বাংলাদেশের পিচ নিয়ে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের অভিযোগ বহু পুরনো। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি খেলা হয় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচে। মিরপুরের পিচে খেলা যেকোনো ব্যাটারের জন্য ক্ষতিকর, এমন কথা বলেছেন বহু তারকা ক্রিকেটার। উইকেট নিয়ে এতো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নতুন বছরে ১০০ উইকেট বানানোর উদ্যোগ বিসিবির। ‘হান্ড্রেড উইকেটস ইন ২০২৬’ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
বুধবার বোর্ড মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যদি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, মাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে আগানো খুব কঠিন। আপনারা জানেন অনেকগুলো মাঠ কিন্তু খুবই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফতুল্লার আউটারের কথা যদি বলেন… সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাচলের যে মাঠটা আছে দীর্ঘদিন ধরে সেটা আমাদের তালিকাভুক্ত। কিন্তু মাঠের কোনো ধরনের উন্নতি হয়নি। আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেছি কিন্তু দ্রুতই আমরা চাচ্ছি যে এই মৌসুমের মধ্যে একশর বেশি উইকেট বানানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
‘ছোট ছোট কিছু কাজ হচ্ছে, যার জন্য হয়তো মাঠে খেলা হচ্ছে না। আপনি যদি ফতুল্লার আউটার খেয়াল করেন, দেখেন- সেখানে সমস্ত কিছু ফেলা আছে হয়তো ২০ শতাংশ কাজ আছে যার জন্য হয়তো খেলাই হচ্ছে না। ওটার যদি উন্নতি করা যায়, ওখানে প্রায় ৯টার মতো উইকেট হবে। পূর্বাচলে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি, আজকে অনেক কথা বলেছি অনেকটা এগিয়েছে এটা। আশা করছি এখানেও ১০টা করে মোট ২০টা উইকেট হবে।’- যোগ করেছেন তিনি।
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, ‘আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে আমাদের বিভাগীয় ভেন্যুগুলো- বগুড়া, খুলনা, রাজশাহীর কথা বলেন, এখানে কিন্তু ২০ বছর আগের পাঁচটা করে সেন্টার উইকেট আছে। দুই পাশে দুটা করে চারটা উইকেট আছে। এই মাঠগুলোতে যখন বয়সভিত্তিক কিংবা প্রথম শ্রেণির খেলা হয় তখন ওই পাঁচটা উইকেটেই খেলা হয়। এর ফলে একটা সময় পর উইকেটের আর ঘাস থাকে না। ওই সেন্টার উইকেটগুলোতে আমরা যদি আরও দুই পাশে দুইটা করে চারটা উইকেট বাড়াই…। ড্রেসিংরুমের সামনেও দুইটা করে চারটা উইকেট আছে। বিপরীত পাশেও যদি আমরা দুইটা করে উইকেট বানাই তাহলে ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা ভেন্যুতে আমরা ভালো উইকেট দিতে পারব।’