ন্যুনতম তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে ইমরুল
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:১২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের বিপক্ষে ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পান ইমরুল কায়েস। ম্যাচ চলাকালীন ব্যথার তীব্রতা অনুভব করে বুঝেছিলেন ফাইনালে দর্শক বনে যেতে হবে। কাজেই তাৎক্ষণিক সমাধান খুঁজতে গিয়ে ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে ফাইনালে নামেন ঢাকার বিপক্ষে। তাতেই যত সর্বনাশ হয়েছে। এখন ন্যুনতম তিন সপ্তাহ তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। সময়টা বেড়ে হতে পারে চার সপ্তাহও।
ভাগ্যিস এই মুহুর্তে তিনি জাতীয় দলে নেই। তাই চোট পড়লেও দুর্ভাবনায় থাকতে হচ্ছে না। তবে একটি বিষয়ে তাকে ভাবতেই হচ্ছে। কেননা ১ মার্চ থেকে শুরু হবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব চাইতে মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। যেখানে প্রথম দুটি ম্যাচে তার মাঠে নামা নাও হতে পারে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যালে ইমরুল এসেছিলেন ইনজুরির স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট জানতে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী তার স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট দেখে একথা জানান।
চিকিৎসকের উদ্বৃতি নিয়ে ইমরুল বলেন, ‘দু’দিন আগে স্ক্যান ও এমআরআই করেছিলাম। আজকে (মঙ্গলবার) রিপোর্ট দেখলাম। ওখানে টিস্যুটা ছিড়ে গেছে। ডাক্তার বলেছে ন্যুনতম তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এটা চার সপ্তাহও হতে পারে। তিন সপ্তাহ পর উনি দেখবেন। আমি ভালো অনুভব করলে শুরু থেকেই লিগ খেলতে পারবো। চেষ্টা করবো প্রিমিয়ার লিগের আগেই সেরে উঠতে। যদি না হয় একটা দুইটা ম্যাচ মিস হতে পারে। এখন বিশ্রাম ছাড়া কোন অপশন নেই। বিশ্রামের পরে পুনর্বাসন শুরু করবো।’
‘সেমি ফাইনালে ম্যাচে রংপুরের সাথে ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বলকে চার্জ করতে গিয়ে কুঁচকিতে লেগেছিলো। ওইদিনই মাঠে অনুভব করছিলাম বাজে অবস্থা। ফাইনাল ম্যাচে ব্যথা নাশক খেলে খেলছিলাম। সেটাতেই আরো বেশি সমস্যা হয়েছে। ওই ম্যাচটা যদি না খেলতাম এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহে ঠিক হয়ে যেতো।’ যোগ করেন ইমরুল।
সারাবাংলা/এমআরএফ