মেয়েদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ইউরোপে!
৭ মে ২০১৯ ২২:৫০
ঢাকা: এএফসির অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আঞ্চলিক পর্যায়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্নটা আরও বড় হচ্ছে। টানা দুটি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে পা রেখেছে মনিকা-মারিয়ারা। তাই তাদের প্রস্তুতিতেও কোনও ঘাটতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
পুরুষ ফুটবল দলের মতো মেয়েদের নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপে ক্যাম্প করানোর পরিকল্পনা দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল অভিভাবকের।
উদ্দেশ্য একটাই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ করা। সেজন্য আগামী সেপ্টেম্বরের ১৫-২৮ তারিখ থাইল্যান্ডে বসতে চলা এএফসির চূড়ান্ত পর্বে ভালো করা নিশ্চিত করতে চায়। শুধু ভালো করলেই হবে না। সঙ্গে ৮ দলের মধ্যে ঢুকতে হবে শীর্ষ দুই দলের তালিকায়।
হাতে আছে এখনও চার মাসের মতো। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এর আগেও অভিজ্ঞতা হয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের। সেবার এই থাইল্যান্ড থেকে ১৫ গোল হজম করে আসলেও অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনেক কিছু শিখেও এসেছে মেয়েরা।
সেটাকেই পুঁজি করে ২০২০ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে চায় লাল-সবুজরা। সেজন্য উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দরকার। প্রথম টার্গেট ইউরোপ। তার জন্য কয়েক কোটি টাকাও বন্দোবস্ত করতে চায় দেশের ফুটবল অভিভাবক।
বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের মেয়েরা এখন এশিয়ার শীর্ষ ৮ দলের একটি। এখান থেকে সেরা দুইয়ে থাকাও সম্ভব। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে মেয়েদের জন্য সম্ভব সব কিছু করবো।’
কাজী মো. সালাউদ্দিন মেয়েদের নিয়ে তার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন, ‘আমি এই মেয়েদের ইউরোপে পাঠিয়ে অনুশীলন করাতে চাই। ইতিমধ্যে আমি কথা বলেছি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের সঙ্গে। যদি অর্থের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে ওদের টুর্নামেন্ট শুরুর ৩ মাস আগেই ইউরোপে পাঠিয়ে দেবো। এ জন্য আমার তিন থেকে চার কোটি টাকার মতো লাগবে।’
দলকে পরিণত করতে সবই করতে চায় বাফুফে। বিশ্বকাপে ঠাঁই নেয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছাড়া আছে থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন।
সারাবাংলা/জেএইচ
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ গোলাম রব্বানী ছোটন বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মনিকা মারিয়া