এই বিপিএল মনে রাখার মতো
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৬
।। মুশফিক পিয়াল, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ।।
ষষ্ঠ বিপিএলে অন্যরকম কিছুর স্বাদ নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। ৪৬ ম্যাচ শেষে শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দুই ফাইনালে হেরেছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। এই বিপিএল দেখেছে তারকা-মহাতারকাদের, দেখেছে আধুনিক প্রযুক্তির ছড়াছড়ি, দেখেছে আইসিসির চেয়ারম্যানকে, দেখেছে এক আসরে সর্বোচ্চ তিনটি হ্যাটট্রিক, ছয়টি সেঞ্চুরি। আরও দেখেছে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো বিশ্বকাঁপানো তারকাদের।
এই বিপিএল দেখিয়েছে ডানহাতি ওয়ার্নারকে, দেখিয়েছে কিভাবে মায়েদের সম্মান জানিয়ে ম্যাচ জেতা যায়। আরও একটি ভিন্ন স্বাদ নিয়েছে এবারের বিপিএল। সেটি সুপার ওভারের উত্তেজনাকর আর রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচ। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে দেখা মেলে অন্যরকম আরেকটি ঘটনার। রংপুর রাইডার্সের ক্রিস গেইল আর মোহাম্মদ মিঠুন একই বলে দুই প্রান্তে রানআউট হয়েছিলেন। তবে, আগে মিঠুনের স্ট্যাম্প ভাঙায় তাকেই সাজঘরের পথ ধরতে হয়।
মহা-তারকাদের ছড়াছড়ি:
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান স্মিথ-ওয়ার্নার। চলতি বছরের মার্চে নিষেধাজ্ঞা উঠবে তাদের। তার মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলে গেছেন তারা। সঙ্গে মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত প্রোটিয়া তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সও এসেছিলেন বিপিএল খেলতে। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন ওয়ার্নার। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার জার্সিতে খেলেছেন স্মিথ। আর গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সে খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। কনুইয়ের ইনজুরির কারণে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেই দেশে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্মিথ। তার আগে কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দেন। এরপর ইনজুরির কারণে দেশে ফেরেন ওয়ার্নার, তার আগে সিলেটকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ডি ভিলিয়ার্স ফেরার আগে রংপুরের জার্সিতে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন।
এছাড়া, সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলতে এসেছিলেন নেপালের তারকা লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান। ঢাকার জার্সিতে দেখা না গেলেও এসেছিলেন ইংল্যান্ডের লুক রাইট, ইয়ান বেলরা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলে বেড়ালেও বিপিএল খেলতে আসা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহিরের। টি-টোয়েন্টির অন্যতম এই জনপ্রিয় লিগে এবার তিনিও খেলতে এসেছিলেন সিলেটের হয়ে। তবে, জাতীয় দলে ডাক পড়ায় কোনো ম্যাচ না খেলেই বিদায় নিতে হয়েছিল ইমরানকে।
ডানহাতি ওয়ার্নার:
ছোটবেলা থেকেই পিটিয়ে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার ছোটোবেলার কোচ ব্যাপারটি ভালোচোখে নেননি। ফলে, ডানহাতি ওয়ার্নারকে বানিয়ে দেন বামহাতি। কোচের চাওয়া ছিল তাতে কিছুটা রয়ে সয়ে খেলবে ওয়ার্নার। না, তাতেও কাজ হয়নি। যে স্টাইলেই তাকে ব্যাটিং করাতে পাঠানো হতো, ওয়ার্নার সেই একই ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন। একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠাতেন। তবে, ক্রিকেটের গতির সঙ্গে না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে যে কোনো এক পজিশনে ব্যাট করার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
