বিশুদ্ধ হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন ‘নিষিদ্ধ’ সাব্বির
১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ক্যাটস আই সাব্বির রহমান সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ‘ব্যাড বয়’র নাম। আজ মাঠে দর্শক লাঞ্ছিত করেছেন তো কাল ড্রাইভারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। আবার কখনো ড্রেসিং রুমে সতীর্থকে ব্যাট দিয়ে পেটানোর কুকীর্তি।
অথচ এই সাব্বিরের ব্যাটেই একসময় টিম বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখতো। কারণটাও তো বেশ পরিষ্কার। ড্যাশিং ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে তার যে জুরি নেই। তামিম ইকবালের পরে লাল সবুজের ব্যাটসম্যানদের কাছে যদি কেউ চার ছক্কার ফুলঝুঁড়ি দেখতে চাইতেন সেই তৃষ্ণা কেবল সাব্বিরের ব্যাটেই মিটতো।
ফলে টিম ম্যানেজমেন্ট তো বটেই সতীর্থদের চোখেও লোয়ার মিডল অর্ডারে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন অটোমেটিক চয়েস। কিন্তু একের পর এক দলের নিয়ম ভেঙ্গে সেই সাব্বির আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে। অবশ্য নিষেধাজ্ঞা উঠে যেত খুব সময় তাকে অপেক্ষা করতে হবে না। আগামি মাস (ফেব্রুয়ারি) থেকেই আবার জাতীয় দলের জার্সি পড়ার বৈধতা ফিরে পাচ্ছেন তিনি।
তবে তার আগে নিজেকে বিশুদ্ধ করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। ২০১৮ সালের শেষ দিন নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন অনাগত দিনগুলোতে যেন পুরোনো দিনের ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।
‘কাল রাতে প্রতিজ্ঞা করেছি। আসলে ২০১৮ খুব খারাপ গিয়েছি কি ভাল গিয়েছে জানি না। আজ (মঙ্গলবার) ২০১৯ সালের প্রথম দিন। সামনে তাকাতে চাইছি।’
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে সিলেট সিক্সার্সের অনুশীলন শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন।
ছয় মাস! সে তো আর কম সময় নয়। এরমধ্যে জাতীয় দলের কতকিছু বদলেছে! বদলেছে টিম কম্বিনেশনও। তার জায়গায় এখন মোহাম্মদ মিঠুন টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টের অন্যতম ভরসার পাত্র। কাজেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই তিনি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
তবে হাল ছাড়ছেন না। চাইছেন বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নিজের হারানো জায়গা পুনরোদ্ধার করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিতে।
‘অবশ্যই হারানো জায়গা ফিরে পাওয়া সম্ভব। আমি যদি বিপিএলে ভাল পারফর্ম করতে পারি, অবশ্যই আমার সুযোগ থাকবে। চেস্টা করবো বিপিএলে ভালকিছু করার জন্য তারপর বিশ্বকাপে সুযোগ হবে।’
কিন্তু ৬ মাস জাতীয় দলের বাইরে থেকে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেয়া সে তো চারটে খানি কথা নয়। ফিটনেস থেকে শুরু করে ফর্ম এবং দলের আবহে থাকার ব্যাপারটি ও তো এখানে প্রাধ্যান্য পাবে। সেটা তিনি কী করে পূরণ করবেন?
উত্তর মিললো তার কথাই, ‘মানসিকভাবে খুবই কঠিন।এনসিএল খেলেছি, বিসিএল খেলেছি; নিজে নিজে অনুশীলন করেছি। পরিবারের সঙ্গে বাসায় ছিলাম।অলমোস্ট ৫ মাস হয়ে গেছে, ১ মাস বাকি আছে। দেখি বিপিএলে কি হয়?’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন