ট্রফি হাতে চ্যাম্পিয়নদের বুনো উল্লাস
১১ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৪০
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তখনও বাকী। ম্যাচটা শেষ হয়েছে কয়েক সেকেন্ড আগে। গ্যালারিতে থাকা শতাধিক দর্শক অধীর আগ্রহে আচ্ছন্ন। স্টেডিয়ামে ঢুকতেই অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা বেঁধে রাখা গেল না। প্রাচীর টপকে সব তখন মাঠের ভেতরে। কারণটা সবার জানা। বিপিএলের দশম আসরে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী।
তাই আগে ভাগেই নীল শিবিরের সমর্থকগোষ্ঠীরা মাঠে হাজির। গ্যালারিতে থেমে নেই নীলদের উল্লাস। আতশবাজি, পটকা ফুটিয়ে উদযাপন শুরু করে দিয়েছে সবাই। ম্যাচ তখনও চলছে। সেদিকে কী আর নজর থাকে। শেখ জামালকে হারিয়ে তো এক ম্যাচ বাকী থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে পাঁচ বারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।
দশবারের ছয়বার চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর তাই এমন বুনো উল্লাসও বাঁকাভাবে দেখার কিছু নেই। দর্শকসমুদ্র তখন মাঠের মধ্যে ঢেউ তুলে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যান্ডের সূরের তালে নেচে উঠছে সবাই।
তার ফাঁকেই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ম্যাঠের পাশেই। রানার্স আপ দল শেখ জামাল শেষ ম্যাচ বাজেভাবে হারলেও তার রেশ অনুষ্ঠানে ছিটেফোঁটাও নেই। ঠোটের কোণে হাসি নিয়েই পুরস্কার তুলে নিয়েছেন সবাই। তাদের জন্য বরাদ্দ ছোট ট্রফিটা হাতে আসতেই আনন্দে উল্লাসে কেটে গেল। হয়তো ভাবছিল, ‘এবার হয়নি তো কি হয়েছে, পরেরবার হবে।’
তারপরেই মঞ্চে ‘রাজাদের’ আগমণ। মঞ্চে থাকা বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ মহী, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সবাই আছে। শুধু সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন নেই। তবে, আনন্দ কম নেই কারও। কিছু বিতর্ক ছাড়া যে মোটামুটি ভালোভাবেই শেষ হতে চলেছে বিপিএল।
যখন উদযাপন যেন আবাহনীকেই ঘিরে। ট্রফি হাতে পেয়েই অধিনায়ক মামুন মিয়া সতীর্থদের নিয়ে সামনে হাজির। চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন ধ্বনিতে ভেসে উঠলো স্টেডিয়াম।
যদিও শেষ ম্যাচটা ড্র করে আকাশী-নীল শিবিররা। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা।
তবে সেটা মাথায় নেই কারোরই। যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প লিখে গেছে আবাহনী তা নিয়ে খুশি অধিনায়ক মামুন মিয়া, ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপুসহ কোচ আতিকুর রহমান আতিক। খুশি দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা সানডেও। সবারই মুখে দলের আন্তরিকতাই প্রকাশ পেল। বহুদিনের সঙ্গী দ্রাগো মামিচ চলে যাওয়ার পর হোঁচট খাওয়া দলযে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলীয় সমন্বয়ের কারণেই।
সবমিলে দারুণ মৌসুমই কেটেছে ধানমন্ডির ক্লাব আবাহনীর। সামনে এএফসি কাপের বাছাইপর্ব আর স্বাধীনতা কাপ। উদযাপন শেষে টুর্নামেন্টে মনোযোগ দিতে চায় সবাই। এখনও পর্যন্ত যে স্বাধীনতা কাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি নীল শিবিরদের। সেটাকি এবারই মিটে যাবে? সেটা হয়তো সময়ই বলে দিবে?
সারবাংলা/জেএইচ