নিজের নয়, দলের অর্জনই সাকিবের কাছে বড়
২৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৬
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সাকিব আল হাসানের জন্য আজকের দিনটা (শনিবার) অন্যরকম। দেশের মাটিতে প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে ফিরেছেন অধিনায়ক হিসেবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে হারানোর স্বাদ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজেরও একটা রেকর্ড হয়ে গেছে, ইয়ান বোথামকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে কম টেস্টে ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল হয়ে গেছে। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই সাকিবের, বরং দলের চাওয়াটাই দেখছেন বড় করে।
এই টেস্টের আগেই সাকিব বলেছিলেন, ২০০ উইকেট পেলে তখন তার অনুভূতি জানাবেন। শনিবার (২৪ নভেম্বর) সেটি জানতে চাওয়া হলে সাকিব হাসতে হাসতেই বললেন, ‘নাহ, আসলে… আমি জানি না, হয়তো লাগে, বাট আমি বুঝতে পারি না আসলে। যেটা হচ্ছে যে, যখন ম্যাচটা জিতে যাই, তখন খুশিটা একটু বেশি লাগে। কিন্তু ম্যাচ না জিতলে, টিম যদি ভালো রেজাল্ট না করে তখন এই সাকসেস গুলো আসলে ওইভাবে প্রকাশ করা যায় না। এখন এসব নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে, তখন হারের ব্যাখ্যা নিয়েই প্রশ্ন আসতো। ফিলিংসগুলো (অনুভূতি) আসলে রিলেট করে, একটার সাথে আরেকটা। যখন দল ভালো করার সাথে পারসোনাল অ্যাচিভমেন্ট (ব্যক্তিগত অর্জন) আসে, তখন ভালো লাগে। কিন্তু উল্টোটা হলে তখন খুব একটা মিনিং থাকে না। এই কারণেই আমি বলি, যত বেশি টিম জিততে থাকবে, আমি যদি কন্ট্রিবিউট করতে পারি, তাহলে আসলে এই অ্যাচিভমেন্ট গুলো আল্টিমেটলি চলেই আসবে।’
অনেক দিন পর মাঠে ফিরেছেন, জানিয়েছেন একটু স্নায়ুচাপেও ভুগছিলেন আজ (শনিবার), ‘ড্রেসিং রুমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে যখন মাঠে এসেছি তখন যতটা ভেবেছি ততটা নার্ভাস লাগে নি। আর ফার্স্ট বল পুরাই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব লাকি ছিলাম। আর প্রেশার সবথেকে বেশি ছিল লাস্ট ক্যাচটা। কারণ পার্টনারশিপ হওয়া শুরু হয়েছিল, সবাই দেখি হালকা হালকা প্যানিক হওয়া শুরু করছিল। যদিও আমার কাছে মনে হয় আমি অনেক ঠাণ্ডা ছিলাম। ওই সময় বল যখন মাথার উপরে ঘুরছিল, তখন ওই জিনিস গুলো মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিলো যদি মিস হয় তখন বাকিরা আরও প্যানিক করবে। তবে সব ঠিকঠাক মত শেষ হয়েছে এটাই আসলে সবথেকে বড় পাওয়া।’
এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? সাকিব সেই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘এমন ম্যাচে ছোট ছোট জিনিস গুলোই অনেক বড় হয়ে যায়। এটা ওদের পক্ষেও আছে, আমাদের পক্ষেও আছে। ছোট ছোট কিছু পার্টনারশিপ আছে যা আমাদের অনেক হেল্প করেছে। আর বড় দিক থেকে বলতে গেলে আমাদের প্রথম ইনিংসের রানটা বড় অ্যাডভান্টেজ ছিল। যদিও আমার ধারনা সেকেন্ড ইনিংসে আমরা আরেকটু বেটার করতে পারতাম। কিন্তু এধরনের উইকেটে এমন হতেই পারে। ওই সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত ছিলাম। আমরা জানতাম ম্যাচটা এমন টাইপেরই হবে, হাই স্কোরিং হবে না, প্রথম দিন উইকেটটা দেখার পর।’
আগামী ৩০ নভেম্বর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মিরপুরেও এই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে চাইবেন সাকিব।
ছবি: শ্যামল নন্দী
সারাবাংলা/এএম/এসএন