কিন্তু, ডানহাতে ব্যাট করা একেবারেই ছেড়ে দেননি ওয়ার্নার। জাতীয় দল এবং বিভিন্ন লিগে তো বটেই এবার বিপিএলেও দেখিয়ে গেলেন কি করে পুরোদস্তর ডানহাতে ব্যাট করা যায়। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্স-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে ওয়ার্নার বিপিএল ভক্তদের সামনে নিজেকে একটু অন্যরকমভাবে তুলে ধরেন। বাউন্ডারি মেরে কোমড় দুলিয়ে নেচেছেন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রংপুরের ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অফ স্পিনার গেইলের বল খেলতে একটু সমস্যাই হচ্ছিল ওয়ার্নারের। প্রথম তিন বল ওয়ার্নার খেললেন বাঁহাতি হয়ে। প্রথম বলে দুই রান নেওয়ার পর পরের দুই বল ডট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে রান পাননি অজি তারকা। তাই ২২ গজে পরিকল্পনা পাল্টালেন। সিদ্ধান্ত নিলেন ডানহাতে ব্যাটিং করবেন। তখন পুরো ব্যাটিং স্ট্যান্সই বদলে ফেলেন, বাঁহাতি থেকে হয়ে যান ডানহাতি! হঠাৎ ডানহাতি বনে যাওয়া ওয়ার্নারকে আটকানোর কৌশল হিসেবে গেইল ফিল্ডিংয়ের রদবদল করেন।
ওয়ার্নারের এমন কাণ্ডে মুচকি হেসে গেইল চতুর্থ বলটি করেন। ওয়ার্নার সেটিকে একেবারে গেইলের মাথার ওপর দিয়ে সোজা আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির ওপারে, ছক্কা। ছক্কা মেরেই কোমড় দুলিয়ে নেচে ফিফটির উদযানপন করেন ওয়ার্নার। গেইলের পরের বল আবারও মাঝ স্ট্যাম্প বরাবর দিলে স্কয়ার লেগ দিয়ে সজোরে প্যাডল সুইপ করে বাউন্ডারি পান ওয়ার্নার। শেষের বলটিতে রিভার্স সুইপ মেরে পান আরও একটি বাউন্ডারি! গেইলের শেষ ৩ বলেই তুলে নেন ৬, ৪, ৪। ওয়ার্নার ডান হাতে ব্যাটিং আগেও করেছেন, গলফও খেলে থাকেন ডান হাতে। এই স্ট্যান্সে ব্যাটিং করতে তিনি যথেষ্ট অনুশীলনও করেন নেটে। কিন্তু ম্যাচে সেটির সফল প্রয়োগ, শুধু অবাক করার মতোই নয়, মুগ্ধ করার মতোও। সেদিন ৩৬ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ওয়ার্নার করেন ৬১ রান।
সুপার ওভারের ম্যাচ:
বিপিএলের ১১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স এবং চিটাগং ভাইকিংস। মুশফিকের ভাইকিংসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাহমুদউল্লাহর টাইটান্স তুলেছিল ১৫১ রান। জয়ের জন্য ভাইকিংসদের এই স্কোর টপকে যেতে হতো। তবে, ৮ উইকেট হারানো ভাইকিংসের ইনিংস থেমে যায় ১৫১ রানের মাথায়। তাতে, টাইটান্স-ভাইকিংস ম্যাচ টাই হলে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে, এক উইকেট হারিয়ে ভাইকিংস তোলে ১১ রান। ২ উইকেট হারানো খুলনা তোলে ১০ রান। সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় মুশফিকের ভাইকিংস।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৯ রানের দরকার হয় ভাইকিংসদের। বোলার ছিলেন আরিফুল হক। প্রথম বলে নাঈম হাসান কোনো রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেওয়ার আগে নাঈম করেন ৮ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক। পঞ্চম বলেও ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ বলের অপেক্ষায় থাকেন তিনি। শেষ বলে এক রান দরকার ছিল ভাইকিংসের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফ্রাইলিঙ্ক আরিফুলের শেষ ডেলিভারিটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি, এমনকি উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল জমা হলেও জয়ের জন্য সিঙ্গেল রানটি নিতে যেন দৌড় দিতেই ভুলে যান। পরে দৌড় দিলেও নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছানের আগেই রান আউট হন ১৩ বলে ২৩ রান করা ফ্রাইলিঙ্ক। ৮ উইকেট হারিয়ে টাইটান্সের সমান ১৫১ রান করে ভাইকিংস। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
যা বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভারে ম্যাচ। খুলনার পেসার জুনায়েদ খানের হাতে বল তুলে দেন টাইটান্স দলপতি মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলে ভাইকিংসের ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন ডেলপোর্ট বাউন্ডারি হাঁকান। দ্বিতীয় বলে নেন সিঙ্গেল রান। তৃতীয় বলে ফ্রাইলিঙ্ক চার মারেন। চতুর্থ বলে আউট হন তিনি। পঞ্চম বলে মুশফিক সিঙ্গেল নেন। জুনায়েদের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন ডেলপোর্ট। সুপার ওভারে ভাইকিংসরা তোলে ১১/১।
সুপার ওভারে ১২ রানের টার্গেট পায় টাইটান্স। বোলিংয়ে আসেন ফ্রাইলিঙ্ক, ব্যাটিংয়ে নামেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট এবং ডেভিড মালান। প্রথম বলে ব্রাথওয়েইট সিঙ্গেল নেন। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি পান মালান। তৃতীয় বলে ডাবল নেন তিনি। চতুর্থ বলে রানআউট হন ব্রাথওয়েইট। পঞ্চম বলে ডাবল রান নেন পল স্টার্লিং। শেষ বলে খুলনার জয়ের জন্য দরকার হয় ৩ রান। লেগ-বাইয়ে আসে ১ রান, ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন স্টার্লিং। তাতে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০/২। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচটি জিতে নেয় চিটাগং ভাইকিংস।
