গতকাল মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা যখন শেষ হলো মুশফিকুর রহিম তখন অপরাজিত ৯৯ রানে! ক্যারিয়ারের একশতম টেস্ট খেলতে নেমিছিলেন, তাতে ৯৯ রানে অপরাজিত। আগ্রহটা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আজ সকাল সকাল সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিজের শততম টেস্টটা রাঙিয়েছেন মুশফিক।
বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক। তবে সেঞ্চুরির পর খুব বেশি সময় থাকতে পারেননি ক্রিজে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারি আর দুর্দান্ত এক ক্যাচে মুশফিককে থামতে হয়েছে ব্যক্তিগত ১০৬ রানের মাথায়।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিক নিজেই। প্রথম ওভার থেকে রান নেননি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। জর্ডান নিলের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন লিটন দাস। এক বল ডট খেলে পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ।
রান নিতে নিতেই উল্লাস শুরু করেছিলেন মুশফিক। পরে সেজদা নিয়ে শেষ হলো তার উদযাপন। সে পর্যন্ত গ্যালারিতে উল্লাস-আনন্দ, অভিবাদন।
১০০ টেস্টের ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটা ১৩তম শতক। বাংলাদেশী ব্যাটারদের মধ্যে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। মুমিনুল হকেরও টেস্টে সেঞ্চুরি আছে ১৩টি। মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারে ফিফটির সংখ্যা ২৭টি।
মুশফিক ফিরেছেন ৯৯তম ওভারে। আইরিশ বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের বলটি অতিরিক্ত বাউন্স ছিল সেই সঙ্গে ছিল বাড়তি টার্নও। সামলাতে পারেননি মুশফিক। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে। দ্বিতীয় স্লিপে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে মুশফিককে ফিরিয়েছেন আন্দ্রে বালারনি। পরে আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররা মুশফিকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকাল প্রথম সেশনে ক্রিজে নেমেছিলেন মুশফিক। বাংলাদেশ ৯৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং করতে নামেন মুশফিক। শুরু থেকেই ব্যাটিং করেছেন ধীরেলয়ে।
হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেলেছিলেন ৮৩ বল। সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন ১৯৫তম বলে। একশ রান করতে মুশফিক চার হাঁকিয়েছেন মাত্র ৫টি। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকে এসেছে ২০ রান, বাকি ৮০ রানই নিয়েছেন দৌড়ে।