জয়টা সময়ের ব্যাপার মাত্র!
পারভেজ হোসেন ইমন মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। তানজিদ হাসান তামিম ফিফটি করেন ৩৪ বলে। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পরই যেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
৩৭ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৫৪ রান করে ফেরেন ইমন। তামিম ফিরেছেন ৩৭ বলে ৫১ রান করে। তিনটি করে চার-ছয়ে এই রান করেছেন তরুণ ওপেনার।
কিন্তু তারপর টপাটপ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিয়ে দারুণ একটা জুটি গড়েন নুরুল হাসান সোহান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। এই জুটিই ম্যাচ জিতিয়েছে।
১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৫৩ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। সোহান তখন ১৩ বলে ২টি ছয় ১টি চারে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। রিশাদ হোসেন ৯ বলে ৩টি চারে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ খান ১৮ রানে চার উইকেট নেন।
এর আছে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছে দাপুটে। ৪০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তিনে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৩১ বলে ৪০ রান করা ছাড়া আফগানদের টপ অর্ডার-মিডল অর্ডার সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
কিন্তু শেষ দিকে এসে ব্যাটে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবি। শেষ দিকে ২৫ বলে ৩৮ রানের ঝলমলে একটা ইনিংস খেলেন নবি। যাতে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে থেমেছে আফগানরা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব।