দিনটা জিম্বাবুয়ের হতে দিলেন না তাইজুল-অপুরা
৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
শুরুটা হয়েছিল চমক দিয়ে। সকালে টসে হারার পর জানা গেল, একাদশে নেই মোস্তাফিজুর রহমান। এই টেস্টে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্ট, একমাত্র পেসার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। দিন শেষে অবশ্য মোস্তাফিজকে না খেলানো নিয়ে খুব বেশি আক্ষেপ থাকার কথা নয়। আবু জায়েদ খারাপ করেননি, তার চেয়েও বড় কথা, ব্যাটিং স্বর্গে প্রথম দিনটা জিম্বাবুয়ের হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে।
সিলেটের উইকেটটা কেমন হবে, সেটা নিয়েই ছিল বেশি জল্পনা কল্পনা। মিরপুরের মতো প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করবে কি না, এমন প্রশ্নও ছিল। প্রথম দিনে অবশ্য কিছুটা সুইং পেয়েছেন বোলাররা, সময় সময় বল নিচু হয়েছে, টার্নও করেছে। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যাট করা কঠিন ছিল না মোটেই। বাংলাদেশের বোলাররা বরং খুশি হতে পারে, জিম্বাবুয়ের রানের লাগাম তারা টেনে রেখেছেন ভালোমতোই।
সকালের প্রথম উইকেটটা বাংলাদেশকে উপহারই দিয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান চারি ৩৫ রান তুলে ফেলেছিলেন। দুজনেই তখন হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন, তখনই চারির আত্মহত্যা। তাইজুলের সোজা বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড চারি, ১৩ রান করেই। মাসাকাদজার সঙ্গে বড় হুমকি হতে পারতেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। তবে টেইলরের আউটটা বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে। তাইজুল টেইলরকে একটু সামনে খেলতে বাধ্য করেছিলেন, কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন টেইলর। এক হাতে বল মাটিতে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে দারুণ এক ক্যাচে লুফে নেন শান্ত, ৪৭ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় দ্বিতীয় উইকেট।
লাঞ্চের আগ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে আর কোনো বিপদ হতে দেয়নি। ২ উইকেটে ৮৫ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছে জিম্বাবুয়ে, ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু লাঞ্চের পর আবু জায়েদ পেলেন জন্ম শহরে অভিষেক টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট। ইনসুইঙ্গার বুঝতে না পেরে এলবিডব্লু মাসাকাদজা, ফিরে গেলেন ৫২ রানে। এরপর সিকান্দার রাজা ও শেন উইলিয়ামসের জুটিতে আবার একটু জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। তার পরেই অভিষেক টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট পেয়ে যান অপু। সোজা বলটা টার্নের জন্য খেলে রাজা প্যাড হয়ে বোল্ড, ফিরে গেলেন ১৯ রানে। ১২৯ রানে নিজেদের চতুর্থ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
তারপর পিটার মুরকে নিয়ে উইলিয়ামসের ঘুরে দাঁড়ানো। উইলিয়ামস আউট হবেন, তা কখনোই ঠিক মনে হয়নি। সেই অর্থে কোনো সুযোগই দেননি তেমন। মুরকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৭২ রান, মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা পেয়েই যাবেন। কিন্তু ৮৮ রানের মাথায় ভুল করে ফেললেন, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বলে ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। মিরাজ দারুণ এক ক্যাচ নিতে ভুল করেননি, ২০১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর মুর আর রেগিস চাকাভা মিলে দিনটা পার করে দিয়েছেন। মুর অপরাজিত আছেন ৩৭ রানে, ২০ রানে অপরাজিত আছেন চাকাভা।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি