Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জোড়ায় জোড়ায় আঘাতে সেই পুরনো বাংলাদেশ


১৪ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩১

Shakib Al Hasan (C) of Bangladesh hits 4 during day 2 of the 2nd Test between West Indies and Bangladesh at Sabina Park, Kingston, Jamaica, on July 13, 2018. / AFP PHOTO / Randy Brooks

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

কী- বলা যায় স্যাবাইনা পার্ক টেস্টের দ্বিতীয় দিনকে? স্বপ্নের শুরুর পর এমন একটা দুঃস্বপ্নের শেষই তো বলা উচিত। সেই বিপর্যয় এসেছে জোড়ায় জোড়ায়, আর তাতেই এই টেস্টেও বাংলাদেশের পরাজয় এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। দ্বিতীয় দিন শেষেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেছে ২২৪ রানে, হাতে আছে ৯ উইকেট।

জোড়া জোড়ায় কথাটা আসলে একটু ব্যাখ্যা করা উচিত। স্কোরকার্ডের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রথম ছয়টি উইকেট পড়েছে মোট তিন ওভারে। প্রতি বারই তিন জন আলাদা আলাদা বোলার একই ওভারে দুজনকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুরুটা হয়েছিল লিটন দাসকে দিয়ে, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে আউট হয়ে যান ১২ রানে। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন লিটন, বল আসলে স্টাম্পেই লাগত না। এক বল বিরতির পরে মুমিনুল হক ঠিক আগের টেস্টের কার্বনকপির মতো ক্যাচ দিলেন স্লিপে, আরও একবার ফিরলেন শূন্য রানে।

২০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ইনিংসের সেরা সময়টা এলো তামিম ও সাকিবের হাত ধরে। তামিমের ভাগ্যটা ছিল পক্ষে, দুইবার আউট হতে হতেও বেঁচে গেছেন। একবার নিজে রিভিউ নিয়ে, আরেক বার আম্পায়ারস কলে। সাকিব আল হাসাই তুলনামূলক স্বচ্ছন্দ ছিলেন, কিন্তু দুজনের ৫৯ রানের জুটিটা ভেঙে যায় হোল্ডারের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে সাকিবের বোল্ডে। ৩২ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহও মুমিনুলের মতো এক বলেই খেলেই এলবিডব্লু, এবার নিচু হয়ে যাওয়া একটি বলে। ৭৯ রানে চার উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

এরপর তামিম ও মুশফিকের ব্যাটে কিছুক্ষণ স্বস্তি, দুজন মিলে যোগ করলেন ৩৮ রান। তামিম ফিফটি পেয়ে যাবেন বলে যখন মনে হচ্ছিল, কিমো রোচের প্রথম টেস্ট শিকার হয়ে দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ৪৭ রান। পরের বলেই এলডব্লু নুরুল হাসান, পল অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না।

বিজ্ঞাপন

মুশফিকও টিকলেন না বেশিক্ষণ, হোল্ডারের বলে গালিতে ক্যাচ দিলেন ২৪ রানে। এবারও জোড়া জোড়ায় উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ, হোল্ডারের ওই ওভারেই বোল্ড হয়ে যান তাইজুল। কিন্তু নো বলের জন্য বেঁচে যান তাইজুল, বাংলাদেশও আরও কিছুক্ষণ পানির ওপরে নাকটা ডুবিয়ে রাখতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাইজুল করেছেন ১৮, তবে অন্যদিকে উইকেট পড়ছিলই। ১৪৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ, হোল্ডার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ২০৫ রানে, তবে হোল্ডার ফলো অন করাননি।

অথচ সকালে বাংলাদেশের সেশনটা কী স্বপ্নের মতোই না গেল। আগের দিন ৪ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আজ ৫৯ রান যোগ করতেই নেই বাকি ৬ উইকেট। দুর্দান্ত এক বলে হেটমেয়ারকে ৮৬ রানে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন আবু জায়েদ রাহী, পরে আবার তুলে নিয়েছে চেজকে। তিজুল ফিরিয়ে দিয়েছেন ডাওরিচকে, এরপর মিরাজ নিয়েছেন দুই উইকেট। বিদেশের মাটিতে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন মিরাজ, ২০১৪ সালের পর দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনো বোলার পেল ৫ উইকেট। সর্বশেষ কীর্তিটা ছিল তাইজুলের, এই কিংস্টনেই। তখন মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু কে জানত, ব্যাটিংটাই ডোবাবে আবার?

 

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর