একাধিক ইভেন্ট আয়োজনে শঙ্কার মুখে ভারত
৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪৩
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
কাশ্মীরে পুলওয়ামাতে পাকিস্তানি জঙ্গী সংগঠনের সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব পড়েছে ভারত-পাকিস্তান ক্রীড়াঙ্গনে। পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা যাওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব ধরনের ম্যাচ বয়কটের দাবি তোলে ভারত। এরই জের ধরে নয়াদিল্লি বিশ্বকাপে পাকিস্তানি শুটারদের ভিসা দেয়নি ভারত। তাতে বড়সড় কোপের মুখে পড়তে চলেছে দেশটি।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি আইওসির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অলিম্পিক সম্পর্কিত একাধিক স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব থেকে ভারতকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। শুধু স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনই নয়, পরবর্তীতে দেশের মাটিতে ইভেন্ট আয়োজনের বিডে অংশগ্রহণের ব্যাপারে পিছিয়ে যেতে পারে অল ইন্ডিয়া বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন কিংবা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন।
পাকিস্তানি অ্যাথলেট এবং কোচদের ভিসা না-মঞ্জুর হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি চেপে ধরেছিল ভারতকে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, পরবর্তীতে কোনোরকম আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। ভারত আইওসির কাছে যে সব প্রতিযোগিতা আয়োজনের আবেদন করে রেখেছিল, সেগুলোও বাতিল হয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আইওসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা অলিম্পিক চার্টারের বিরোধী। তাই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত আশ্বাস না পাওয়া অবধি ভারতের উপর এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। তারা আরও জানিয়েছে, ক্রীড়াক্ষেত্রকে রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা মোটেই উচিৎ নয় ভারতের।
এরই মধ্যে পাকিস্তানি শুটারদের ভিসা না-মঞ্জুর করার কারণে নয়াদিল্লি শুটিং বিশ্বকাপ থেকে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ১৬টি কোটার প্রস্তাব তুলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। নয়াদিল্লি শুটিং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের থেকে ভিসা পেতে ব্যর্থ হন পাকিস্তানের তিন শুটার। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের বিষয়ে বিরোধীতা করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় আইওসি।
আইওসির এই ঘোষণায় ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আগামীতে দেশের মাটিতে একাধিক স্পোর্টস ইভেন্ট সরে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত ভারত। তাতে বড়সড় আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হবে দেশটিকে। শর্ত জুড়ে দিয়ে পরবর্তীতে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা জানায় আইওসি। কিন্তু আন্তর্জাতিক কমিটির সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ভারত সরকার। ফলে একাধিক ইভেন্ট আয়োজনের বিষয়টি এখন শঙ্কার মুখে।
এদিকে, ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যতে বেশ কয়েকটি বড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের আবেদন করে রেখেছিল আইওসির কাছে। এর মধ্যে আছে ২০২৬ সালে দিল্লিতে যুব অলিম্পিক, ২০৩০ সালে এশিয়ান গেমস এবং ২০৩২ সালের অলিম্পিক। সবগুলোই এখন হুমকির মুখে। এছাড়া, জুনের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক হকি সিরিজের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ভুবনেশ্বরে। ২০২০ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টিও শঙ্কার মুখে পড়েছে। আরও আছে কমনওয়েলথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ-ওড়িশা (জুলাই ১৭-২২), জুনিয়র এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ-(জুলাই ৯-১৪), ২০২০ কম্বাইনড শুটিং বিশ্বকাপ।
সারাবাংলা/এমআরপি