Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচই ড্র


১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৫৬

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি থাবা ফেলেছে দেশের অনেক জায়গাতেই। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের চতুর্থ দিনের খেলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে বৃষ্টি। রাজশাহীতে টিয়ার ওয়ানে স্বাগতিকদের সঙ্গে রংপুরের ম্যাচ, ফতুল্লায় টিয়ার টুতে ঢাকা বিভাগ আর ঢাকা মেট্রোর ম্যাচ, খুলনায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে টিয়ার ওয়ানে বরিশাল বিভাগ আর কক্সবাজারে টিয়ার টুতে চট্টগ্রাম-সিলেটের ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহীর ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল ঢাকা মেট্রোর সাদমানের ইসলামেরও, তবে ১৮৯ রান করেই আউট হয়ে গেছেন আগের দিন।

রাজশাহীতে রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর জন্যই নেমেছিল। প্রথম ইনিংসে রংপুর ১৫১ রান করার পর রাজশাহী চড়ে বসেছিল রানের পাহাড়ে। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন জুনাইদ সিদ্দিকীও, ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই রংপুরকে করতে হতো ৪৩৮ রান। প্রথম ইনিংসে রান পাননি লিটন দাস, দ্বিতীয় ইনিংসে সেই আক্ষেপ ঘুঁচিয়েই দিয়েছেন। জহির জাবেদের সঙ্গে জুটিটা স্থায়ী হয়েছিল ৯৮ রান পর্যন্ত, ৩৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন জহির। এরপর মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে ঝড় শুরু করেন লিটন। ৮১ বল সেঞ্চুরি করেছেন, এরপর আরও বেশি আগ্রাসী হয়েছেন। ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ১৪০ বলে, ভেঙেছেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ১৯১ রান থেকে তাইজুলের দুই বলে পর পর চার ও ছয় মেরে পৌঁছেছেন ২০০ রানে। এর দুই বল পরে তাইজুলের বলেই আউট হয়েছেন ২০৩ রান করে। তৃতীয় দিন শেষে মাত্র ৪৯ ওভারে ২ উইকেটে ৩১৯ রান তোলে রংপুর। ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান। চতুর্থ দিন কোনো বল মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা না থাকায় ড্র মেনে নেয় দুই দলের অধিনায়ক।

এদিকে, ফতুল্লায় ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। সেই ম্যাচে ১৮৯ রানে আউট হন সাদমান ইসলাম। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও পাওয়া হয়নি। এর পরেই নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে ঢাকা মেট্রো, শেষ পর্যন্ত ৩৮৭ রান করে অলআউট হয়ে যায়। ঢাকা বিভাগের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ রান করে আউট হয়ে যান রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেটে আবদুল মজিদ ও সাইফ হাসান ৪৩ রান যোগ করার পর আউট হয়ে যান মজিদও। ঢাকা বিভাগের রান তখন ৫০ রানে ২ উইকেট, এরপর বৃষ্টিতে আর খেলা শুরু হয়নি। শেষ দিন মাঠে কোনো বল গড়ানোর সম্ভাবনা ছিল না। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ অলআউট হওয়ার আগে করেছিল ২০৬ রান।

খুলনায় বরিশালের বিপক্ষে ম্বাগতিকদের ম্যাচটিও ড্র হয়। বরিশালের ২৯৯ রানের পর খুলনা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তার আগে খুলনার জিয়াউর রহমান সেঞ্চুরি পেয়েছেন, ১১২ রান করে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেকের বলে। অন্য প্রান্তে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন। চতুর্থ বা শেষ দিন কোনো বল মাঠে গড়ায়নি।

অন্যদিকে কক্সবাজারে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ম্যাচটা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন পরিত্যক্ত হয়ে যায় বৃষ্টির জন্য। চতুর্থদিনও বল মাঠে গড়ায়নি। তার আগে প্রথম দিন চট্টগ্রাম ৮৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৮২ রান। দলের হয়ে ১০৬ রান করেন ওপেনার সাদিকুর রহমান। অধিনায়ক মুমিনুল হক ৪৩, ইয়াসির আলি ৮৪ রান করেন।

সারাবাংলা/এমআরপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর