অদ্ভূত উদযাপনের কারণ জানালেন সাব্বির
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:৩৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
প্রতিক্রিয়া দেখানো, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা কোনো হীন উদ্দেশ্যে নয়। বরং আবেগতাড়িত হয়েই নিউজিল্যান্ডেরর বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে পাওয়া ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি ওভাবে উদযাপন করেছিলেন টাইগার হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অনুশীলনে এসে তিনি একথা বলেন। সাব্বির জানান, ‘আসলে প্রতিক্রিয়া কিছু না। এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি ছিল, তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কাউকে ইঙ্গিত করে নয়। সেঞ্চুরিটা আমার জন্য খুব দরকার ছিল। প্রথম সেঞ্চুরি তাই এমন হয়েছে।’
সাব্বিরের উদযাপনটি আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই। তারপরেও আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি। গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সেঞ্চুরি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শূন্যে লাফিয়ে ওঠেন সাব্বির। এরপর উইকেটে চুমু খান। উইকেটে চুমু খেয়ে ওঠে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন আর হাতের আঙুল দিয়ে মুখবন্ধ করে দেওয়ার ইশারা করেন। তার উদযাপনের এই অংশটুকুর অর্থ করলে দাঁড়ায়, ব্যাট হাতে জবাব দিয়ে যেন সব সমালোচকের মুখ বন্ধ দিলেন তিনি। অন্যভাবে বললে, অনেক বকবকানি হয়েছে আমাকে নিয়ে। এবার ব্যাট দিয়ে সব চুপসে দিলাম।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, তাও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং তাদেরই মাটিতে। এর আগে গিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার মতো নেতিবাচক ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। তাই হয়তো দাপুটে সেঞ্চুরিটির পর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি এই ড্যাশিং লোয়ার অর্ডার। তার সেঞ্চুরিটিও এসেছে প্রবল চাপের মধ্যে।
জয়ের জন্য ৩৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম সাউথির পেস তোপে ২ রান তুলতেই ৩ টপ অর্ডারকে হারায় বাংলাদেশ। তামিম ফেরেন রানের খাতা না খুলে, সৌম্য সরকারও তাকে অনুসরণ করেন। আর লিটন দাস যথারীতি ১ রানে বিদায় নেন। চারে নামা মুশফিকও দলকে টেনে নিতে পারেননি। দলীয় ৪০ ও ব্যক্তিগত ১৭ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে মুনরোর তালুতে নিজেকে সঁপে দেন। মোটামুটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ঠিক তখন জ্বলে উঠেন সাব্বির। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি।
কাজেই তার কাছে জানতে চাওয়া হলো, চাপের মধ্যেই কি সাব্বির ভালো খেলে? সপ্রতিভ উত্তরে জানালেন, ‘তেমন না। হয়তো বা আমার রাশিটাই এমন চাপ নিয়ে খেলা। চেষ্টা করি ওই চাপটা ক্যারি করার জন্য যে এটা আমার শেষ ম্যাচ। চেষ্টা করি ভালো কিছু করার জন্য।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি