সিরিজ জিততে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে, এমন সমীকরণে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বড় স্কোর পেল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেছেন। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়রা রান পেয়েছেন। সব মিলিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৯৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
মিরপুরের মন্থর পিচে বাংলাদেশের এই স্কোর অনেক বড়ই বলতে হবে। মিরপুরের পিচে স্পিন রাজত্ব নিয়ে আলোচনা অনেক দিনে। এবারের সিরিজে সেটা আরও বেশি হচ্ছে। কালো মাটির পিচ, স্পিনারদের রাজত্ব, ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন এসব নিয়ে নানান সমালোচনা উঠেছে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররাই স্পিনের বিপক্ষে ভুগেছেন। তবে আজ তৃতীয় ম্যাচে এসে পাল্টা আক্রমণে বড় স্কোর গড়ল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ, দ্বিতীয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ সিরিজ নির্ধারনি ম্যাচে ম্যাচ জয়ের মতো স্কোরই পেলেন স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ক্রিজে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে গেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। মিরপুরের মন্থর পিচে দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণের পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। সেই সুযোগটাও কাজে লাগান সাইফ-সৌম্য।
একটা সময় মনে হচ্ছিল দুজনই সেঞ্চুরি পেতে যাচ্ছেন। সেই প্রত্যাশা অবশ্য পূরণ হয়নি। ৭২ বলে ৮০ রান করে ফিরেছেন সাইফ হাসান। সাইফ চার মেরেছেন ৬টি, ছক্কাও ৬টি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে খানিক বাদে ফিরেছেন সৌম্যও। আকিল হোসেনকে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ফিরেছেন ৮৬ বলে ৭টি চার ৪টি ছয়ে ৯১ রান করে।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। অবশ্য রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি দুজন। হৃদয় ইনিংসও বড় করতে পারেননি। ৪৪ বলে মাত্র ২টি চারে ২৮ রান করে ফিরেছেন হৃদয়। আর নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৫ বলে ৩টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফিরেছেন।
তারপর একটা ধসই নেমেছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে অবশ্য শেষের দুুটি ওভার কাজে লাগিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
৮ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন সোহান। মিরাজও ১৭ রান করেন, তবে বল খেলেছেন ১৭টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন।