ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত, এমন সমীকরণে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ২১৩ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরের স্পিন রাজত্বের মন্থর পিচে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
ওপেনার সৌম্য সরকার ও মিডল অর্ডারে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ইনিংস ধরে রেখেছিলেন। আর শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। দুই মিলিয়ে দুইশ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ২০৭ রান তুলেও ৭৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফলে আজকের ২১৩ রানের সংগ্রহকে কম বলার সুযোগ নেই। তাছাড়া মিরপুরের পিচ যেমন স্পিননির্ভর হয়ে উঠেছে তাতে এই রানকে চ্যলেঞ্জিং বলতেই হবে।
আজ মিরপুরের পিচে একটা বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। আজ নিজের বোলিং ইনিংসের ৫০ ওভারই স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি কোনো দিন। এর আগে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪ ওভার স্পিনারদের বোলিং করিয়েছিল শ্রীলংকা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। মিরপুরের কালো মাটির স্পিন রাজত্বের পিচে ব্যাটিং কেমন হবে সেটা আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল। অসমান বাউন্স আর টার্নে ব্যাটাররা বল পাচ্ছিলেন না ব্যাটে।
১৬ বলে ১ ছয় হাঁকানো সাইফ হাসান ৬ রান করেই ফেরেন দলের ২২ রানের মাথায়। তিনে নেমে ১৯ বলে ১২ রান করা তাওহিদ হৃদয় বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
মিডল অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত (২১ বলে ১৫ রান), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা (৩৫ বলে ১৭ রান) ক্রিজে পরে থাকতে চেয়েছেন বটে কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে ওপেনার সৌম্য সরকার ক্রিজে পরে ছিলেন অনেকটা সময়। মাঝের ওভারগুলোতে তাকে ভালো সঙ্গ দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
৮৯ বলে ৩ চার ১ ছয়ে সৌম্য ৪৫ রান করে ফেরেন। আট নম্বরে নেমে রানের গতি বাড়ান নুরুল হাসান সোহান। তবে তার ইনিংসটা লম্বা হয়নি। ২৪ বলে ২ চার ১ ছয়ে ২৩ রান করা নুরুল হাসান সোহান ফেরার পর ক্রিজে নেমেই রীতিমতো ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন।
শেষ দুই ওভারে ক্যারিবিয়ান স্পিনারদের তুলধুনু করেছেন রিশাদ। ১৪ বলে ৩৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন রিশাদ। বাংলাদেশি লেগস্পিনার চার মেরেছেন ৩টি, ছক্কাও ৩টি। মেহেদি হাসান মিরাজ ৫৮ বল খেলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মিরাজ পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ১টি!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গুড়াকেশ মোতি ৬৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন ও আলিক অ্যাথানেজ।