আপনি এক রাতেই সুপার স্টার হয়ে যাবেন: তামিম
১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:১৯
ক্রিকেট বিশ্বকাপ মানে তো শুধু ক্রিকেট নয়, তার থেকেও আরও অনেক বেশি কিছু। কোথাও আনন্দ, কোথাও দুঃখের বেড়া ডিঙিয়ে সুখের উল্লাস। কোথাও আবার বড়দের ভীড়ে ছোটদের উথ্থান। বিশ্বের কোটি কোটি চোখ এখানেই আটকে থাকে। রাতারাতি বড় তারকা বনে যেতে এর চাইতে বড় মঞ্চ হতেই পারে না।
উদাহরণটি বাংলাদেশকে দিয়েই টানা যাক। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পরাশক্তি পাকিস্তানের তিন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ার, শহীদ আফ্রিদী ও ইনজামাম উল হককে দলীয় ২৯ রানে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান বধের রাবন হয়ে উঠেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো হুঙ্কার ছেড়েছিল মাত্রই আইসিসির সদস্যপদ পাওয়া দেশটি। গোটা বিশ্ব ক্রিকেট অবাক চোখে দেখেছিল ছোট একটি দেশের উথ্থান।
এতে করে নিজ দেশেও সুপার স্টারের তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন মিডিয়াম ফাস্ট বোলার খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪২ রান করে আকরাম খানও লাল সবুজের উজ্জ্বল তারকা বনে গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন টক অব দ্য কান্ট্রি। এর ঠিক ৮ বছর পর, ২০০৭ বিশ্বকাপে অদম্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে লাল সবুজের মানুষের চোখের নয়নের পরিণত হয়েছেন তিন তরুণ টাইগার সাকিব, তামিম ও মুশফিক। তাদের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সেই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারের তিক্ত স্বাদ উপহার দেয় ‘পুঁচকে’ বাংলাদেশ।
আর ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংসটি খেলে রাতারাতিই তারকা বনে গিয়েছিলেন মাত্র ১ বছর আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার। অর্থাৎ রাতারাতি সুপার স্টার হতে এর চাইতে ভালো মঞ্চ হতেই পারে না।
সেই কথাটিই যেন মনে করিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল, ‘অবশ্যই, বিশ্বকাপ এমন একটা মঞ্চ, সবাই জানি যে ক্রিকেট বিশ্বে এটা সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এই একটা টুর্নামেন্ট যেখানে তারকারা জন্ম নেয়। বিশ্বকাপে ভালো করলে আপনি এক রাতেই হয়তো সুপার স্টার বনে যাবেন। এটা সব তরুণ ক্রিকেটারের জন্যই বড় সুযোগ, তারা কতোটা ভালো সেটা দেখানোর জন্য। অবশ্যই আমাদের দলে এমন বেশ কিছু প্লেয়ার আছে যারা তাদের প্রতিভা দেখাবে, আর এখানে প্রতিভা দেখানোর জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো মঞ্চ হতে পারে না।’
এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন লাল সবুজের ক্রিকেট বোদ্ধারা। সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন তো বলেই বসেছেন, আমরা শেষ চারে খেলবো।
তবে তামিম সে পথে হাঁটলেন না, ‘এটা আমি বলতে পছন্দ করি না। কারণ ১০টা দল বিশ্বকাপ খেলছে। কোনো দল অংশগ্রহণ করার জন্য খেলছে না। সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্য। এটাই মাথায় রেখে যে আমরা জিততে চাই। যদি আমি বলি শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছি তাহলে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমার কথা হলো, আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাসটা নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
সারবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** অঙ্কে কাঁচা মোস্তাফিজ মেলাতে চান বড় হিসেব!