সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের বাংলাদেশ একটি জিতেছিল অপরটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ আজ তুতীয় ম্যাচটা যারা জিতবে সিরিজ তাদের। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটে বলে স্রেফ উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং করে প্রায় তিনশ (২৯৬ রান) তুলেছিল বাংলাদেশ। খেলাটা মিরপুরের পিচে বলে তখনই মনে হচ্ছিল স্বাগতিকরা জিততে যাচ্ছে। কারণ মিরপুরের কালো মাটির স্পিনবান্ধব পিচে এতো রান করা কঠিনের চেয়েও কঠিন। হলোও তাই, বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে ধুঁকতে ধুঁকতে ১১৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় এটা।
তাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। পরে ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ বাংলাদেশ আবার জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৯৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের স্পিনবান্ধব পিচে স্বাভাবিকভাবেই স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পুরো ম্যাচ স্পিনারদের দিয়েই শেষ করিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। একাদশে থাকা একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে বোলিংই করাননি মিরাজ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। ৩৫ রানে প্রথম তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তিনটিই নিয়েছেন নাসুম। কাকতালীয় বিষয়, তিনটিই এলবিডব্লিউ!
এরপর রিশাদ হোসেন আর তরুণ তানভীর ইসলামের স্পিনে রীতিমতো নাকাল হয়েছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। তানভীর ৮ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান, উইকেট নিয়েছেন ২টি। রিশাদ ৯ ওভারে ৫৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ দুই উইকেট তুলে নেন।
৩০.১ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে দশ নম্বরে নেমে ১৫ বলে অপরাজিত ২৭ রান করা আকিল হোসেনও সর্বোচ্চ স্কোরার।
এর আগে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম উইকেটে ১৭৬ রান তোলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। দুজনেই অবশ্য ফিরেছেন সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে। সৌম্য ৮৬ বল খেলে ৭টি চার ৪টি ছয়ে ৯১ রান করে ফিরেছেন। সাইফ ৬টি করে চার-ছয়ে ৭২ বলে ৮০ রান করে ফিরেছেন।
এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪, তাওহিদ হৃদয় ২৮ ও নুরুল হাসান সোহান ১৬ রান করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।