অতৃপ্ত গেইল
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রাজাধিরাজ তিনি। টর্নেডো ব্যাটে রানের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন আপ চুড়মার করে দিতে তার জুড়ি নেই। ১২ হাজার রান নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে হিমাদ্রি সদৃশ হয়ে বসে আছেন। বুঝতেই পারছেন ক্রিস গেইলের কথা বলছি। অথচ সেই রাজা এবারের বিপিএলে নিদারুণ রান খরায়। সেঞ্চুরি নেই। হাফ সেঞ্চুরিও মোটে একটি। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫৬। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬। টুর্নামেন্টের পড়ন্ত বেলায় চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে গিয়ে অতৃপ্ত তিনি।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গেইলের রংপুর রাইডার্স গিয়েছিলো রাজধানীর ম্যাপল লিফ স্কুলে মাদকবিরোধী প্রচারণায় অংশ নিতে। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের অতৃপ্তির কথা তুলে ধরেন এই রাইডার্স ওপেনার।
‘আমি জানি আমার কাছে দলের অনেক চাওয়া। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলবো, এখনো ভালো কিছু করে দেখাতে পারিনি। গেল বছর আমি সর্বোচ্চ রান করেছিলাম। তবে এটাও ঠিক ক্যারিয়ারে উত্থান পতন থাকে।’
গেইলের কথার সূত্র ধরেই যদি বলা হয়, গেল আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের চলতি আসরে অব্যাহত রান খরাই প্লে-অফে রংপুরের হারের অন্যতম কারণ। ভুল হবে না নিশ্চয়ই। অথচ অ্যালেক্স হেইলস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর রাইলি রুশো ও তার দিকেই ছিলো রংপুর রাইডার্স।
তার ওপর প্রত্যাশাও ছিলো আকাশ চুম্বি। কিন্তু প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে পারলেন কই? সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ৪৪ বল থেকে সাকুল্যে সংগ্রহ করেছেন ৪৬ রান। স্রেফ অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। অবশ্য ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ দিয়ে তার সেই দায় মেটানোর সুযোগ আছে। গেল আসরের ফাইনালের মতো এই ম্যাচেও শের-ই-বাংলায় গেইল ঝড় উঠলে আবার লন্ডভন্ড হয়ে যাবে ঢাকা। আর রংপুর টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে যাবে বিপিএলের ফাইনালে।
তবে এই মহারণে জয়ের শেষ হাসি হাসতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চাইতে দলীয় পারফরম্যান্সকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি। ‘বড় ম্যাচ। আপনি জানেন বড় ম্যাচে বড় বড় ক্রিকেটাররাও খেলবেন। কিন্তু এটা আসলে ধর্তব্য না। এখানে নিজের খেলাটা খেলতে হবে। কেন না একজনকে নিয়ে দল হয় না। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খেলে থাকি। শিরোপা জিততে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএন