এশিয়া কাপে শ্রীলংকা ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। সাইফ হাসানের সেই ব্যাটের ঝড় দেখা গেল আজ আফগানিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচে। সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সহজেই জিতেছে বাংলাদেশ।
১২ বল হাতে রেখে আফগানদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ আগেই জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে রেখেছিল টাইগাররা। আজকের জয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলো আফগানিস্তান।
আগে বোলিং করে আফগানিস্তানকে ১৪৩ রানে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে সাইফ হাসানের ছক্কা ঝড়ে সহজেই ম্যাচ জিতেছে লাল-সবুজের দল।
রোববার (৫ অক্টোবর) শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৩ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ১৬ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন। এরপর তিনে নেমে ম্যাচের হাল ধরেন সাইফ হাসান। আফগান বোলারদের জেঁকে বসতে না দিয়ে একপ্রান্ত থেকে নিয়মিত রান তুলে গেছেন।
দলীয় ৭৯ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করা তানজিদ হাসান তামিম আউট হলে এই জুটি ভাঙে। অনেকদিন ধরে অফ ফর্মে থাকা জাকের আলী অনিক আজও ব্যর্থ। সাইফকে সঙ্গ দিতে পারেননি, ফিরেছেন ১০ রান করে। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১০৯ রান। একই রানের মাথায় শামীম পাটোয়ারীকেও হারায় বাংলাদেশ।
সেই সময় বেশ চাপেই পরেছিল বাংলাদেশ। তবে সাইফ সেই চাপ কাটিয়ে তুলেছেন সহজেই। দুই ওভার হাতে রেখে বাংলাদেশের ৬ উইকেটের জয় যখন নিশ্চিত হলো সাইফ তখন ৬৪ রানে অপরাজিত। ৩৮ বলে এই রান করা সাইফ চার হাঁকিয়েছেন মাত্র ২টি। আর ছক্কা ৭টি! নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।
এর আগে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ২০ রানের মাথায় শরিফুল ইসলামের বলে ফিরেছেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। খানিক পরে খাতায় আর ৪ রান যোগ হতেই আরেক উইকেট পতন। নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ দেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ।
সেদিকুল্লাহ আতাল, দারউইশ রাসুল এরপর হাল ধরতে চেয়েছেন। তবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তাদেরকে বড় ইনিংস খেলতে দেয়নি। শেষ দিকে স্পিনার মুজিব-উর রহমান ১৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৩ রানের একটা ইনিংস খেললেন বলেই চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর পেয়েছে আফগানিস্তান।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থেমেছে আফগানরা। ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন দারউইচ রসুল। ২৩ বলে ২৮ রান করেন সেদিকুল্লাহ আতাল।
বাংলাদেশের হয়ে ১৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব ২৪ রান করে খরচ করে উইকেট নিয়েছেন ২টি করে।