২০২০ পর্যন্ত রিয়ালে জিদান
১১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:২১
সারাবাংলা ডেস্ক
লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে স্প্যানিশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। পুঁচকে দল গুলোর বিপক্ষেও দাপট দেখাতে পারছে না দলটি। তাতে জিনেদিন জিদানের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ, তার অধীনে দলের পারফরম্যান্সে বিরক্ত ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ। জিদানকে আর বার্নাব্যুতে রাখতে চাচ্ছে না তারা। মেয়াদ পূরণের আগেই ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তিকে দলের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে।
এমন খবর বেশ কিছুদিন থেকে চাউর হলেও সেটা উড়িয়ে দিয়েছেন জিদান নিজেই। সময়টা ভালো না কাটলেও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ২০২০ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন কোচ জিদান।
খেলোয়াড় হিসেবে যেমন ছিলেন সফল, ঠিক তেমনি কোচ হিসেবেও তার সফলতা ইতোমধ্যে দেখেছেন ফুটবলপ্রেমীররা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে দায়িত্বগ্রহণের অল্প কয়দিনের মধ্যে দলকে বদলে দিয়েছেন জিদান। সাফল্যের পাল্লা ভারী করতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন দলকে, কোচ হিসেবে জিতেছেন লা লিগার শিরোপা। জিদানের অধীনে ইতোমধ্যেই রিয়াল সম্ভাব্য ১০টি শিরোপার মধ্যে আটটি শিরোপা জিতেছে।
এম মৌসুমে লা লিগা বাদ দিলে কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে আছে রিয়াল-জিদান। গতবার ক্লাবকে একের পর এক শিরোপা জিতিয়ে ফরাসী এই সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার জেতেন সেরা কোচের পুরষ্কার। গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতানো চেলসি কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে ও জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রিকে টপকে পুরস্কার জেতেন তিনি।
কোপা ডেল রে’তে নুমানসিয়ার সাথে ২-২ গোলে ড্র করার পরে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল। ম্যাচ শেষে জিদান চুক্তি সম্পন্ন হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিদান জানান, ‘প্রতিদিন আমি যা করছি তা আমি উপভোগ করছি। এভাবেই আমি এগিয়ে যেতে চেয়েছি। দুই থেকে তিন বছর আগেও আমি নিজেকে কোচ হিসেবে কল্পনা করিনি। কারণ পরিস্থিতি তখন এমন ছিল না। আমি জানি কিভাবে গত কয়েক বছর কেটেছে। এমনকি নতুন এই চুক্তিও সব কিছু রীতিমতো পরিবর্তন করে দিতে পারবে না।’
জিদান আরও জানান, ‘আমি ২০২০ পর্যন্ত রিয়ালে থাকছি। চুক্তির কাজ আগেই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এ সময় পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচ ধরে. প্রতিটি বছর ধরে এগুতে চাই, ঠিক যেমন এ মৌসুমটি এগিয়েছি। আমার সমালোচনা হবেই, কারণ আমার ছাত্ররা ম্যাচ জিততে পারেনি। আমি সেসবে কান দেই না। আমার কাজ হলো নিজেকে পজিটিভ রেখে কিছু পয়েন্ট এনে দেওয়া। দেখা যাক পরের ম্যাচগুলোতে কি হয়। কারণ, আমি ছাত্রদের নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
সারাবাংলা/এমআরপি