Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন


১২ অক্টোবর ২০১৮ ২০:২৯

।। স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বাংলাদেশ নেই ফাইনালে। তবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেটা বোঝার উপায় কই? কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়াম। তার মধ্যেই হয়ে গেলো ফাইনাল ম্যাচ। পঞ্চম আসরে এসে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেলো টুর্নামেন্ট। তাজিকিস্তানকে হারিয়ে নতুন চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন। এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর্দা নামলো আনুষ্ঠানিকভাবে।

আজ শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা পায় নি কোনও দলই। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে শিরোপা লড়াইটি।

বিজ্ঞাপন

৩৪ মিনিটে ফিলিস্তিনের সামেহ মারাবাহকে মারাত্মক ফাউল করেন ফাতখুল্লুয়েভ। মুখে ঘুষিও মারেন। একপর্যায়ে দুই দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। রেফারী ফিলিস্তিনের রশিদকে হলুদ এবং লাল কার্ড দেখান ফাতখুল্লুওয়েভকে। ফলে দশজনের দলে পরিণত হয় তাজিকিস্তান। তবুও তাজিকদের সঙ্গে পেরে উঠেনি ফিলিস্তিনি। তাই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে তাজিকদের ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফিলিস্তিন।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল একবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও কখনও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। এর আগে ১৯৯৭ সালে প্রথম এবং ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতির জনকের নামের টুর্নামেন্ট ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা’। তৃতীয় আসরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল সুদীর্ঘ ১৫ বছর। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে আসর। পরের বছর ২০১৬ সালে হয় চতুর্থ এবং সর্বশেষ আসর। কিন্তু প্রতি বছর আসরটি আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি বাফুফে দিয়েছিল ২০১৭ সালে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা।

বিজ্ঞাপন

এক বছর বিরতি দিয়ে এবার আবারও তারা আয়োজন করেছে আসরটি। যদিও ২০১৬ আসরে ৮ দল অংশ নিলেও এবার দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এশিয়ার পাঁচটি ফুটবল জোন আছে। এই ৫টি জোন থেকে ৫টি দেশ এবং স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েই আসরটি আয়োজিত হয়।
এর আগে গ্রুপপর্বের (‘এ’ গ্রুপ) মোকাবেলায় এই ফিলিস্তিনের কাছেই তাজিকরা হেরেছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। বৃহস্পতিবার দু’দলই শেষবারের মতো ঘাম ঝরায় অনুশীলনে।

অতীতে তাজিকিস্তানের ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ট্রফি জয়ের স্মৃতি আছে। সেটা ২০০৬ সালে। ফিলিস্তিনও একই শিরোপা জিতেছে ২০১৪ সালে। তবে সেটা বাংলাদেশের মাটিতে নয়।

ফাইনালের আগে অবশ্য ফিলিস্তিনের চেয়ে তাজিকিস্তান একটু বেশি সময় পেয়েছে নিজেদের প্রস্তুত করতে। কেননা তারা সেমির ম্যাচ খেলে ৯ অক্টোবর। ফিলিস্তিন সেমির ম্যাচ খেলে তার একদিন পর।

হেড টু হেড লড়াইয়ে দু’দল এ পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে জয়ের পাল্লা ভারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনের। তারা জিতেছে ১টি ম্যাচে। মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের কোন জয় নেই। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। গোলের ব্যবধানেও এগিয়ে রয়েছে ফিলিস্তিন। তাদের ৬ গোলের বিপরীতে তাজিকিস্তান করেছে ৪ গোল। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তাদের র‌্যাঙ্কিং ১০০। আর তাজিকিস্তানের ১২০।

শিরোপা সংখ্যায়ও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তারা এ পর্যন্ত জিতেছে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ আর নাগমা কাপ ট্রফি। আর তাজিকরা জিতেছে ১টি, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর