সাইফ-ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এক গ্রুপে, শেখ জামালের মুখে মোহামেডান
১১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:১৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
দেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ ২০১৭। আজ ড্র হয়ে গিয়েছে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম বড় এই টুর্নামেন্টের। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দুই দল ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল পড়েছে ভিন্ন দুটি গ্রুপে। শেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর গ্রুপে আছে হ্যাভিয়েট সাইফ স্পোর্টিং।
সোমবার বাফুফের সম্মেলন কেন্দ্রে দুপুরে পেশাদার লিগ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ ক্লাব পর্যায়ের কর্ণধারদের উপস্থিতে এই টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
চলমান বিপিএলের অংশ নেয়া ১২ দলকে চার গ্রুপে ভাগ করে এই ড্র হয়। ড্র’য়ে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে শেখ জামাল, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ। ‘বি’ গ্রুপে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ফরাশগঞ্জ, ‘সি’ গ্রুপে দশম বিপিএল শিরোপা জয়ী ও সবশেষ স্বাধীনতা কাপের রানার্সআপ দল ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল ও টিম বিজেএমসি, শেষ গ্রুপ ‘ডি’ তে পড়েছে টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফ স্পোর্টিং ও আরামবাগ।
চারটি গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুই দল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। কোয়ার্টার থেকে সেমি, সেমি থেকে ফাইনাল হবে। আপাতত একটি ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে। প্রতিদিন দুটি করে খেলা মাঠে গড়াবে।
স্বাধীনতা কাপে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিটি দল দুই লাখ করে টাকা পাবে। চ্যাম্পিয়ন দল পাঁচ লাখ ও রানার্সআপ দল তিন লাখ টাকা প্রাইজমানি পাবে।
চার গ্রুপে সেই অর্থে `ডেথ গ্রপ’ নেই বলা যায়। শুধু ‘ডি’ গ্রপে দুই হ্যাভিয়েট চট্টগ্রাম আবাহনী আর তারকায় খচিত সাইফ স্পোর্টিং আছে। দুই দলেই কিছু তারকা দেশি খেলোয়াড় আছে। এই একটা গ্রুপ ছাড়াও ‘এ’ গ্রুপটাকেও একটু কঠিন বলা যেতে পারে। ২০১৪ সালের স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ও ধানমন্ডির ক্লাব শেখ জামালও আছে।
২০০৫ সালে বাফুফে এই স্বাধীনতা কাপ চালু করে। এ পর্যন্ত পাঁচবার এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পেরেছে দেশের ফুটবল অভিভাবক। ২০০৫ সালের পর পাঁচ বছর বিরতিতে ২০১১ সালে দ্বিতীয় টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ায়। এরপর ২০১৩, ২০১৪ ও সবশেষ ২০১৬ সালে টুর্নামেন্টটির আয়োজন করে ফুটবল ফেডারেশন। কোনও দলই দু’বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ প্রথমবার শিরোপা ঘরে তোলে। ২০১১ সালে ফরাশগঞ্জ টুর্নামেন্ট শিরোপা জিতে ঘরোয়া ফুটবলাঙ্গনকে চমকে দেয়, ২০১৩ সালে শেখ রাসেল, ২০১৪ তে মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান ও সবশেষ ২০১৬’তে ঢাকা আবাহনীকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ‘বড় মাছ’দের মধ্যে শেখ জামাল ও ঢাকা আবাহনী এখনও শিরোপা অধরা আছে।
এবারের টুর্নামেন্টটা একটু আলাদা হতে চলেছে। টুর্নামেন্টে বিদেশি কোনও খেলোয়াড় অংশ নিতে পারছে না। মূলত স্থানীয়দের সুযোগ করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পেশাদার লিগ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ‘দেশি খেলোয়াড়দের আরও বেশি সুযোগ করে দেয়ার জন্য ক্লাবগুলো রাজি হয়েছে।’
‘বিদেশি কোটার কারণে স্থানীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পুরো সময় খেলতে পারেনি। তারাও স্বাধীনতা কাপে খেলতে পারবে। দেশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাছাই-বাছাই করা যাবে এ টুর্নামেন্ট দিয়ে। সামনে আমাদের জাতীয় দলের খেলা আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই আমি মনে করি এটা ভাল একটা সিদ্ধান্ত।’
সারাবাংলা/জেএইচ