কিংবদন্তি ম্যারাডোনার জন্মদিন
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:১০
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
সর্বকালের অন্যতম সেরা বলা হয় তাকে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে কিংবা ক্লাব ফুটবল, যেখানেই গেছেন মাতিয়ে রেখেছেন সেখানেই। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্মদিন আজ (৩০ অক্টোবর)।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম নেন ফুটবল বিশ্বের এই কিংবদন্তি। ফুটবল মাঠে খেলতেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও স্ট্রাইকার হিসেবে। ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স দলে। পরের বছরই আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলে জায়গা করে নেন। একই বছরই জায়গা পান আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও। দেশের জার্সিতে সবমিলিয়ে ৯১টি ম্যাচ খেলেছেন এই কিংবদন্তি। যেখানে তার গোল সংখ্যা ৩৪টি। জাতীয় দলের জার্সিতে ক্যারিয়ার শেষ করেন ১৯৯৪ সালে।
দেশের জার্সিতে চারবারের বিশ্বকাপের অংশ নেন ম্যারাডোনা। জিতেছেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে নিতেও কৃতিত্ব আছে তার।
ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স দলের পাঁচ মৌসুম পার করে যোগ দেন বোকা জুনিয়র্সে। সেখানে এক মৌসুম কাটিয়ে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে (৫ মিলিয়ন ইউরো) চলে যান স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। বার্সার হয়ে দুই মৌসুমে ৩৬ ম্যাচ খেলে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে (৬.৯ মিলিয়ন ইউরো) যোগ দেন ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে। ক্লাব ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন সেখানেই। নাপোলির জার্সিতে খেলেছেন ১৮৮ ম্যাচ। যেখানে তার গোলসংখ্যা ৮১টি।
নাপোলিতে সাত মৌসুম কাটানোর পর ক্লাব সেভিয়াতে যোগ দেন ১৯৯২ সালে। পরের বছরই সেখান থেকে আর্জেন্টিনার ক্লাব নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দেন ম্যারাডোনা। আর ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ করেন আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স দিয়েই।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করেই আর্জেন্টিনার দুটি প্রফেশনাল ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ সালে কোচের দায়িত্ব নেন আর্জেন্টাইন জাতীয় দলের। তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দায়িত্ব হারান তিনি। এরপর আরব আমিরাতের ক্লাব, আর্জেন্টিনার ক্লাব ও বেলারুশিয়ান ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এ বছরই মেক্সিকান ক্লাব ডোরাডোসের হয়ে কোচের দায়িত্বে আছেন ফুটবল বিশ্বের এই কিংবদন্তি।
তবে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে কম বিতর্কিত নন ম্যারাডোনা। বিতর্কিত ফুটবলারদের তালিকায় হয়তো এগিয়ে থাকবেন অনেকটাই। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হাত দিয়ে করা গোলেও বিতর্কিত হন এই আর্জেন্টাইন।
ড্রাগ টেস্টে কোকেইনের জন্য ধরা পড়ে ১৯৯০-৯১ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এরপর ১৯৯১ সালের ১৭ মার্চে ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ ফলাফলের জন্য ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা পেতে হয় তাকে। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে খেলার সময়েও এমন বেশকয়েকবার ড্রাগ নিয়ে এমন ঝামেলায় পড়তে হয়েছে তাকে।
সারাবাংলা/এসএন