‘তামিমকে হারানো অন্যদের জন্য সুযোগ’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, তামিম ইকবালের শূন্যতা এশিয়া কাপে কে পূরণ করবেন? টিম ম্যানেজমেন্ট আজ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বললেও নিশ্চিতভাবেই তামিমকে এই এশিয়া কাপে আর পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে সামনের ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে কে ওপেন করবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন। ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমও বলছেন, তামিম না খেললে কী হবে সেটা ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর শূন্যতা পূরণ করা বড় একটা চ্যালেঞ্জই।
কবিজির হাড় ভেঙে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শুরুতেই ছিটকে গিয়েছিলেন তামিম। পরে সেই ভাঙা হাত নিয়েই আবার নেমেছিলেন মাঠে, এক বল খেলেই ঢুকে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসীদের তালিকায়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, তামিমের এশিয়া কাপে তো বটেই, সামনের দুই মাসের মধ্যেই আর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অথচ এই এশিয়া কাপেই বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে সাকুল্যে তিন ওপেনার। তামিম আর লিটনের সঙ্গে বিকল্প হিসেবে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বিপিএলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওপেন করতে পারেন মুমিনুল হকও। এখন পর্যন্ত দেশ থেকে অন্য কেউ তামিমের বদলি হিসেবে যাননি বলে শান্ত বা মুমিনুলের কাউকে হয়তো বেছে নিতে পারে দল।
তবে নাজমুল আবেদীন মনে করছেন, সেই প্রস্তুতি টিম ম্যানেজমেন্টের নেই, ‘তামিমের না থাকায় প্রভাব তো পড়বেই। আমরা এই পরিকল্পনা করি নি, তামিম না খেললে আমাদের কি হবে। আমরা জানি যে তামিম খেলবে, সাথে কোন একজন না খেললে কি হবে সেই পরিকল্পনা আছে। কিন্তু তামিম না খেললে কি হবে এ ধরনের প্রস্তুতি কিন্তু আমাদের নেই।’
তামিমকে হারিয়ে ফেলাটা অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবেই মানছেন মেয়েদের ক্রিকেট দলের ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন, ‘তামিমের ফর্ম বিচারে এটা একটা বড় ক্ষতি। সে যে ধরনের ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে, সেই হিসেবে তামিম দারুণ একটা রোল প্লে করতে পারতো। সে দলে থাকলে অধিনায়ককে সাহায্য করতে পারে, তার নিজের উপস্থিতিও কিন্তু দলকে সাহায্য করে। সেদিক থেকে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হবে। তবে তার জায়গায় যেই খেলুক না কেন, এটা তার জন্য বড় সুযোগ হবে। আশা করবো আমরা যেই সাহসিকতা ও ভাল ক্রিকেট গত ম্যাচে দেখিয়েছি, নতুন যে আসবে তাকেও এটা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার জন্য অনুপ্রেরণা দিবে।’
শুধু তামিম নয়, মুশফিকও চোট নিয়েই সেদিন খেলেছেন ১৪৪ রানের ওই মহাকাব্যিক ইনিংস। আপাতত পাঁজরের ভাঙা হাড় নিয়েই খেলা চালিয়ে যাবেন। তবে সামনের জিম্বাবুয়ে সিরিজে তামিম-সাকিবের সঙ্গে বিশ্রামে যেতে পারেন মুশফিকও। নাজমুল আবেদীনও ক্যারিয়ার লম্বা করার জন্য তাদের বিশ্রাম দিতে চান, ‘একটা সময় ছিল আমরা শুধু ভাল খেলার জন্য খেলতাম, এখন তো আর সেই সময় নেই। আমরা এখন শেষ পর্যন্ত লড়াই করে জয়ের জন্য খেলি। সেজন্য যেই ইন্টেনসিটি নিয়ে খেলতে হয়, সেটা শরীরের ওপর অনেক চাপ দেয়। আমাদের হয়তো এখন সময় এসেছে, আমরা আমাদের প্লেয়ারদের কিভাবে খেলাবো, বিশ্রাম দিবো। এই জিনিস গুলো এখন সবাইকে ভাবতে হবে, বিশেষ করে প্লেয়ারদের। যখন আমি খেলছি না, তখন আমি কি করছি। ওদেরকে একটা রুটিনের মধ্যে আসতেই হবে, যদি ক্যারিয়ার লম্বা করতে চায়। প্রতিটা সিরিজ, ম্যাচে যদি শতভাগ দিতে চায়, তাহলে সবাইকে খুব যত্নসহকারে পরিচর্যা করতে হবে।’
সারাবাংলা/এএম/এসএন