বাংলাদেশের ২২১ রানের জবাব দিতে নেমে দারুণ একটা ওপেনিং জুটি পায় আফগানিস্তান। মিডল অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করেছেন রহমত শাহ, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা। যাতে পরে ম্যাচটা আর জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়েছে আফগানিস্তান।
১৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে আফগানরা। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ থামে ২২১ রানে। পরে ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন আফগানরা।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আবুধাবিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে দুদল মুখোমুখি হবে আগামী ১১ আক্টোবর।
বুধবার (৮ অক্টোবর) আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে ২২১ রানের জবাব দিতে নেমে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবকে সামলে ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান তোলে আফগানিস্তান। মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামে রেখে একাদশে হাসান মাহমুদকে ডেকেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে সুবিধা করতে পারেননি হাসানও।
স্পিনার তানভীর আহমেদের বলে ইব্রাহিম জাদরান ২৩ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এর পরপর তিনে নামা সেদিকুল্লাহ আতালকেও তুলে নেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে এরপর শক্ত একটা জুটি হয়েছে আফগানিস্তানের।
ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ মিলে তৃতীয় উইকেটে তোলেন ৭৮ রান। মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে গুরবাজ ফেরেন ৭৬ বলে ৫০ রান করে।
অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি, ওমরজাইরা রহমত শাহকে দারুণ সঙ্গ দিলেন বলে জয় পেতে কষ্ট হয়নি আফগানদের। ৭০ বলে ৫০ রান করে আউট হন রহমত শাহ। ওমরজাই ৪৪ বলে ৬টি চার ১টি ছয়ে ৪০ রান করে ফিরেছেন। আর অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৩৩ রান করে।
এর আগে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমনকে বাহিরে রেখে সাজানো ওপেনিং জুটি এই সিদ্ধান্তটা কাজে লাগাতে পারেননি। তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে দলীয় ১৮ রানে। ১০ বলে ১০ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ বলে ২ রান করে ফিরলে চাপে পরে বাংলাদেশ। সেই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও অভিষিক্ত সাইফ হাসান। কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা সাইফ বেশিদূর এগুতে পারেননি। ফিরেছেন ৩৭ বলে ৫টি চারে ২৬ রান করে।
চাপে পরা বাংলাদেশের হয়ে এরপর সবচেয়ে বড় প্রতিরোধটা হয়েছে তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে। আফগান স্পিন সামলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাটিং করেন দুজন।
১৪২ বলে ১০১ রান তোলেন দুজন। তাওহিদ হৃদয় ৮৫ বলে ১টি চার ৩টি ছক্কায় ৫৬ রান করে রান আউট হয়ে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। খানিক বাদে মিরাজও ফিরলে আবারও বিপদে পরে বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৮৭ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ৬০ রান করেন মিরাজ।
এরপর সেভাবে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। ২৩ বলে ১৭ রান করা পেসার তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের ‘শেষের সেরা’। ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান ৩৮ রানে ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৪০ রানে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।