মায়েদের নামে জার্সি:
গত ১৬ জানুয়ারি ১৭তম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে মাঠে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের দল রাজশাহী কিংস। আর সেই ম্যাচে মায়েদের নামে জার্সি পরে নেমেছিল পদ্মাপাড়ের দল রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। মায়েদের সম্মানে অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী। বিপিএলে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। শুধু বিপিএলেই নয়, এমন ঘটনা ঘটেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটেও। তাই বিপিএলের ইতিহাসে এমন ঘটনা হয়ে রইলো প্রথমবার। খোলোয়াড়দের জার্সিতে নিজেদের নামের পরিবর্তে লেখা ছিল প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজের মায়ের নাম। তাতে বাংলাদেশের হয়ে লেখা হয়ে যায় নতুন ইতিহাস। যেমন মিরাজের জার্সি নম্বর ৫৩, কিন্তু নাম লেখা ছিল তার মায়ের-মিনারা! লরি ইভান্সের জার্সিতে তেমনি লেখা ছিল ‘সুজান’। শুধু খেলোয়াড়ই নয়, রাজশাহীর সকল কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্টের জার্সিতেও ছিল নিজ নিজ মায়েদের নাম।
সাকিবের ঢাকাকে হারিয়ে সেদিন ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল রাজশাহী। ম্যাচটি জিতে মায়েদের উৎসর্গ করেছিল মিরাজ, মোস্তাফিজ, সৌম্য, মুমিনুল, আরাফাত সানিরা। তারকায় সমৃদ্ধ ঢাকাকে ২০ রানে হারিয়ে নিজেদের কথা রাখে রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। আর ওই ম্যাচে হারের মধ্যদিয়ে প্রথমবার হারের স্বাদ পায় উড়তে থাকা ঢাকা।
এক ডেলিভারিতে গেইল-মিঠুন রানআউট:
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেমেছিল প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। যেখানে হেরেছিল মাশরাফির রংপুর। সেই ম্যাচে রংপুর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সঞ্জিত সাহার শর্ট লেংথের বলটি স্কয়ার লেগে ঠেলে দৌড় দেন গেইল। ফিল্ডার ছিলেন তামিম ইকবাল। দ্রুত বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠান উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের গ্লাভসে। ততক্ষণে মিঠুন স্ট্রাইকিং প্রান্তে গেলেও পপিং ক্রিজে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। তার আগেই উইকেট ভেঙে দেন বিজয়। কুমিল্লার এই উইকেটরক্ষক স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভেঙে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থ্রো করেন, তাতে ভাঙে অপরপ্রান্তের উইকেটও। তখনও গেইল নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের পপিং ক্রিজে ঢুকতে পারেননি। তবে, ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী মিঠুনের স্ট্যাম্প আগে ভাঙায় তাকেই রানআউট ঘোষণা করা হয়।
আইসিসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতি:
ষষ্ঠ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সস্ত্রীক উপস্থিত হয়েছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসেন মনোহর। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে উপভোগ করেন ঢাকা-কুমিল্লার ফাইনাল মহারণ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কোনো চেয়ারম্যানের এটিই প্রথম বিপিএল দর্শন, বিপিএলেরও এমন ঘটনার প্রথম দর্শন।
বিসিবি সভাপতির আমন্ত্রণে গত ৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে আসা মনোহর বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় স্মৃতি সৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার সম্মানে সংবার্ধণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিসিবি। ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের হোম অব গ্রাউন্ডে দেখে গেলেন বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটি।
** প্রযুক্তির চমকে হয়ে গেল ভিন্ন মাত্রার বিপিএল
** বিপিএলে ৬ সেঞ্চুরি, সিলেটে নেই, চট্টগ্রামেই চারটি
** ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন তারা
** তিন হ্যাটট্রিকের তিন রকমের স্বাদ
** বিপিএলে সাকিবের অনন্য ইতিহাস
** ২২ গজে বল হাতে শাসিয়েছেন যারা
** এই বিপিএলের সিনিয়র-জুনিয়ররা
** দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
সারাবাংলা/এমআরপি