জিতলে অপেক্ষা, হারলে বিদায়
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
বিপিএল চলতি আসরের শুরুটা প্রত্যাশিত ঢঙেই করেছিল গতবারের রানার্সআপ ঢাকা ডায়নামাইটস। তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়ে টানা চার ম্যাচে দাপুটে জয়ে বাকি ৬ দলের ঈর্ষার কারণও বনে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। টানা জয় নেই। ৫ ম্যাচে জয়হীন। ফলে গভীর এক দুশ্চিন্তার উদ্রেক হলো, প্লে অফে খেলতে পারবেন তো সাকিবরা? হ্যাঁ, পেরেছেন সত্যি। তবে একেবারে সবার শেষে। খুলনা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চত করেছে তিনবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু কাগজে কলমে শক্তিশালী দল হয়ে কেন তাদের এত কাঠখড় পোড়াতে হলো? একটু সতর্ক দৃষ্টি দিলেই তা স্পষ্ট হবে। যে ম্যাচগুলোতে ঢাকা হেরে গেছে সেখানে দলের ইনফর্মড ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করতে পারেননি। না সাকিব, না আন্দ্রে রাসেল, না সুনিল নারাইন, না কাইরন পোলার্ড। ব্যাট হাতে তারা জ্বলে উঠলে প্লে অফ নিশ্চিতে ঢাকাকে এতটা ধুঁকতে হতো না বলে মনে করেন ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
এলিমিনেটর ম্যাচে এদের ভেতর থেকে যদি আন্দ্রে রাসেলও জ্বলে তাহলে চিটাগং বধ তাদের জন্য মোটেও কঠিন হবে না বলে বিশ্বাস তার। পাশাপাশি লঙ্কান মারকুটে উপুল থারাঙ্গার উপস্থিতিও তাকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে, ‘কালকে একটি নতুন দিন। আমরা খুব ক্লোজলি তাদের সাথে হেরেছি। আমি বিশ্বাস করি যে বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে উপুল এসেছে, নতুন একটি ফরমেশন তৈরি হয়েছে দলের। এই সময়ে হয়তো দলের সবাই জ্বলে উঠবে।’
‘আন্দ্রে রাসেল এমন একজন ক্রিকেটার যে কিনা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। এছাড়া আমরা সাকিবের কাছ থেকেও রান পাইনি কয়েকটি ম্যাচে। চাপের মধ্যে ছিলাম। সাকিব তো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন। আশা করি অধিনায়ক সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেবে। আমরা যদি আমাদের ডিসিপ্লিনগুলো ঠিক রাখতে পারি, পরিকল্পনা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারি তাহলে অবশ্যই ভালো সুযোগ আছে আমাদের।’ যোগ করেন সুজন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে চিটাগং ভাইকিংস ঢাকাকে সেই সুযোগ নিতে দেবে কী না সেটা নিয়ে। কেননা বিপিএল চলতি আসরের লিগ পর্বের দুইবারের মোকাবেলা জয়ের শেষ হাসি হেসেছে চিটাগং ভাইকিংসই। একটিবারের জন্যও ঢাকাকে সুযোগ দেয়নি।
ঢাকার জন্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো এলিমিনেটর ম্যাচেও নাকি ভাইকিংসরা তাদের সেই সুযোগ দেবে না। বরং আরো শানিত হয়ে লড়বে। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলনে তেমনই হুঙ্কার দিয়ে গেলেন দলের পেসার খালেদ আহমেদ, ‘ঢাকা বড় দল। বড় দল হলেও সমস্যা নেই। শেষ দুইটা ম্যাচ ওদেরকে আমরা হারিয়েছি। এখানেও চাইবো যে এই ম্যাচেও ভালো ক্রিকেট খেলে জিতবো। শেষ দুইটা ম্যাচ যেমন খেলছি চাইবো এর থেকেও ভালো ক্রিকেট খেলে এই ম্যাচটা জিতবো।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায়। হারলেই বাদ পড়তে হবে যেকোনো একটি দলকে। আর জিতলে খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, কুমিল্লা কিংবা রংপুরের বিপক্ষে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি/পিএ