মোস্তাফিজই সাইফউদ্দিনকে তাতিয়ে দিয়েছেন
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:২২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
মোস্তাফিজ পেরেছিলেন। গেল ২৬ জানুয়ারি শের-ই-বাংলায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের জন্য খেলতে নামা চিটাগং ভাইকিংসকে আটকে দিয়েছিলেন কাটারের পসরা সাজিয়ে। ৬টি বল করে দিয়েছিলেন ৫ রান। ২টি উইকেটও নিয়েছিলেন। তাতে ৭ রানের জয় ধরা দিয়েছিলো কিংসের। মোস্তাফিজের এই হিসেবি বোলিংই মূলত সাইফউদ্দিনকে তাতিয়ে দিয়েছে। অদম্য এক স্পৃহা তার ভেতরে জাগ্রত করেছে, ও পারলে আমি কেন নয়?
সাইফউদ্দিন পেরেছেনও। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিপিএলে দারুণ হিসেবি বোলিংয়ে জায়ান্ট ঢাকা ডায়নামাইটসকে আটকে দিয়েছেন। এদিন ঢাকার বিপক্ষে জয়ের জন্য কুমিল্লার ওই ১৩ রানই প্রয়োজন ছিলো। হাতে ছিল ২ উইকেট। বোলিংয়ে আসেন সাইফউদ্দিন। প্রথম বলে রুবেলকে এলবিতে ফেরান শূন্য রানে। দ্বিতীয় বলে ১ রানে নিয়ে স্ট্রাইকে রাসেলকে পাঠান শাহাদাত হোসেন। তৃতীয় বলে কোনো রান পেলেন না রাসেল। চতুর্থ বলেও পেলেন না কোনো রান।
তবে ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকালেন বিস্ফোরক রাসেল। তাতে শেষ বলে দরকার ছিল একটি ছয়। কিছুটা সময় নিয়ে শেষ বল করলেন সাইফউদ্দিন। শেষ বলে ইয়র্কার বল করলেও ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে বল চলে যায়। তাতে ১ রানেই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।
সারাবাংলায় পড়ুন : সহজ টার্গেটেও হারলো ঢাকা
তাতেই স্বস্তি। ঢাকা বধের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা সাইফউদ্দিনকে দেখে তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিলো। যার নেপথ্যে ছিলেন মোস্তাফিজ। ‘মোস্তাফিজ একই রকম একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে। আমি এগুলো অনুভব করছিলাম। মুস্তাফিজ আমার বয়সী। ও পারলে আমি কেন পারব না। এই জিনিসটা মাথায় রেখে আমি বল করে সফল হয়েছি।’
ঢাকার বিপক্ষে বল হাতে এদিন ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিবদের ১২৮ রানের সহজ লক্ষ্যের পথও অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। তাতে তার ভেতরে সফলতার এক তৃপ্তি আছে। তবে এই তৃপ্তির শেষ এখানেই নয়। ক্যারিয়ারে ভালোকিছু পেতে নিজেকে আরো ভালো কিছু করতে হবে এবং আলাদা করে চেনাতে হবে সেই তাড়নাও তার ভেতরে আছে।
‘আমরা যারা ক্রিকেটার, যারা আন্তর্জাতিক প্লেয়ার। এদের মধ্যে যারা তারকা তাদের ভেতরে গড় প্লেয়ার হলে কোন দাম নেই। অন্য প্লেয়ার থেকে অতিরিক্ত অনেক কিছু দেখাতে হবে। এটা আমি মাথায় নিয়েই বোলিং করি।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ঢাকা ডায়নামাইটস বিপিএল ২০১৯ সাইফউদ্দিন